Advertisment

পুরভোটে 'বাহিনী' ইস্যুতে জোটবদ্ধ বিরোধী শিবির

সর্বদল বৈঠকেই কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে ভোট করানোর দাবি জানাবে রাজ্যের বিরোধী দলগুলো।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
NULL

পুরভোটে 'বাহিনী' ইস্যুতে এককাট্টা বিরোধী দলগুলো।

পুরভোটে 'বাহিনী' ইস্যুতে তৃণমূলকে কোণঠাসা করতে একজোট বিরোধী শিবির। কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়েই পুরভোট করানোর দাবি তুলবে বিজেপি, বাম ও কংগ্রেস। আগামী শুক্রবার পুরভোট নিয়ে সর্বদল বৈঠকের ডাক দিয়েছেন রাজ্য নির্বাচন কমিশনার সৌরভ দাস। সেই বৈঠকেই কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে ভোট করানোর দাবি জানাবে রাজ্যের বিরোধী দলগুলো।

Advertisment

তৃণমূল জমানায় ২০১৫-র পুরভোট ও ২০১৮ সালের পঞ্চায়েত ভোটে হিংসার ঘটনা ঘটেছিল। রাজনৈতিক হিংসায় একাধিক মানুষ প্রাণ হারিয়েছিলেন। বিরোধীদের অভিযোগ ছিল, রাজ্যের শাসক দলের সন্ত্রাস ও পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার দরুণই ভোটে হিংসা ছড়িয়েছিল। বিগত পঞ্চায়েত প্রায় ৩৫ শতাংশ আসনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয় পায় জোড়া-ফুল প্রার্থীরা। অভিযোগ, কোথাও ভয় দেখিয়ে, আবার কোথাও পুলিশি মদতে বিরোধী প্রার্থীদের মনোনয়ন পেশ করতে দেওয়া হয়নি। বহু ক্ষেত্রেই আবার, ভোটের দিন বুথে বিরোধী দলের এজেন্টদের বসতেই দেওয়া হয়নি। সেই অভিজ্ঞতাকে তুলে ধরে আসন্ন পুরভোটে কেন্দ্রীয় বাহিনীর নিরাপত্তার দাবি জানাবে বিজেপি, কংগ্রেস ও বাম দলগুলো।

আরও পড়ুন: পুরভোট শান্তিপূর্ণ করতে কমিশনকে সংবিধান ‘স্মরণ’ করালেন ধনকড়

এ প্রসঙ্গে বিজেপির কেন্দ্রীয় সম্পাদক রাহুল সিনহা বলেন, 'এই সরকারের আমলে পর্যাপ্ত কেন্দ্রীয় বাহিনী ছাড়া শান্তিপূর্ণ ও অবাধ নির্বাচন অসম্ভব। তাই ১৩ মার্চের সর্বদল বৈঠকে আসন্ন পুরসভা ভোট কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে করার দাবি জানাবে বিজেপি।'

বাম পরিষদীয় দলনেতা সুজন চক্রবর্তীর কথায়, 'রাজ্যব্যাপী পুরভোট এক দিনে করার দাবি ইতিমধ্যেই জানানো হয়েছে। এছাড়াও ব্যালোটে ভোটের বদলে ইভিএম ব্যবহারের কথাও জানিয়েছি। তৃণমূল জানে অবাধ ভোটে হলে তারা হারবে। তাই ভোটে কারচুপি করতেই ব্যালোটে ভোটে করানোর চেষ্টা চালাচ্ছে শাসক দল। কিন্তু, তা হতে দেওয়া যাবে না। রাজ্যে ভোটে এলেই তৃণমূলের মদতে হিংসার ঘটনা বেড়ে যায়। তাই কেন্দ্রীয় বাহিনীর সুরক্ষাতেই পুরভোট করানোর দাবি জানাবে বামফ্রন্ট।' একই দাবি প্রদেশ কংগ্রেস নেতৃত্বেরও।

আরও পড়ুন: পুরভোটে প্রার্থী খুঁজতে ড্রপ বক্সে আস্থা বিজেপির

বিরোধীদের অভিযোগ উড়িয়ে তৃণমূলের এক প্রথম সারির নেতা জানিয়েছেন, 'শান্তিপূর্ণ ও অবাধ ভোটের লক্ষ্যেই কয়েক দফায় ভোট হবে। আর এজন্য রাজ্য পুলিশই যথেষ্ট।'

আগামী মাসের মাঝামাধি কলকাতা, হাওড়া পুরনিগম সহ রাজ্যের শতাধিক পুরসভায় ভোট হতে পারে। ইতিমধ্যেই ভোটে প্রস্তুতি হিসাবে ১৮ জেলার প্রশাসনিক আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক সেরেছেন রাজ্য নির্বাচন কমিশনার।

Read the full story in English

ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন

tmc bjp CONGRESS CPIM
Advertisment