/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2021/07/suvendu-shantikunjo.jpg)
শুভেন্দু অধিকারীর বাড়ি শান্তিকুঞ্জ।
শুভেন্দু অধিকারীর প্রাক্তন দেহরক্ষী মৃত্যু-তদন্তে আরও গতি বাড়াল সিআইডি। এবার বিরোধী দলনেতার বাড়ি শান্তিকুঞ্জের দরজায় পৌঁছালেন সিআইডির গোয়েন্দারা। শনিবার দুপুরে গোয়েন্দারা শুভেন্দু অধিকারী-সহ তৃণমূলের দুই সাংসদ শিশির অধিকারী ও দিব্যেন্দুর বাড়ির ভিডিওগ্রাফি করেছেন রাজ্য গোয়েন্দা সংস্থার চার আধিকারিক। এছাড়া আশপাশের বিভিন্ন এলাকারও ভিডিওগ্রাফি করা হয়েছে। চলছে স্কেচ তৈরির কাজও।
এদিন এলাকায় সিআইডি গোয়েন্দারা পৌঁছালে তাঁদের সঙ্গে বাড়ির বাইরে এসে কথা বলতে দেখা যায় হলদিয়ার তৃণমূল সাংসদ দিব্যেন্দু অধিকারীকে। তাঁকে সঙ্গে নিয়ে ঘটনাস্থল পুলিশ ব্যারাকে যান গোয়েন্দারা। চালানো হয় তল্লাশি। প্রত্যক্ষদর্শী ও প্রতিবেশীদের বয়ানও রেকর্ড করা হয়। গত বুধবারও ওই বাড়িতে তল্লাশি চালায়েছিলেন গোয়েন্দারা।
আরও পড়ুন-হঠাৎই রাজধানীতে রাজ্যপাল, কারণ ঘিরে জল্পনা
দিন কয়েক আগেই রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রীর শুভেন্দু অধিকারীর দেহরক্ষীর মৃত্যুর ঘটনার তদন্তভার হাতে নিয়েছে রাজ্যের গোয়েন্দা সংস্থা। শুরু থেকেই তৎপর সিআইডি। আগেই মৃত দেহরক্ষী শুভব্রত চক্রবর্তীর বাড়িতে গিয়ে একপ্রস্থ জিজ্ঞাসাবাদ সেরেছেন গোয়েন্দারা। কাঁথি থানায়ও গিয়েছেন তারা।
২০১৮ সালের ১৩ অক্টোবর কাঁথির পুলিশ ব্যারাকে কর্তব্যরত অবস্থায় মাথায় গুলি লাগে শুভব্রত চক্রবর্তীর। গুরুতর জখম কলকাতার হাসপাতালে নিয়ে আসা হয় শুভেন্দুর দেহরক্ষীকে। পরদিনই তাঁর মৃত্যু হয়। ঘটনার প্রায় আড়াই বছর পর স্বামীর মৃত্যুর সত্যতা উদঘাটনে পূর্ব মেদিনীপুরের কাঁথি থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন সুপর্ণা কাঞ্জিলাল চক্রবর্তী। তাঁর প্রশ্ন, ছয়-সাত বছর এই দায়িত্বে থাকার পর কীভাবে আচমকা তিনি গুলিবিদ্ধ হলেন শুভব্রত? কেনই বা তাঁকে কলকাতার হাসপাতালে স্থানান্তরিত করতে এত দেরি হল? এফআইআর-নাম রয়েছে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা ও তাঁর এক ঘনিষ্ঠের।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন