কুম্ভ মেলার থেকে অনেক কঠিন গঙ্গাসাগর মেলা। এখানে মানুষকে আসতে হয় বহু নদী, বহু পথ পেরিয়ে। সেই সাগরমেলার হাল কয়েক বছরেই বদলে দেওয়া হয়েছে আমূল। তিন দিনের দক্ষিণ ২৪ পরগনা সফরের তৃতীয় দিনে গঙ্গা সাগরে গিয়ে দাবি করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
এদিনে বক্তব্যে তাঁর আক্রমণের বর্শামুখ ছিল কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদী সরকারের দিকেই। বাংলার মানুষের জন্য কেন্দ্র যে কিছুই করে না সে অভিযোগ করে মমতার দাবি, বেশ কিছু প্রকল্পের ব্যাপারে এর পর থেকে কেন্দ্রের মুখাপেক্ষী হয়ে আর থাকবে না বাংলা। মমতার অভিযোগ, কেন্দ্রীয় সরকার বাংলার সঙ্গে বিমাতৃসুলভ আচরণ করছে।
আরও পড়ুন, ‘দক্ষিণেশ্বর মন্দির তৈরির সময় বিজেপি জন্মেছিল?’
শুধু এ রাজ্যের উন্নয়ন প্রসঙ্গেই নয়, মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্যে উঠে এসেছে ধর্ম ও রাজনীতির প্রসঙ্গও। তিনি বলেন, দুর্গাপুজো বা কালীপুজো এখানকার মানুষরা জন্ম থেকেই করে আসছেন। আজ নতুন করে তাঁদের পুজো করার কথা শেখানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। এদিনও যথারীতি বিজেপিকে ধর্মীয় ভেদাভেদের রাজনীতি করার জন্য তুলোধোনা করেন মমতা।
আগামী কিছুদিনের মধ্যে গঙ্গাসাগরে হাতানিয়া দোয়ানিয়া ব্রিজ তৈরির কাজ শেষ হয়ে যাবে বলে গঙ্গাসাগরে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। একইসঙ্গে তিনি অভিযোগ করেন, কেন্দ্র বলেছিল মুড়িগঙ্গা নদীর ওপর লোহার ব্রিজ বানিয়ে দেওয়া হবে। তিন বছর পার হয়ে গেলেও সে প্রতিশ্রুতি পালিত হয়নি। এদিন মমতা জানিয়েছেন, সুন্দরবনকে পৃথক জেলা তৈরি করা হবে। নতুন জেলা তৈরি হয়ে গেলে এখানকার মানুষকে আর সব কাজের জন্য আলিপুরে ছুটে যেতে হবে না বলে জানান মুখ্যমন্ত্রী।
আসন্ন গঙ্গাসাগর মেলায় শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখার জন্য প্রশাসনকে সহায়তা করার জন্য এলাকার মানুষের কাছে আহ্বান জানান মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়।