ঘুরে দাঁড়াতে কংগ্রেসের 'চিন্তা-ভাবনা'কে গুরুত্বই দিচ্ছেন না প্রশান্ত কিশোর। রাজস্থানের উদয়পুরে কংগ্রেসের সদ্য সমাপ্ত 'চিন্তন শিবির' ব্যর্থ বলে টিপ্পনি ভোটকুশলী পিকে-র। তাঁর কথায়, ''চিন্তন শিবির থেকে অর্থপূর্ণ কোনও ভাবনা বেরিয়ে আসেনি।'' শুধু তাই নয় আসন্ন গুজরাত ও হিমাচল প্রদেশের বিধানসভা নির্বাচনেও কংগ্রেসের ভরাডুবির আশঙ্কা করছেন প্রশান্ত কিশোর।
Advertisment
সম্প্রতি পিকে-র কংগ্রেস যোগ নিয়ে চূড়ান্ত টানাপোড়েন চলে। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, গুরুত্বপূর্ণ একটি পদ নিয়েই কংগ্রেসের যোগ দিতে চেয়েছিলেন পিকে। এমনকী দলে খোলনলচে বদল আনারও সুপারিশ ছিল তাঁর। যদিও কয়েকটি ক্ষেত্রে পিকে-র সেই দাবিকে মান্যতা দিলেও শতাব্দী প্রাচীন দলটি শুধুমাত্র পিকে-কে ভরসা করে এগোতে নারাজ ছিল। সোনিয়া-রাহুলের সঙ্গে কয়েক বার বৈঠকের পরেও তাই কংগ্রেস-সখ্য বাড়েনি প্রশান্ত কিশোরের।
দিন কয়েক আগেই রাজস্থানের উদয়পুরে তিন দিনের চিন্তন শিবির শেষ করেছে কংগ্রেস। সেই শিবিরে দলের পুনরুজ্জীবনে একগুচ্ছ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। দলীয়স্তরেও একাধিক ক্ষেত্রে বদল আনার প্রস্তাবও পাস করেছে কংগ্রেস হাইকম্যান্ড। তবে এখনও কংগ্রেসের 'ভালো' কিছু হওয়ার আশা দেখছেন না ভোটকুশলী প্রশান্ত কিশোর। এমনকী কংগ্রেসের সদ্যসমাপ্ত 'চিন্তন শিবির'ও ব্যর্থ হয়েছে বলে তোপ দেগেছেন পিকে।
টুইটে তিনি লিখেছেন, 'চিন্তন শিবির থেকে কংগ্রেস নেতৃত্ব অর্থপূর্ণ কিছু অর্জন করতে পারেননি। অন্তত গুজরাত এবং হিমাচল প্রদেশের আসন্ন নির্বাচনেও কংগ্রেসের হারের আগে কিছু শিখবেন না ওঁরা!'' এদিকে প্রবীণ কংগ্রেস নেতা শশী থারুর মনে করেন, ''চিন্তন শিবিরে দল ও দেশের জন্য মুখ্য চ্যালেঞ্জগুলির সৌহার্দ্যপূর্ণ সমাধান পাওয়া গেছে।''
এরই পাশাপাশি দলের পুনরুজ্জীবনে আরও বেশি জনসংযোগ প্রয়োজন বলে মনে করেন প্রাক্তন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী তথা বর্ষীয়ান কংগ্রেস নেতা পি চিদম্বরম। তাঁর কথায়, ''দেশের অর্থনীতি যে দুরবস্থায় রয়েছে তা জনগণের কাছে জানাতে আমরা ব্যর্থ হয়েছি। এটা স্বীকার করি। আমাদের জনসংযোগ দক্ষতা তীক্ষ্ণ করা উচিত।''