ধুন্ধুমার-কাণ্ড এনআরএস হাসপাতালে। কাঁকুরগাছির নিহত বিজেপি কর্মী অভিজিৎ সরকারের দেহ হস্তান্তরে দেরি ঘিরে গন্ডগোল হাসপাতালে। বৃহস্পতিবার দেহ হস্তান্তরে টালবাহানার অভিযোগ ঘিরে তুমুল অশান্তি এনআরএসের মর্গ চত্বরে। পুলিশকে ধাক্কা, গালিগালাজের অভিযোগ। বিশাল পুলিশবাহিনী এসে পরিস্থিতি সামাল দেয়। শেষমেশ নির্ধারিত সময়ের বেশ কিছু পরে এদিন মৃতদেহ তুলে দেওয়া হয় পরিবারের হাতে।
Advertisment
ভোট পরবর্তী সন্ত্রাসের বলি কাঁকুরগাছির বিজেপি কর্মী অভিজিৎ সরকার। মৃত্যুর পরেও আইনি জটিলতা চলতে থাকায় তাঁর দেহ রাখা হয়েছিল এনআরএস হাসপাতালের মর্গে। আদালতের নির্দেশে বৃহস্পতিবার সকালে অভিজিৎ সরকারের মরদেহ তাঁর পরিবারের হাতে তুলে দেওয়ার কথা ছিল। সেই মতো এদিন সকালেই বিজেপি নেতা অর্জুন সিং, সজল ঘোষ, প্রিয়াঙ্কা টিব্রেওয়ালরা দলের অন্য নেতা-কর্মীদের সঙ্গে নিয়ে চলে আসেন হাসপাতালে। এনআরএস হাসপাতালে পৌঁছে যায় অভিজিতের পরিবারও।
এদিন সকাল ১০টা নাগাদ অভিজিৎ সরকারের দেহ তাঁর পরিবারের হাতে তুলে দেওয়ার কথা ছিল। তবে নির্ধারিত সময়ের পরেও দেহ হস্তান্তর না হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করতে থাকেন বিজেপি নেতারা। এদিন সকালে হাসপাতালে ঢুকতেও অর্জুন সিং, সজল ঘোষদের পুলিশ বাধা দেয় বলে অভিযোগ। বিজেপি নেতৃত্বের অভিযোগ, দেহ হস্তান্তরে এনওসি দেওয়ায় ইচ্ছাকৃতভাবে দেরি করা হয়। এদিন এই বিষয়টি নিয়ে এনআরএস মর্গ চত্বরে চেঁচামেচি শুরু করে দেন বিজেপি নেতারা। ক্ষুব্ধ বিজেপি নেতা-কর্মীদের সামলানোর চেষ্টা করে পুলিশ। তবে পুলিশের সঙ্গে তুমুল ধাক্কাধাক্কি শুরু হয়ে যায় বিজেপি কর্মীদের। পরে অবশ্য নিহত অভিজিৎ সরকারের দেহ তাঁর পরিবারের সদস্যদের হাতে তুলে দেওয়া হয়।
এনআরএস হাসপাতাল থেকে নিহত বিজেপি কর্মীর দেহ নিয়ে যাওয়া হয় দলের সদর দফতরে। মুরলীধর সেন লেনের কার্যালয়ে নিহত কর্মীকে শেষ শ্রদ্ধা জানান বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ-সহ অন্যরা। এদিন সকালে এনআরএস হাসপাতালের গন্ডগোল নিয়ে মুখ খোলেন দিলীপ ঘোষও। প্রশাসনকে দুষে তিনি বলেন, ''একজন মারা গিয়েছেন। তাঁর দেহ দেওয়া হচ্ছে না। এটা কোন ধরনের মানবিকতা?'' দলের সদর কার্যালয় থেকে এদিন অভিজিৎ সরকারের মরদেহ নিয়ে যাওয়া হয় তাঁর কাঁকুরগাছির বাড়িতে। এদিনই তাঁর শেষকৃত্যের ব্যবস্থা করবে পরিবার।