বিজেপির যুব নেতা মণীশ শুক্লা খুনে এফআইআর-এ নাম ছিল। ঘটনার পর পুলিশ তাঁদের বাড়িতে যায়নি, জিজ্ঞাসাবাদও করেনি। তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্বের দাবি, দুজনকেই ফাঁসানোর চক্রান্ত করেছে বিজেপি। বৃহস্পতিবার সিআইডির তলবে হাজিরা দেন ব্যারাকপুরের পুরপ্রশাসক উত্তম দাস ও টিটাগড়ের পুরপ্রশাসক প্রশান্ত চৌধুরী। কিছুক্ষণ জিজ্ঞাসাবাদের পর তাঁদের ছেড়ে দেয় সিআইডি।
আরও পড়়ুুন- অভিমন্যুর মতো কি চক্রব্যূহে অর্জুন?
আইনজীবী ও প্রাক্তন কাউন্সিলর মণীশ শুক্লা খুনের পর থেকেই উত্তপ্ত হয়ে রয়েছে ব্যারাকপুর শিল্পাঞ্চল। খুন নিয়ে অভিযোগ পাল্টা অভিযোগ চলছে বিজেপি ও তৃণমূলের মধ্যে। টিটাগড় থানায় মণীশ খুনে লিখিত অভিযোগে ৯জনের মধ্যে নাম রয়েছে দুই তৃণমূল নেতা উত্তম দাস ও প্রশান্ত চৌধুরীর। সেই নাম নিয়ে বিতর্ক দেখা দেয়। এফআইআর-এ নাম থাকা সত্বেও তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ না করায় নানা প্রশ্ন উঠতে থাকে। এরই মধ্যে টিটাগড় থেকে ব্যারাকপুর পর্যন্ত তৃণমূলের শান্তি মিছিলেও এই দুই নেতাকে দেখা যায়।
আরও পড়়ুুন- “আমরা দাদার অনুগামী”, বঙ্গ রাজনীতিতে কিসের ইঙ্গিত?
বুধবার উত্তম দাস ও প্রশান্ত চৌধুরীর কাছে নোটিশ পাঠায় সিআইডি। বৃহস্পতিবার সিআইডি স্পেশাল ব্রাঞ্চের অফিসে যান দুজনই। উত্তম দাস বলেন, "আমরা রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রের শিকার। বুধবার আমাকে ও প্রশান্ত চৌধুুরীকে তলব করেছে। আমাদের কাছে যে ধরনের সহযোগিতা চাইবে তা করব।" প্রশান্ত চৌধুরীও বলেন, "প্রকৃত অপরাধী ধরা পড়বে। সিআইডির ওপর ভরসা আছে। ষড়যন্ত্র করে আমাদের নাম এফআইআর-এ ঢোকানো হয়েছে।"
অভিযুক্ত উত্তম দাস ও প্রশান্ত চৌধুরীকে জিজ্ঞাসাবাদ না করায় নানা প্রশ্ন উঠছিল রাজনৈতিক মহলে। ব্যারাকপুরের সাংসদ অর্জুন সিং অভিযুক্তদের গ্রেফতারের দাবি জানিয়ে আসছেন। কেন তাঁদের গ্রেফতার করা হচ্ছে না তুলেছেন সেই প্রশ্নও। সূত্রের খবর, উত্তম দাস ও প্রশান্ত চৌধুরীর কাছে সিআইডি মূলত জানতে চেয়েছে ঘটনার সময় তাঁরা কোথায় ছিলেন? কী করছিলেন? তাঁদের সঙ্গে মণীশের কেমন সম্পর্ক ছিল। কিছু সময় জিজ্ঞাসাবাদের পর তাঁদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন