এপ্রিলের মাঝামাঝি রাজ্যের ১১০ পুরসভায় ভোট হতে পারে। যা ধরে নিয়ে আগেভাগেই রাজ্য নির্বাচন কমিশনের কাছে আপত্তি জানিয়ে রাখল বিজেপি। বৃহস্পতিবার রাজ্য নির্বাচন কমিশনার সৌরভ দাসের সঙ্গে দেখা করে এই আপত্তির কথা জানিয়েছেন বিজেপির কর্মসমিতির সদস্য মুকুল রায় এবং রাজ্যের সহ সভাপতি জয়প্রকাশ মজুমদার। গেরুয়া শিবিরের পক্ষ থেকে মাইকে প্রচারের জন্য উপযুক্ত সময়ে দাবি করা হয়েছে।
মুকুল রায় বলেন, 'আমরা পুরভোটে লড়তে প্রস্তুত। কিন্তু প্রচারের সময় কই? যদি এপ্রিলের ১২ তারিখ ভোট হয় তাহলে প্রচারের জন্য হাতে মাত্র ১০-১২দিন সময় থাকে। প্রচারে বিজেপিকে ঠেকাতে এটা রাজ্য সরকারের চক্রান্ত।' জানা গিয়েছে, কলকাতায় ও হাওড়া পুর নিগমের ভোট ১২ এপ্রিল করার জন্য নবান্নের তরফে রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।
মার্চের ২৭ তারিখ পর্যন্ত উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা চলবে। কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশ মেনে ভোটের জন্য ওই সময় পর্যন্ত প্রচার কাজ করা যাবে না। এই কারণে কমিশনের কাছে ভোট পিছনোরও আর্জি জানিয়ে রেখেছেন পদ্ম শিবিরের নেতারা।
আরও পড়ুন: থানায় মুকুল রায়, ‘জীবনে কোনওদিন অনৈতিক কাজ করিনি’
এই প্রসঙ্গে বিজেপিকে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি শাসক দল তৃণমূল। মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় বলেন, 'গোটা বাংলা জানে কলকাতা সহ রাজ্যের ১১০টি পুরসভায় আগামী এপ্রিলে নির্বাচন হবে। তাহলে তারা এতদিন ধরে কী করল? হারের ভয়ে এইসব অজুহাত খাড়া করছে বিজেপি।'
জানা গিয়েছে, মার্চের ২য় সপ্তাহে পুরভোটের বিজ্ঞপ্তি জারি করতে পারে রাজ্য নির্বাচন কমিশন। ইতিমধ্যেই হাওড়া , উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনার সরকারি আধিকারিকদের সঙ্গে আলোচনা সেড়েছে কমিশন। ভোটের জন্য প্রস্তুত থাকতে বলা হয়েছে সরকারি কর্মীদের।
বাম এবং কংগ্রেস অবশ্য চায়, রাজ্য জুড়ে পুরভোট এক দিনেই হোক। সেই সঙ্গে তাদের দাবি, ভোটের দিনক্ষণ যখনই ধার্য করা হোক, প্রচারের জন্য যেন পর্যাপ্ত সময় থাকে।
Read the full story in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন