Advertisment

বাঘেল আড়াই বছরের মুখ্যমন্ত্রী?

গোটা পরিস্থিতি নিয়ে রাহুল কথা বলেন ছত্তিসগড়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত দলের সাধারণ সম্পাদক পি এল পুনিয়ার সঙ্গে। তখনই বাঘেল ও সিংদেওকে আড়াই বছরের জন্য দায়িত্ব ভাগ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত পাকা হয়।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
NULL

রাহুল গান্ধীর সঙ্গে বাঁ দিক থেকে বাঘেল, সিংদেও ও সাহু

আসলে কি আড়াই বছরের জন্য রাজ্যপাট পেলেন বাঘেল? ছত্তিসগড়ের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে সদ্য শপথ নিয়েছেন তিনি। কিন্তু এর পেছনে বহু অঙ্ক কষা হয়েছে, অভিনীত হয়েছে প্রভূত নাটক।

Advertisment

বাঘেল কিংবা সিংদেও, এ দুজনের কেউই নন, ছত্তিসগড়ের মুখ্যমন্ত্রী পদে অন্য একজনের কথা ভেবেছিলেন সোনিয়া-রাহুল। তাঁর নাম তমরাধ্বজ সাহু। মৃদুভাষী ওবিসি নেতা। গত ১৫ ডিসেম্বর কংগ্রেস নেতা মল্লিকার্জুন খাড়্গের টেবিলে তাঁর তরফ থেকে পৌঁছে দেওয়া হয়েছিল লাড্ডুর বাক্সও। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রিত্বের দৌড়ে থাকা অন্য তিন কংগ্রেস নেতা, বাঘেল, সিংদেও কিংবা চরণ দাস মহান্ত এ উদযাপনে অংশগ্রহণ করতে মোটেও রাজি ছিলেন না।

বাঘেল এবং সিংদেও দুজনেই একটা ব্যাপারে একমত ছিলেন। তাঁদের বক্তব্য কংগ্রেসের এই জয়ে তেমন কোনও বড় ভূমিকা নেই সাহু, এবং রাজ্যে তাঁর তেমন কোনও সমর্থনও নেই। তিন কংগ্রেস নেতার ক্ষিপ্ত মনোভাব গোপন থাকেনি। এই সময়েও ফের রাহুলের বাসভবনে ডাক পড়ে তিন কংগ্রেস নেতার।

আরও পড়ুন, কংগ্রেস থেকে ইস্তফা শিখ হত্যা মামলায় দোষী সাব্যস্ত সজ্জনের

সে ই বৈঠকেই মুখ্যমন্ত্রীর আসন নিয়ে সময় ভাগাভাগির প্রসঙ্গ ওঠে। সিংদেও বলেন, প্রথম দু বছর তিনি কার্যভার নেবেন, পরের তিন বছর আসন ছেড়ে দেবেন বাঘেলের হাতে। বাঘেলের দাবি ছিল, প্রথম মুখ্যমন্ত্রী হবেন তিনি নিজে। সে সময়ে সকলকে জানিয়ে দেওয়া হয় দায়িত্ব দেওয়া হবে সাহুকে, কারণ বাঘেল ও সিংদেও সহমত হতে পারছেন না। এ ব্যাপারে মাস্টারমাইন্ড ছিলেন রাহুল গান্ধী।

গোটা পরিস্থিতি নিয়ে রাহুল কথা বলেন ছত্তিসগড়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত দলের সাধারণ সম্পাদক পি এল পুনিয়ার সঙ্গে। তখনই বাঘেল ও সিংদেওকে আড়াই বছরের জন্য দায়িত্ব ভাগ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত পাকা হয়। তবে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে আভ্যন্তরীণ স্তরে।

বাঘেল শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান বয়কট করা শুধু নয়, হুমকি দিয়েছিলেন পদত্যাগেরও। সাহু মুখ্যমন্ত্রী হননি, কিন্তু তাঁর নাম ঘোষিত হয়ে গিয়েছিল অন্তত দলীয় স্তরে। সময় দিয়ে মুখ্যমন্ত্রিত্ব ভাগাভাগির পরিকল্পনা যাঁর মাথায় এসেছিল, সেই সিংদেও শুরুতে নয়, পরে আসন পাবেন, এই সিদ্ধান্ত তাঁকে মেনে নিতে হয়েছে।

তবে পাঁচ বছরের সময় ভাগাভাগির এই সিদ্ধান্ত জনসমক্ষে আনতে চাইছে না কংগ্রেস নেতৃত্ব। কংগ্রেসের এক নেতা বললেন, “এর ফলে ভুল বার্তা যাবে, কিন্তু পরিস্থিতি যা ছিল তাতে এ ছাড়া উপায় ছিল না। সব ব্যাপারটাই অস্পষ্ট। এমনকি এরকমটা আদৌ না হতে পারে। কেউই অর্ধেক মেয়াদের জন্য মুখ্যমন্ত্রী হতে চায় না। ৩০ মাস দীর্ঘ সময়, সবটাই নির্ভর করবে সরকার কেমন ভাবে চলছে, প্রতিশ্রুতি পালনে তার ভূমিকা কী এবং বিধায়করা সে সময়ে কী মনে করছেন এ সবের ওপরে।“

Read the Full Story in English

CONGRESS rahul gandhi
Advertisment