United Opposition: কংগ্রেস ছাড়া সংগঠিত বিরোধী জোট সম্ভব নয়। রবিবার এই মন্তব্য করলেন ছত্তিশগড়ের মুখ্যমন্ত্রী। এদিন ভুপেশ বাঘেল ঘুরিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘নো ইউপিএ’ মন্তব্যকে কটাক্ষ করেছেন। পিটিআইকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্পষ্ট করুন উনি কী নিজের দলকে প্রধান দল হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে চান? উনি কেন্দ্রের প্রধান শাসক বিজেপির সঙ্গে লড়তে চান? না, বিজেপির সঙ্গে যারা লড়তে চান, যারা বিরোধী দল, তাদের সঙ্গে লড়তে চান?’
পাশাপাশি ২০২৪-এর ভোটে মোদি-বিরোধী লড়াইয়ে মুখ কে? সেই প্রশ্নের জবাবে ছত্তিশগড়ের মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘ভোটের পর সনিয়া গান্ধির নেতৃত্বাধীন ইউপিএ জোটের বৈঠকে সেই সিদ্ধান্ত হবে।‘ বাঘেল বলেন, ‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রধান বিরোধী দলের নেত্রী হতে চাইছেন, খুব ভালো কথা। নির্দিষ্ট পরিকল্পনা ধরে এগোচ্ছেন, স্বপ্ন দেখছেন, সেই ভাবনাকে স্বাগত। কিন্তু প্রশ্ন একটাই প্রধান শাসকের সঙ্গে লড়াই করে আপনি প্রধান বিরোধী দল হবেন, না যারা বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াই করছেন তাদের সঙ্গে লড়াই করবেন?’
এদিকে, মুম্বই সফরে গিয়ে বিজেপি বিরোধী জোট নিয়ে সওয়াল করতে গিয়ে কংগ্রেসকে একহাত নেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রশ্নে তোলেন ইউপিএ জোটের অস্তিত্ব নিয়েও। মমতার সফর শেষে কলকাতায় ফেরার দুদিন পর দলীয় মুখপত্রে খোঁচা দিল শিবসেনা। সামনা-র সম্পাদকীয়তে ইউপিএ-র সমান্তরাল কংগ্রেস বিরোধী জোটকে শাসক বিজেপি এবং ফ্যাসিস্ট শক্তিকে মজবুত করার সমান লিখল শিবসেনা।
নাম না করে মুখপত্রে কটাক্ষ করা হয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। সম্পাদকীয়তে লেখা হয়েছে, যাঁরা কংগ্রেসহীন ইউপিএ চাইছেন তাঁরা পিছনে পিছনে বিভ্রান্তি না বাড়িয়ে নিজেদের অবস্থান জনসমক্ষে স্পষ্ট করুক। মুখপত্রে লেখা হয়েছে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মুম্বই সফরের পর বিরোধী দলগুলি ময়দানে নেমে পড়েছে। বিজেপির শক্তিশালী বিকল্প তৈরির জন্য একটা উদ্যম চোখে পড়ছে। কিন্তু কিছু এমন আলোচনা হচ্ছে যে জোটে কে থাকবে আর কাকে রাখা হবে না।
আরও বলা হয়েছে, “যদি সর্বসম্মতি না থাকে তাহলে বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াই করার কথা বলা উচিত না। নেতৃত্ব প্রাথমিক ইস্যু নয়, বরং একসূত্রে আসার একটা সিদ্ধান্ত থাকতে হবে। এটা সবার বোঝা উচিত যে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং বিজেপির একটাই লক্ষ্য ছিল কংগ্রেসকে হারানো কারণ এটাই তাদের অ্যাজেন্ডা। যাঁরা মোদী এবং বিজেপির বিরুদ্ধে কিন্তু কংগ্রেসের ক্ষতি চাইছে তাহলে সেটা উদ্বেগের।”
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন