বিতর্কিত রাফাল চুক্তি সংক্রান্ত নথি প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের দফতর থেকে চুরি হয়ে গেছে, তাঁর এহেন দাবিকে কেন্দ্র করে দেশময় রাজনৈতিক আলোড়ন সৃষ্টি হওয়ার পর শুক্রবার অ্যাটর্নি জেনারেল কে কে বেণুগোপাল ১৮০ ডিগ্রি ঘুরে গিয়ে জানিয়েছেন, “ফাইল চুরি গেছে, এই মন্তব্য একেবারেই ভুল"। সেই প্রসঙ্গে কংগ্রেস নেতা এবং প্রাক্তন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী পি চিদাম্বরম বললেন, তিনি ধরে নিচ্ছেন চোর এসে আবার সমস্ত নথি ফিরিয়ে দিয়ে গেছে।
"বুধবার বলেছিলেন চুরি গেছে। আর শুক্রবার বলছেন ওসব আসল নথির ফটোকপি। ধরে নেওয়া যাক বৃহস্পতিবার সব নথি ফিরিয়ে দিয়ে গেছে চোর," টুইট করেছেন চিদাম্বরম।
On Wednesday, it was 'stolen documents'.
On Friday, it was 'photo copied documents'.
I suppose the thief returned the documents in between on Thursday.
— P. Chidambaram (@PChidambaram_IN) March 9, 2019
বুধবার কেন্দ্রের তরফ থেকে হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়, দেশের দুটি সংবাদমাধ্যম এবং একজন উকিলের বিরুদ্ধে অফিসিয়াল সিক্রেটস অ্যাক্টের আওতায় “ফৌজদারি পদক্ষেপ” নেওয়া হবে, কারণ তারা আদালতে পেশ করা নথির ভিত্তিতে প্রতিবেদন প্রকাশ করে। প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈ, এবং বিচারপতি এস কে কাউল ও কে এম জোসেফকে নিয়ে গঠিত বেঞ্চের সামনে এই মর্মে আর্জি জানান অ্যাটর্নি জেনারেল বেণুগোপাল। প্রথমে সংবাদ মাধ্যম দুটির নাম না করলেও পরে তিনি বলেন “দ্য হিন্দু এবং এএনআই-এর কাছে যা যা নথি আছে, সেগুলি চুরি করা নথি”।
আরও পড়ুন, ‘এখন ভয়েতে কেউ ফোন করেন না, হোয়াটসঅ্যাপ কলে কথা বলেন’
On Wednesday, the Official Secrets Act was shown to the newspaper.
On Friday, the Olive Branches Act was shown.
We salute common sense.
— P. Chidambaram (@PChidambaram_IN) March 9, 2019
প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ব্যাঙ্গাত্মক টুইট করে আরও বলেন, "বুধবার অফিসিয়াল সিক্রেটস অ্যাক্ট দেখানো হল, শুক্রবার অলিভ ব্রাঞ্চেস অ্যাক্ট।" অলিভ ব্রাঞ্চ, অর্থাৎ জলপাই গাছের ডাল, চিরাচরিত ভাবে শান্তি কামনার প্রতীক।
বেণুগোপাল বলেছিলেন, যশবন্ত সিনহা, অরুণ শৌরি, এবং উকিল প্রশান্ত ভূষণ রাফাল চুক্তির তদন্তের আবেদন খারিজ হয়ে যাওয়ার পর এই রায়ের পুনর্বিবেচনা চেয়ে যে আর্জি পেশ করেন, তার সঙ্গে তিনটি ফোটোকপি করা নথি সংযুক্ত করা হয়। এই গোটা ঘটনায় বেণুগোপাল পাশে পেয়েছেন প্রতিরক্ষা মন্ত্রী নির্মলা সীতারমনকে, যিনি টুইট করে এই বক্তব্যকে সমর্থন করেন।
ভারতের এডিটরস গিল্ড-এর পক্ষ থেকে জারি করা এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, "দ্ব্যর্থহীন ভাষায় এজির মন্তব্যের নিন্দা করছে গিল্ড…রাফাল মামলায় সুপ্রিম কোর্টের পূর্ববর্তী রায়ে কেন্দ্রকে ক্লিনচিট দেওয়া হয়েছিল। সেই রায়ের পুনর্বিবেচনার আবেদন চুরি যাওয়া নথির ওপর ভিত্তি করে দায়ের হয়েছে বলে তা বাতিল করে দেওয়া উচিত, এমনটাই মন্তব্য করেছেন তিনি। এর ফলে অফিসিয়াল সিক্রেটস আইন ভঙ্গ হয়েছে কি না, সে বিষয়ে তদন্তও করা যায় বলে ইঙ্গিত দিয়েছিলেন তিনি (বেণুগোপাল)।"