Advertisment

ভবানীপুরে তুলকালাম, বামেদের প্রচারে 'বাধা', পুলিশের সঙ্গে হাতাহাতি সুজনের

হরিশ চ্যাটার্জি স্ট্রিটে বাম প্রার্থীর প্রচারে বাধার অভিযোগ। পুলিশের সঙ্গে তুমুল তর্কাতর্কিতে জড়িয়ে পড়েন বাম নেতারা।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
Chaos in left campaign, police stop left leaders at harish chatterjee street

পুলিশের সঙ্গে তুমুল ধস্তাধস্তি সুজন চক্রবর্তীর।

উপনির্বাচনের আগে শেষ রবিবাসরীয় প্রচারে ধুন্ধুমার ভবানীপুরে। মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির কাছে দলীয় প্রার্থী শ্রীজিব বিশ্বাসের সমর্থনে প্রচারে গিয়ে পুলিশি বাধার মুখে সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী। পুলিশের সঙ্গে তুমুল ধস্তাধস্তি সুজন-শ্রীজিব-সহ দলের অন্য নেতা-কর্মীদের। রীতিমতো হাতিহাতির পরিস্থিতি তৈরি হয়। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে রবিবার সকালে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে গোটা এলাকায়। অনুমতি থাকলেও উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে প্রচারে বাধার অভিযোগ সুজন চক্রবর্তীর।

Advertisment

সরগরম ভবানীপুর। উপনির্বাচনের আগে শেষ রবিবাসরীয় প্রচার। এদিন সকালে হরিশ চ্যাটার্জি স্ট্রিটে ভবানীপুরের বাম প্রার্থী শ্রীজিব বিশ্বাসের হয়ে প্রচারে যান সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী। আগে থেকেই হরিশ চ্যাটার্জি স্ট্রিটে ঢোকার মুখ ব্যারিকেড দিয়ে আটকে রেখেছিল পুলিশ। এদিন শ্রীজিবকে সঙ্গে নিয়ে ব্যারিকেড সরিয়ে এগোতে যান সুজন। ঠিক সেই সময়ে বাম নেতা-কর্মীদের বাধা দেয় পুলিশ। কর্তব্যরত পুলিশকর্মীদের সঙ্গে তুমুল ধস্তাধস্তিতে জড়িয়ে পড়েন সুজন চক্রবর্তী, শ্রীজিব বিশ্বাসরা। হাতাহাতির পরিস্থিতিও তৈরি হয়।

উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে বাম প্রার্থীর প্রচারে বাধার অভিযোগ তোলেন সুজন চক্রবর্তী। হরিশ চ্যাটার্জি স্ট্রিটেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়ি। এমনিতেই এই এলাকায় সুরক্ষার কড়াকড়ি বেশি থাকে। পুলিশের অভিযোগ, এদিন একসঙ্গ বহু লোক ঢুকে পড়ার চেষ্টা করে এলাকায়। সেই কারণেই তাঁদের বাধা দেওয়া হয়েছে। উল্টে সুজন চক্রবর্তী বলেন, 'প্রচারের জন্য আগে থেকে সব অনুমতি নেওয়া হয়েছিল। কর্মীদের আক্রমণ করা হয়েছে। পুলিশ প্রজা হয়ে গেছে। মমতা ব্যানার্জি ভয় পেয়েছেন।'

তবে বেশ কিছুক্ষণ এই তর্কাতর্কি চলার পর অবশেষে বাম প্রার্থী শ্রীজিব বিশ্বাস, সুজন চক্রবর্তী-সহ আরও তিনজনকে হরিশ চ্যাটার্জি স্ট্রিটে ঢুকে প্রচারের অনুমতি দেয় পুলিশ। এরপর শ্রীজিবকে সঙ্গে নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর পাড়ায় প্রচার সারেন সুজন-সহ অন্য বাম-নেতারা।

আরও পড়ুন- প্রশান্ত কিশোর এখন ভবানীপুরের ভোটার, ‘বহিরাগতই ঘরের ছেলে’- কটাক্ষ বিজেপির

অন্যদিকে, উপনির্বাচনের আগের শেষ রবিবারে এদিন ভবানীপুরে সকাল থেকে তৃণমূলের প্রচার তুঙ্গে। দলনেত্রীর হয়ে এদিনও প্রচারে ফিরহাদ হাকিম। রবিবার সকালে ভবানীপুরের কলাবাগান অঞ্চলে প্রচার করেন তিনি। চেতলায় বাড়ি বাড়ি ঘুরে জনসংযোগের কাজ সারেন ফিরহাদ। উল্টোদিকে, এদিন সকালে ভবানীপুরের বিজেপি প্রার্থী প্রিয়াঙ্কা টিব্রেওয়ালের হয়ে প্রচারে বেরিয়েছিলেন সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুভাষ সরকার।

ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন

tmc police sujan chakraborty bypoll Left Bhawanipur
Advertisment