Chattishgarh Crisis: চলতি সপ্তাহে দ্বিতীয়বার কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধির সঙ্গে দেখা করলেন ছত্তিশগড়ের মুখ্যমন্ত্রী ভুপেশ বাঘেল। বৃহস্পতিবার দুপুরে রায়পুর থেকে দিল্লি এসে কংগ্রেস সাংসদের তুঘলক লেনের বাড়িতে পৌঁছন বাঘেল। এদিন বিকেল ৪টে নাগাদ রাহুল-বাঘেল বৈঠক হয়। এমনটাই কংগ্রেস সুত্রে খবর। আগামি আড়াই বছর ছত্তিশগড়ে মুখ্যমন্ত্রী কে? এই প্রশ্নের পিছনে দৌড়ে দ্বন্দ্ব উসকে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী বাঘেল এবং তাঁর মন্ত্রিসভার স্বাস্থ্যমন্ত্রী। যদিও ভুপেশ বাঘেলের দাবি, ‘হাইকমান্ড যে সিদ্ধান্ত নিতে বলবেন, তিনি সেটাই নেবেন। এদিকে আবার ছত্তিশগড়ে বাঘেল ঘনিষ্ঠদের মন্তব্য, ‘রাজ্যে কংগ্রেস নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে ক্ষমতায়। সেখানে আড়াই বছর করে মিলেমিশে মুখ্যমন্ত্রী নীতি কেন? সাধারনট কোন রাজ্যে জোট সরকার হলে এই নীতি নেওয়া হয়।‘
কিন্তু বাঘেল বিরোধী গোষ্ঠী অর্থাৎ রাজ্যের স্বাস্থ্যমন্ত্রী টিএস সিং দেও ঘনিষ্ঠদের দাবি, ‘২০১৮ সালে কংগ্রেস নেতৃত্ব প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল আড়াই বছর অন্তর মুখ্যমন্ত্রীর পদে বদল হবে। এখন তাহলে ভোলবদল কেন?’ ঘরোয়া এই দ্বন্দ্বেই আপাতত পাঞ্জাবের পর ছত্তিশগড় উদ্বেগ বাড়িয়েছে কংগ্রেস হাইকমান্ডের। জানা গিয়েছে, এদিনের বৈঠকে রাহুলের বাসভবনে উপস্থিত ছিলেন ছত্তিশগড়ের পর্যবেক্ষক পিএল পুনিয়া। এর আগে বুধবার রাহুল গান্ধি পৃথকভাবে যুযুধান এই দুই গোষ্ঠীর নেতার সঙ্গে কথা বলেন। সেদিন বৈঠকে ছিলেন কংরেসসেরস সাধারণ সম্পাদক কেসি বেণুগোপাল। সেই বৈঠকের আগে বেণুগোপাল পৃথক ভাবে দুই নেতার সঙ্গে কথা বলেন। কিন্তু গলেনি বরফ।
এদিকে, ২০২২-এর ভোটের আগ পর্যন্ত পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী থাকবেন ক্যাপ্টেন অমরিন্দর সিং। পাঞ্জাবে বিদ্রোহী কংগ্রেস বিধায়কের কাছে অবস্থান স্পষ্ট করে দিল হাইকমান্ড। বুধবার ক্যাপ্টেনের প্রতি অনাস্থা এনে দেহরাদুনে হাইকমান্ডের তরফে পাঞ্জাবের পর্যবেক্ষক হরিশ রাওয়াতের সঙ্গে দেখা করেন ৭ সদস্যের এক প্রতিনিধি দল। সেই দলে ছিলেন ৪ জন মন্ত্রী এবং তিন জন বিধায়ক। মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে অমরিন্দর সিংয়ের অপসারণ খারিজ করে ক্যাপ্টেনের পাশেই দাঁড়ান রাওয়াত। আর তাঁর এই অবস্থান হাইকমান্ডের নির্দেশেই। এমনটাই কংগ্রেস সূত্রে খবর।
এদিন প্রায় ১২.৩০-৩.৩০ পর্যন্ত রাওয়াতের বাসভবনে বৈঠক করেন অমরিন্দর বিরোধী শিবির। তাঁদের হরিশ রাওয়াত স্পষ্ট করে দিয়েছেন, আগামি দিনে প্রয়োজন কিংবা সমস্যায় পড়লে কংগ্রেস বিধায়ক-সাংসদরা তাঁর কাছে আসতেই পারেন। কিন্তু ২০২২-এর পাঞ্জাব ভোট ক্যাপ্টেনের নেতৃত্বে লড়বে প্রদেশ কংগ্রেস।‘ এদিকে, বিধানসভা ভোটের আগে পঞ্জাব কংগ্রেসে কোন্দল তুঙ্গে৷ কংগ্রেস-শাসিত এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর উপর আস্থা হারিয়েছেন দলেরই ৩১ বিধায়ক৷ সরাসরি কংগ্রেস হাইকম্যান্ডের কাছে মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে অমরিন্দর সিংকে সরানোর দাবি তুলেছেন বিদ্রোহী ওই বিধায়করা৷ আগামী বছরেই পঞ্জাবে বিধানসভা নির্বাচন৷ তার আগে দলের এই কোন্দলে বেশ অস্বস্তিতে কংগ্রেসের শীর্ষ নেতারা৷
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন