শুক্রবার আসন্ন পুরভোটে তৃণমূলের প্রার্থী তালিকা ঘোষণার পর থেকেই রাজ্যের দিকে দিকে বিক্ষোভ শুরু হয়ে যায়। দলের ঘোষিত প্রার্থীতালিকা নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়েছে। কিছু ওয়ার্ডে প্রার্থী বদলও হয়ে যায়। দুই ঘটনায় বেজায় অস্বস্তিতে পড়েছে তৃণমূল কংগ্রেসের শীর্ষ নেতৃত্ব। রাজ্যের উত্তর থেকে দক্ষিণে কোথাও রাস্তায় টায়ার জ্বালিয়ে, মিছিল করে বিক্ষোভ দেখিয়েছেন তৃণমূলের বিক্ষুব্ধরা।
শুক্রবার বিকেলে তৃণমূল কংগ্রেসের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় দলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সির উপস্থিতিতে ১০৮টি পুরসভার প্রার্থী তালিকা প্রকাশের কথা ঘোষণা করেন। পরে দলের প্রার্থী তালিকা তৃণমূলের ওয়েবসাইট ও মিডিয়া সেলের পক্ষ থেকে প্রকাশ করা হয়। পরে আবার সন্ধ্যের পর সেই প্রার্থী তালিকাতেও বদল ঘটে। জেলা সভাপতিদের কাছে সেই সংশোধিত তালিকা পাঠিয়ে দেওয়া হয়। যা নিয়ে যাবতীয় বিতর্ক শুরু হয়েছে। তাহলে ওই প্রার্থী তালিকা কেন প্রকাশ করা হল? কেন এই বিভ্রাট? তা নিয়েও দলের অভ্যন্তরে তীব্র বিতর্ক দেখা দিয়েছে।
দলের ওয়েবসাইটে ও মিডিয়া সেলে প্রকাশিত প্রার্থী তালিকা প্রকাশিত হওয়ার পর রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় দলের একাংশ বিক্ষোভ শুরু করে দেয়। প্রার্থী বদলের দাবিতে বিক্ষোভ হয়েছে রাজ্যের উত্তর থেকে দক্ষিণে।
আরও পড়ুন- রাজ্যের কোন কোন পুরসভায় ভোট ২৭ ফেব্রুয়ারি? দেখুন একনজরে…
কোচবিহার, জলপাইগুড়ি, বহরমপুর, মালবাজার, বাঁকুড়ায়, উত্তর ২৪ পরগনার খড়দহ ও অশোকনগর, কাঁথি, বর্ধমান-সহ নানা জায়গায় বিক্ষোভ চলতে থাকে। রাস্তায় নেমে পড়েন বিক্ষোভকারীরা। প্রার্থী পছন্দ না হওয়ায় এদিন রাতে কাঁথিতে রাজ্যের মন্ত্রী অখিল গিরির বাড়ির সামনে বসে পড়ে বিক্ষোভ দেখায় তৃণমূলের একাংশ।
দলের ওয়েবসাইটে, মিডিয়া সেলে প্রার্থী তালিকা প্রকাশ হওয়ার পর দলের ভিতরে ও বাইরে চরম বিভ্রান্তি শুরু হয়। দলের পক্ষ থেকে বলা হয় এই প্রার্থী তালিকা ফাইনাল নয়। জানা গিয়েছে, পরে এদিনই রাতে জেলা সভাপতিদের হাতে সংশোধিত প্রার্থী তালিকা পাঠিয়ে দেওয়া হয়। দেখা যায় ওই নতুন প্রার্থী তালিকায় বেশ কিছু পরিবর্তন হয়েছে। প্রার্থী তালিকা প্রকাশে কেন এমন বিভ্রাট হল, তা নিয়ে ব্যাপক অস্বস্তিতে পড়েছে তৃণমূল কংগ্রেসের শীর্ষ নেতৃত্ব।