৮ এবং ৯ জানুয়ারি শ্রমিক সংগঠনগুলির ডাকে "কেন্দ্রের শ্রমিক-বিরোধী নীতির" প্রতিবাদে বারো দফা দাবিতে দেশজুড়ে দু'দিনের সাধারণ ধর্মঘট। বাম-সমর্থিত সংগঠনগুলির পাশাপাশি ধর্মঘটে শামিল হয়েছে কংগ্রেসের শ্রমিক সংগঠন আইএনটিইউসি-ও। বস্তুত সংঘ পরিবারের ভারতীয় মজদুর সংঘ বাদে দেশের সমস্ত কেন্দ্রীয় ট্রেড ইউনিয়ন ও কর্মচারী ফেডারেশন এই ধর্মঘট সমর্থন করছে।
বিক্ষিপ্ত অশান্তির ঘটনা বাদ দিলে দু'দিনের ধর্মঘটের প্রথম দিনে এখনও পর্যন্ত কলকাতা সহ গোটা রাজ্যে মোটের উপর জনজীবন স্বাভাবিক। কোথাও কোথাও বাসে ঢিল মারার ঘটনা ঘটেছে, চেষ্টা হয়েছে অন্যান্য গাড়িও ভাঙচুরের। এ পর্যন্ত ১১টি গাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে পরিবহন দফতর সূত্রে খবর। সকাল ছটা থেকে নটা পর্যন্ত অবরোধের জেরে বিভিন্ন শাখায় রেল চলাচল বিঘ্নিত হয়েছে।সড়কপথে বিক্ষিপ্ত অবরোধ হলেও দ্রুত হস্তক্ষেপ করেছে পুলিশ।
শহরে যান চলাচল স্বাভাবিক। স্কুল-কলেজ খোলা। দোকানপাট-বাজারহাটও চলছে অন্যদিনের মতোই। স্বাভাবিক মেট্রো পরিষেবাও। এ পর্যন্ত ৩৯১ জন ধর্মঘটি শুধু কলকাতাতেই গ্রেফতার হয়েছেন, যাঁদের মধ্যে ৩৫৭ জন পুরুষ, ৩৪ জন মহিলা। এবারের ধর্মঘটের প্রতি মূহুর্তের আপডেট জানতে চোখ রাখুন আমাদের সাইটে।
5.50 pm: কালকে বনধ চালানোর বিরুদ্ধে পাল্টা হুঁশিয়ারি দিলেন তৃণমূল নেতা তথা রাজ্যের খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। "যথোপযুক্ত ব্যবস্থার" কথা বললেন তিনি। হিসেব বলছে, কালও উত্তপ্ত থাকতে চলেছে রাজ্য।
5.15 pm: "কালকেও বনধ করব, গ্রেফতার করে দমন করা যাবে না," আলিমুদ্দিন স্ট্রিটে সাংবাদিক সম্মেলনে ঘোষণা করলেন সিপিআই(এম) রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্র'। সরকারের আঘাত এলেই হবে প্রত্যাঘাত, একথাও ফের বললেন তিনি।
কলকাতার ময়দান মেট্রো স্টেশনে ঢুকে মেট্রো রেল পরিষেবায় বিঘ্ন ঘটানোর চেষ্টা করেন কংগ্রেসের ট্রেড ইউনিয়ন শাখা আইএনটিইউসি-র একদল কর্মী। #BharatBandh #WorkersStrike pic.twitter.com/2ZU4fWCVCd
— IE Bangla (@ieBangla) January 8, 2019
5.05 pm: ময়দান মেট্রো স্টেশনে ঢুকে মেট্রো রেল পরিষেবায় বিঘ্ন ঘটানোর চেষ্টা করেন কংগ্রেসের ট্রেড ইউনিয়ন শাখা আইএনটিইউসি-র একদল কর্মী। পরে আটক করা হয় তাঁদের।
4.40 pm: মধ্য কলকাতায় খান্না সিনেমার সামনে পুলিশের সঙ্গে ধ্বস্তাধ্বস্তিতে জড়ালেন এসইউসিআই-এর পতাকাধারী বনধ সমর্থকরা।
3.35 pm: অবশেষে পথে পাওয়া গেল রাজ্যের শীর্ষ বাম নেতা ও বামফ্রন্ট কমিটির চেয়ারম্যান বিমান বসুকে। কলকাতার হেদুয়া অঞ্চল থেকে মিছিলে যোগ দিলেন তিনি।
#WorkersStrike #BharatBandh অবশেষে কলকাতার পথে দেখা গেল বিমান বসুকে। হেদুয়া থেকে মিছিলে হাঁটলেন রাজ্যের বামফ্রন্ট কমিটির চেয়ারম্যান। ভিডিও: শশী ঘোষ pic.twitter.com/CYGpYORTM2
— IE Bangla (@ieBangla) January 8, 2019
3.25 pm: কেরালায় বনধের সবচেয়ে বেশি প্রভাব পড়েছে ট্রেন চলাচলের ওপর। রাজ্যের মধ্যে চলাচলকারী একাধিক ট্রেন হয় বাতিল হয়েছে, নয়তো অনেক দেরিতে চলেছে।
#WorkersStrike #BharatBandh শিলিগুড়িতে বনধের বিরোধিতায় পথে নামল তৃণমূল। #iebangla ভিডিও: দেবস্মিতা দাস pic.twitter.com/512SSd05sX
— IE Bangla (@ieBangla) January 8, 2019
3.10 pm: শিলিগুড়িতে সকালে গ্রেফতার হন একাধিক বাম নেতা কর্মী। দুপুরে বনধের বিরোধীতা করে শহরের রাস্তায় দেখা গেল তৃণমূলের মিছিল।
#WorkersStrike The workers of Tripura have brought cities to standstill. Shops remain closed, so do factories. No to anti worker policies of the @narendramodi Govt. pic.twitter.com/kYqSIb1mlj
— CPI (M) (@cpimspeak) January 8, 2019
3.05 pm: টুঁইটারে সিপিআইএম পার্টির পক্ষ থেকে দাবী করা হয়েছে, বনধের প্রভাবে জনজীবন কার্যত স্তব্ধ ত্রিপুরায়।
2.50 pm: দুপুরের মাণিকতলা মোড় তুলনামূলকভাবে জনশূন্য, তবে কলকাতা এখনও শান্ত। আজ শহরের অফিস, স্কুল, কলেজে হাজিরা ছিল মোটের ওপর স্বাভাবিক। জেলা থেকেও এখন পর্যন্ত কোনও অশান্তির খবর আসে নি আর।
1.40 pm: আজকের ধর্মঘটে যোগ দিয়েছে একাধিক ব্যাঙ্ক ইউনিয়ন। আগামীকাল পরিস্থিতি অনুযায়ী গ্রাহকদের বার্তা দেওয়া হবে বলে জানিয়েছে অনেকগুলি ব্যাঙ্ক।
এনআরএস হাসপাতালের পরিস্থিতি অন্যান্য দিনের মতোই স্বাভাবিক, চিকিৎসকরাও আসছেন ঠিক সময়েই। অন্তত এমনটাই জানালেন রোগীদের পরিবার। ভিডিও: শশী ঘোষ pic.twitter.com/oI5ncFWv5k
— IE Bangla (@ieBangla) January 8, 2019
1.30 pm: নীলরতন সরকার হাসপাতাল চত্বরে দেখা গেল, পরিস্থিতি স্বাভাবিক। আর পাঁচটা দিনের মতোই কর্মব্যস্ত।
1.15 pm: যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে নরেন্দ্র মোদীর কুশপুত্তলিকা পোড়ালো ছাত্রছাত্রীরা।
1.00 pm: কলকাতায় বড়বাজারের পোস্তা এলাকায় মোটামুটি ভালো সাড়া মিলল বনধের। কার্যত নিষ্ক্রিয় হয়ে বসে রইলেন অধিকাংশ দিনমজুর ও শ্রমিক।
12.40 pm: বনধে জনজীবন সচল রাখতে রাস্তায় নামল তৃণমূল কংগ্রেস। মেদিনীপুরে মিছিল করে জনজীবন স্বাভাবিক রাখার আবেদন জানান দলীয় কর্মীরা।
12.30 pm: আজ কলকাতায় শীর্ষ বাম নেতাদের মধ্যে গ্রেফতার হলেন সুজন চক্রবর্তী, অনাদি সাহু, মধুজা সেন রায়, রূপা বাগচী, ও দিবাকর ভট্টাচার্য। শিলিগুড়িতে গ্রেফতার হন অশোক ভট্টাচার্য।
12.15 pm: হাওড়া শাখায় আপাতত কোনো অবরোধ নেই, জানাচ্ছে পূর্ব রেলওয়ে। শিয়ালদা শাখাতেও সকাল ১০.৪২ এর পর থেকে আর কোনো অবরোধের খবর পাওয়া যায়নি।
12.10 pm: বন্ধের ছিটেফোঁটা নেই ভাঙড়ে। একেবারে স্বাভাবিক যান চলাচল। ওপরে বাসন্তী হাইওয়ের ঘটকপুকুর এর ছবি।
11.55 am: কলকাতা শহরে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক থাকলেও, রাস্তায় মানুষজনের ভিড় অপেক্ষাকৃত কম, যদিও অফিসে হাজিরা বাধ্যতামূলক, অন্তত রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের। দেখুন কিছু টুকরো ছবি।
11.45 am: আসানসোলের বিএনআর মোড়ে রেল অবরোধ করলেন সিপিএম সমর্থকরা। এর জেরে আটকে পড়ে চেন্নাই-ডিব্রুগড় এক্সপ্রেস। হাতে দলীয় পতাকা নিয়ে বনধ সমর্থকরা লাইনে দাঁড়িয়ে অবরোধ করেন।
11.40 am: সকাল ১১ টা নাগাদ মেদিনীপুর কেরানিতলায় টায়ার জ্বালিয়ে রাস্তা অবরোধ করে বনধ সমর্থকরা। পুলিশ এসে আগুন নেভায় এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করে। চৌমাথার মোড়ে টায়ারে আগুন ধরিয়ে দেওয়ায় চারিদিকের গাড়ি আটকে যায়, সৃষ্টি হয় ব্যাপক যানজট।
11.10 am: ব্যারাকপুর কমিশনারেটের অন্তর্গত টবিন রোডের কাছে আমাদের সঙ্গে কথা বললেন এক বাম কর্মী।
পুলিশ মিছিলে বাধা দিয়েছে, দাবি বাম কর্মীর। আমাদের সঙ্গে কথা বলা শেষ না হতেই এই ব্যক্তির উপর চড়াও হন তৃণমূল কর্মীরা...অকথ্য গালিগালাজ করে চলে যেতে বলা হয় তাঁকে। #iebangla ভিডিও: নির্ণয় ভট্টাচার্য #BharatBandh pic.twitter.com/V0qO0aO0pZ
— IE Bangla (@ieBangla) January 8, 2019
10.55 am: সার্ভে পার্ক থানার পালবাজারে বনধ সমর্থকদের অবরোধ, পুলিশ পাঁচ মহিলা সহ গ্রেফতার করল চল্লিশ জন ধর্মঘটিকে।
10.45 am: তেতে উঠেছে পূর্ব বর্ধমান। বনধ সমর্থকদের জমায়েতে পুলিশের লাঠিচার্জ। জনতাকে ছত্রভঙ্গ করতে রাজপথে ধাওয়া পুলিশের।
10.40 am: সোরো, জলেশ্বর, রঘুনাথবাড়িতে অবরোধ উঠল, ওই শাখায় ট্রেন চলাচল শুরু হয়েছে বলে রেল সূত্রে খবর।
কলকাতার বিটি রোডে মিছিল বনধ সমর্থকদের। #iebangla ভিডিও: অরুণিমা কর্মকার #BharatBandh pic.twitter.com/VxuzOz8Ryc
— IE Bangla (@ieBangla) January 8, 2019
10.35 am: শিলিগুড়িতে সমস্ত ট্রেড ইউনিয়নগুলির মিছিল হল। মিছিলে উপস্থিত ছিলেন শিলিগুড়ি পুরনিগমের মেয়র অশোক ভট্টাচার্য ও দার্জিলিং জেলা বামফ্রন্টের একাধিক শ্রমিক ইউনিয়নের নেতা। অশোকবাবু জানিয়েছেন, "যেখানে যতই গ্রেপ্তারি হোক, আমরা ভয় পাই না। পুলিশ দিয়ে বনধ ব্যর্থ করা যাবে না। সব বন্ধ রয়েছে। মানুষ বনধ সমর্থন করছেন।"
10.30 am: জলেশ্বর, সোরো, রঘুনাথবাড়িতে চলছে অবরোধ, বেশ কয়েকটি ট্রেন আটকে, রেল সূত্রে খবর।
10.20 am: মিছিল থেকে সরকারি বাস আটকানো এবং বিভিন্ন স্কুল বাস আটকানোর অভিযোগে এনজেপি এলাকা থেকে সিপিএমের ৩৪ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর, সিপিএমের নেতা দিবস চৌবে সহ বেশ কয়েকজনকে গ্রেফতার করেছে এনজেপি থানার পুলিশ। জলপাইগুড়ির কদমতলা এলাকা থেকে গ্রেফতার সিপিআইএম-এর জেলা সম্পাদক সলিল আচার্য্য সহ ১০ জন।
10.15 am: বারুইপুরে এসপি অফিসের সামনে সিপিএম-এর মিছিলে হামলা, বনধ সমর্থকদের মারধর। অভিযোগ তৃণমূল সমর্থকদের বিরুদ্ধে।
10.10 am: পূর্ব মেদিনীপুরে শিল্প শহর হলদিয়ায় বনধের তেমন প্রভাব পড়েনি। জেলার অন্যতম শিল্পতালুক হলদিয়া এবং মহিষাদল, সুতাহাটায় বন্ধের সমর্থনে গুটিকয়েক বাম সমর্থককে পথে নামতে দেখা যায়। তবে পুলিশ তাদের হটিয়ে দেয়। আর পাঁচটা দিনের মত আজও যানচলাচল থেকে কারখানার উৎপাদন ছিল স্বাভাবিক। রাস্তায় সরকারি ও বেসরকারি সমস্ত বাস পথে নামে। বনধের প্রভাব যাতে কোনভাবে সাধারন মানুষের ওপর না পড়ে, তার জন্য ঝান্ডা হাতে পথে নামেন তৃণমূলের প্রতিনিধিরা। হলদিয়া টাউনশিপে বাম শ্রমিক সংগঠনের পক্ষ থেকে বনধ সমর্থকরা পথে নামলে পুুুুলিশ তাঁদের সরিয়ে দেয়। পাশাপাশি মহিষাদলে রাস্তায় আগুন চালিয়ে পথ অবরোধের চেষ্টা করে বনধ সমর্থকরা। পরে পুলিশ তাদের হটিয়ে দেয়।
10.00 am: পশ্চিম মেদিনীপুর কেন্দ্রীয় বাস স্ট্যান্ডে ব্যক্তিগত মালিকানাধীন বাস দাঁড়িয়ে রয়েছে। সরকারি বাস চলাচল করলেও বেসরকারি বাস চলাচল সম্পূর্ণ বন্ধ রয়েছে। সরকারি বাস ডিপো বন্ধ করতে গিয়ে পুলিশের হাতে গ্রেফতার হলেন পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা এসএফআই সম্পাদক প্রসেনজিৎ মুদি, সদস্য মানস দাস। পুলিশের লাঠির ঘায়ে আহত প্রসেনজিৎ।
9.55 am: ডানলপ মোড়ে হাওড়া গামী বাসের অপেক্ষায় বহু যাত্রী। ঠাসাঠাসি ভিড় সলপের বাসে।
9.50 am: সকাল ৬ টায় বীরভূমের রামপুরহাট স্টেশনে প্রথম অবরোধ, পরে পুলিশ হটিয়ে দেয়। তবে আপ ডাউন দু লাইনেই বিভিন্ন স্টেশনে অবরোধের কারণে ট্রেন নেই। বাম এবং কংগ্রেস মরীয়া হয়ে নেমেছে। জেলার বেসরকারি বাস খুব কম চলছে।
9.40 am: বনধ ঘিরে উত্তপ্ত উত্তর ২৪ পরগণা। সকালে বারাসাতের চাঁপাডালিতে ধর্মঘটিদের সরাতে পুলিশের দফায় দফায় মৃদু লাঠি চার্জ। ডাকবাংলো মোড়ে গাড়িতে ভাঙচুর। জেলায় চড়ছে বনধের উত্তেজনার পারদ।
9.30 am: এখনও ট্রেন চলাচল ব্যাহত বহু শাখায়, কিন্তু রূপসা, দাঁতন, বেলদা, বালিচক, গিরি ময়দান স্টেশনে অবরোধ উঠে গেছে বলে দক্ষিণ-পূর্ব রেল সূত্রে খবর।
9.20 am: কলকাতার লর্ডস ক্রসিংয়ে বনধ সমর্থকদের গ্রেফতার করল পুলিশ। গার্ডেনরিচ শিপ বিল্ডিং-এর সামনে আইএনটিইউসি সমর্থকদের জমায়েত এবং বিক্ষোভ। কসবায় জিএসটি ভবনের সামনে ধর্মঘটীদের পিকেটিং চলছে।
9.15 am: হাওড়া ও শিয়ালদা শাখায় বিভিন্ন জায়গা থেকে ট্রেন চলাচল ব্যাহত হওয়ার খবর আসছে। সকাল থেকে ট্রেন আটকে বারাসাত স্টেশনে।
9.05 am: বনধ ঘিরে চরম উত্তেজনা আসানসোলের বিএনআর মোড়ে। বনধ সমর্থক ও তৃণমূল কর্মীদের মধ্যে হলো বচসা ও হাতাহাতি। ঘটনাস্থলে বিশাল পুলিশ বাহিনী। এদিন জোর করে গাড়ি আটকাতে যান বনধ সমর্থকরা। এই নিয়ে দুপক্ষের মধ্যে হাতাহাতি হয়। পরে দুপক্ষকে সরিয়ে দিয়ে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। জামুরিয়াতে সরকারি বাসে ভাঙচুর করার অভিযোগ উঠল বনধ সমর্থকদের বিরুদ্ধে। ঘটনাস্থলে জামুরিয়া থানার পুলিশ।
9.00 am: কলকাতার বিডন স্ট্রিট ক্রসিংয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর কুশপুত্তলিকা পোড়ালেন বনধ সমর্থকরা। রাস্তা অবরোধ করতে গেলে সরিয়ে দিল পুলিশ।
8.55 am: পশ্চিম মেদিনীপুরের শালবনির ভাদুতলায় টায়ার জ্বালিয়ে ৬০ নম্বর জাতীয় সড়ক অবরোধ করলেন বনধ সমর্থকরা। সকালবেলায় জাতীয় সড়ক অবরোধের জেরে যানবাহনের দীর্ঘ লাইন পড়ে যায়।
8.45 am: সিকিম থেকে শিলিগুড়ি যাওয়ার যান চলাচল স্বাভাবিক এখনও। তবে অন্যদিনের তুলনায় গাড়ির সংখ্যা কম।
8.35 am: এখন পর্যন্ত পাওয়া খবর অনুযায়ী, শহরে গ্রেফতার হয়েছেন ১৩৭ জন বনধ সমর্থক। কুড়ি জন ধর্মঘটী গ্রেফতার দক্ষিণ কলকাতার ভবানী সিনেমার সামনে পথ অবরোধের জন্য। বনধ প্রতিরোধে শহরজুড়ে সক্রিয় পুলিশবাহিনী।জনজীবন স্বাভাবিক। যান চলাচলও।
8.30 am: শ্রমিক সংগঠনগুলি ধর্মঘট সফল করতে মরিয়া। রাজ্যের সিটু নেতৃত্ব স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, ধর্মঘট সফল করতে তাঁরা রাস্তায় নামবেন। সড়ক ও রেললাইন অবরোধ করা হবে। জোর করে প্রশাসন ধর্মঘট ভাঙতে এলে প্রত্যাঘাত করা হবে।
সকালে ওয়েলিংটন মোড়, কলকাতা #BharatBandh pic.twitter.com/327gZLk5tK
— IE Bangla (@ieBangla) January 8, 2019
8.25 am: জলপাইগুড়ি থেকে খবর, রেল ও সড়ক অবরোধের কারণে ব্যাহত স্বাভাবিক জনজীবন। নিজেদের সুরক্ষার জন্য হেলমেট পরে বাস চালাচ্ছেন সরকারি বাস চালকরা। বেসরকারি বাস রাস্তায় নেই বললেই চলে।
8.20 am: ঢাকুরিয়ার দক্ষিণাপণের সামনে অবরোধ জনা তিরিশ বনধ সমর্থকের।
8.10 am: যাদবপুর স্টেশনে অবরোধ ধর্মঘট সমর্থকদের। সিপিআইএম নেতা সুজন চক্রবর্তীর নেতৃত্বে পুলিশের সঙ্গে ধ্বস্তাধ্বস্তি বনধ সমর্থকদের।
সকাল আটটার ধর্মতলা মোড়, কলকাতা। #BharatBandh pic.twitter.com/v4FxqWYFta
— IE Bangla (@ieBangla) January 8, 2019
8.05 am: বনধের জেরে রেলের দক্ষিণ-পূর্ব শাখায় বিঘ্নিত ট্রেন চলাচল। হাওড়া-খড়গপুর ও খড়গপুর-ভদ্রক শাখায় ট্রেন চলাচল বিঘ্নিত।
8.00 am: ওড়িশায় আজ সমস্ত স্কুল, কলেজ এবং অন্যান্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকছে ধর্মঘটের জেরে। আগামীকালও বন্ধ থাকবে কিনা সে সিদ্ধান্ত পরে নেওয়া হবে, জানিয়েছেন রাজ্যের স্কুলশিক্ষা দফতরের সচিব পিকে মহাপাত্র।
7.50 am: আজ এবং আগামীকাল রাজ্যে গণপরিবহন ব্যবস্থা সচল রাখতে পর্যাপ্ত ব্যবস্থা থাকবে বলে আশ্বাস দিয়েছে রাজ্য সরকার। সরকারি বাস রাস্তায় নামবে রোজকার মতোই। থাকবে বেসরকারি বাসও। উবের-ওলার প্রায় বিশ হাজার গাড়ি রোজ চলে শহরে। পরিষেবা স্বাভাবিক রাখার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে দুই সংস্থাই। একই আশ্বাস দিয়েছে ট্যাক্সি সংগঠনগুলিও।
বনধের প্রথম দিন সকালে স্বাভাবিক যশোর রোড #BharatBandh pic.twitter.com/Ab7dra5keu
— IE Bangla (@ieBangla) January 8, 2019
7.40 am: জনজীবন ব্যাহত করার কোনরকম চেষ্টা হলে দ্রুত তা কড়া হাতে দমনের নির্দেশ আছে পুলিশের উপরও। লালবাজার সূত্রের খবর, তিন হাজারেরও বেশি পুলিশকর্মী মোতায়েন থাকবেন রাস্তায়। টহলদারির তত্ত্বাবধানে থাকবেন কুড়ি জন ডিসি পদমর্যাদার অফিসার। শহরে থাকছে তিনশোর বেশি পুলিশ পিকেট।
7.20 am: শহরের মৌলালিতে নীলরতন সরকার হাসপাতালের কাছ থেকে গ্রেফতার সিটু নেতা অনাদি সাহু সমেত ১৬ জন বনধ সমর্থক। রাসবিহারী মোড়ে গ্রেফতার ২০ জন সমর্থক। শহরের বিভিন্ন স্থানে মিছিল বের করছেন ধর্মঘটিরা।
7.05 am: শিয়ালদা-রানাঘাট ও বারাসাত-বনগাঁ শাখায় ট্রেন চলাচল আংশিক বিঘ্নিত। সকাল ৫.১০ নাগাদ সোদপুর-আগরপাড়া এবং সকাল ৫.৫০ নাগাদ কল্যাণী- কাঁচড়াপাড়ার মাঝখানে ট্রেন চলাচলে বাধা দেয় বনধ সমর্থকরা। বারাসাত-বনগাঁ শাখায় সকাল ৫.৪৫ থেকে মসলন্দপুরে ব্যাহত হয়। এছাড়া শিয়ালদা ও হাওড়ার সব শাখায় ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে বলে জানানো হয়েছে। আসানসোল ও মালদা শাখায়ও স্বাভাবিক ট্রেন চলাচল করছে।
6.50 am: দেশের অন্যান্য রাজ্য থেকে বনধের খবর আসছে। সকাল সাড়ে দশটা নাগাদ মুম্বইয়ের আজাদ ময়দানে জড়ো হবেন প্রায় ২৫,০০০ বনধ সমর্থক, এবং মহারাষ্ট্রের ৩৫ টি জেলায় দফায় দফায় চলবে একই ধরনের সমাবেশ।
6.35 am: রাজ্যে ধর্মঘট হলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলিতে আগে থেকে ছুটি ঘোষণা করার রেওয়াজ আছে।এবার এখনও পর্যন্ত সেভাবে আগাম ছুটি ঘোষিত হয়নি শহরের স্কুলগুলিত। সিটু নেতা সুভাষ মুখোপাধ্যায় অভিভাবকদের কাছে আবেদন করেছেন বাচ্চাদের স্কুলে না পাঠাতে। সেই আবেদনে কোটটা সাড়া মিলবে, তা নিয়ে সংশয় রয়েছে। পড়ুয়াদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এই ধর্মঘটে প্রশাসনের কাছে বড় চ্যালেঞ্জ।
6.20 am: ভোর পৌনে পাঁচটা নাগাদ বনধ সমর্থকরা দুটি সরকারি বাসে ঢিল ছুড়ল। যাদবপুর এবং গড়িয়া রথতলা অঞ্চলে ঘটনাদুটি ঘটেছে। বাস দুটির কাচ ভেঙে গেছে বলে স্থানীয় সূত্রে খবর।
বামেদের সামনে আজ রাজ্যে শক্তি প্রদর্শনের অগ্নিপরীক্ষা। গত দু'বছরে বদলে গিয়েছে রাজ্যের রাজনৈতিক চালচিত্র। বামেদের পিছনে ফেলে পশ্চিমবঙ্গে প্রধান বিরোধী শক্তি হিসাবে উঠে এসেছে বিজেপি। লোকসভা নির্বাচনের আর বেশি দেরি নেই। তাঁরা যে এখনও ফুরিয়ে যাননি, সেটা প্রমাণ করার মঞ্চ হিসাবে এই ধর্মঘটকে ব্যবহার করতে মরিয়া চেষ্টা করবেই বামশক্তি। সে চেষ্টা কতটা সফল হয়, সেটাই দেখার।