বিজেপি নেতা মণীশ শুক্লা হত্যাকাণ্ডে তাঁকে ফাঁসাতে চাইছে সিআইডি, বিস্ফোরক অভিযোগ করলেন ব্যারাকপুরের বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিং। শনিবার সিআইডি অফিসারদের একটি হোয়াটঅ্যাপ কথোপকথন প্রকাশ্যে আনেন সাংসদ। যা দেখিয়েই অর্জুন সিং দাবি করেন, মণীশ খুনে তাঁকে ফাঁসাতে রাজ্য গোয়েন্দা সংস্থার 'ষড়যন্ত্র' করছে।
টিটাগড়ে বিজেপির যুব নেতা খুনের ঘটনা পুলিশ ও তৃণমূলের যৌথ ‘অপারেশন’ করেছে বলেও এ দিন দাবি করেন অর্জুন সিং। তাঁর অভিযোগ, 'মণীশ শুল্কাকে খুন করেছে পুলিশ ও তৃণমূল। পুলিশ যে চার জনকে গ্রেফতার করেছে তারা চুনোপটি। আসল অভিযুক্তরা প্রকাশ্যে ঘুরছে। সিআইডি আমাকে কিভাবে ফাঁসাবে তার ষড়যন্ত্র করছে। হোয়াটঅ্যাপে চ্যাট সেই ষড়যন্ত্রের অংশ বিশেষ আমি পেয়েছি। সিআইডিকে দিয়ে মমতা সরকার পুরো ঘটনা ধামাচাপ দিতে চাইছে।' তবে, ওই চ্যাটে কি রয়েছে তা বিস্তারিতভাবে জানা যায়নি।
বিজেপি সাংসদের অভিযোগ উড়িয়ে পাল্টা দিয়েছেন রাজ্যের মন্ত্রী তথা তৃণমূল নেতা ফিরহাদ হাকিম। তিনি বলেছেন, 'মাথা খারাপ হয়ে গিয়েছে অর্জুনের। সিআইডি তদন্তকারীদের করোর উপর ব্যক্তিগত কোনও আক্রশ থাকে না। এত আতঙ্কিত কেন অর্জুন? ডাল মে কুছ কালা হ্যায় কেয়া?'
গত রবিবার সন্ধ্যায় টিটাগড় থানার কাছেই দুষ্কৃতীদের গুলিতে নিহত হন যুব বিজেপি নেতা সাংসদ অর্জুন সিং ঘনিষ্ঠ মণীশ শুক্লা। এই হত্যাকাণ্ডে তৃণমূলকে নিশানা করে বিজেপি। অভিযোগের আঙুল রয়েছে ব্যারাকপুর ও টিটাগড় পুরসভার পুর প্রশাসকের বিরুদ্ধে। পাল্টা রাজ্যের শাসক শিবিরের দাবি পদ্ম বাহিনীর অন্দরের কোন্দলেই খুন হয়েছেন যুব বিজেপি নেতা।
মণীশ হত্যাকে কেন্দ্র করে উত্তাল হয় রাজ্য রাজনীতি। কলকাতায় দেহ নিয়ে মিছিল করে বিজেপি। রাজ্যপালের কাছে গিয়ে গত সোমবারই সিবিআই তদন্তের দাবি জানান নিহতের বাবা সহ বিজেপি নেতৃত্ব। ঘটনার সিআইডি তদন্তের নির্দেশ দেয় রাজ্য সরকার।
তদন্তে নেমে এখনও পর্যন্ত খুররম খান,গুলাম শেখ, নাসির খান ও সুবোধ যাদবকে গ্রেফতার করেছে সিআইডি। যদিও গেরুয়া শিবিরের দাবি, এই ধরপাকড় আসলে লোক দেখানো ও সাজানো। হত্যা তদন্ত ধামাচাপা দিতে তৎপর সিআইডি। এ দিন হোয়াটঅ্যাপ চ্যাট প্রকাশ্যে এনে সেই অভিযোগই পোক্ত করতে চেয়েছেন বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিং।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন