নাগরিকত্ব বিলকে কেন্দ্র করে আসমে বিজেপি সরকার থেকে সমর্থন প্রত্যাহার করল অসম গণ পরিষদ (অগপ)। দলের সভাপতি অতুল বর সোমবার এই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে দিলেন। ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনের আগে অগপ-এর এমন পদক্ষেপে গেরুয়া ব্রিগেড রীতিমতো বেকায়দায় পড়ল বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
প্রসঙ্গত, 'জিন্নার উত্তরাধিকার' সংক্রান্ত মন্তব্যে তুমুল বিতর্ক তৈরি হওয়ার পর সোমবার ফের মুখ খোলেন আসামের অর্থমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা। এদিন তিনি বলেন, "নাগরিকত্ব বিল পাশ না হলে, আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে আসামে হিন্দুরা সংখ্যা লঘুতে পরিণত হবেন"।
বিজেপি সরকারের নাগরিকত্ব (সংশোধন) বিল ২০১৬ অনুযায়ী, বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের হিন্দু, পার্সি, শিখ, জৈন এবং খ্রিষ্টান ধর্মালম্বী 'শরণার্থী'দের নাগরিকত্ব দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। কিন্তু, অগপ মনে করছে, এই বিল আইনে রূপান্তরিত হলে বাংলাদেশি হিন্দুতে ভরে যাবে আসাম। আর এ জন্যই তারা এই বিলের বিরোধিতা করছে। উল্লেখ্য, গত বছর অক্টোবর মাসে অসম গণ পরিষদ এই নাগরিকত্ব বিলের বিরুদ্ধে মিছিল করেছিল সে রাজ্যে।
প্রসঙ্গত, ১২৬ আসনের আসাম বিধানসভায় এই মুহূর্তে বিজেপি-র ৬১ জন বিধায়ক রয়েছে। এছাড়া, বিজেপির জোটসঙ্গী বোরো পিপলস ফ্রন্ট এবং অগপ-র আসন সংখ্যা যথাক্রমে ১৪ এবং ১২। ফলে, অগপ সমর্থন প্রত্যাহার করলেও সে রাজ্যে বিজেপি সরকারের পতনের কোনও সম্ভবনা নেই। তবে, লোকসভা ভোটের প্রাক্কালে একের পর এক জোটসঙ্গী যখন বিজেপির হাত ছাড়ছে বা দর কষাকষি করছে, তখন উত্তরপূর্বের গুরুত্বপূর্ণ রাজ্য আসামে অগপ-র এমন সিদ্ধান্ত নিশ্চিতভাবেই মোদী-শাহের কপালের ভাঁজ চওড়া করবে।
Read the full story in English