ফের খবরের শিরোনামে কোচবিহারের দিনহাটা। আসন্ন পুর নির্বাচনে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়াকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত দিনহাটা মহকুমা দফতর চত্বর। যদিও শেষমেশ বিশাল পুলিশবাহিনী পরিস্থিতি সামাল দেয়। উত্তেজনা থামাতে লাঠিচার্জ করে পুলিশ।
বুধবার কোচবিহার দক্ষিণের মিহির গোস্বামী-সহ বিজেপির দুই বিধায়ক দলের প্রার্থীদের নিয়ে মনোনয়নপত্র জমা দিতে গেলে ওঠে 'গো ব্যাক' স্লোগান। মিহির গোস্বামী-সহ অন্যদের লক্ষ্য করে ডিম ছোড়া হয় বলে অভিযোগ। মুহুর্তের মধ্যে গোটা এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। বিজেপি ও তৃণমূল কর্মীদের মধ্যে শুরু হয়ে যায় ব্যাপক গন্ডগোল। বচসা-ধাক্কাধাক্কিতে উত্তেজনা চরমে ওঠে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে লাঠিচার্জ করে পুলিশ।
দুয়ারে পুর-নির্বাচন। আগামী ২৭ ফেব্রুয়ারি রজ্যের ১০৮টি পুরসভায় নির্বাচন। তার আগে বুধবারই ছিল মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ দিন। এদিন দিনহাটা মহকুমা দফতরে মনোনয়নপত্র জমা দিতে যাচ্ছিলেন বিজেপি প্রার্থীরা। দলের প্রার্থীদের সঙ্গে ছিলেন কোচবিহার দক্ষিণ কেন্দ্রের বিজেপি বিধায়ক মিহির গোস্বামী এবং শীতলকুচির বিজেপি বিধায়ক বরেনচন্দ্র বর্মন। অভিযোগ, এদিন মহকুমা দফতরের সামনে গেলেই বিজেপি নেতা-প্রার্থী ও কর্মীদের বাধা দেয় তৃণমূলের কর্মীরা।
বিজেপি বিধায়ক ও প্রার্থীদের লক্ষ্য করে গো-ব্যাক স্লোগান দেওয়া হয়। এমনকী বিজেপি বিধায়ক মিহির গোস্বামী ও বেশ কয়েকজনকে লক্ষ্য করে ডিম ছোড়ারও অভিযোগ ওঠে। মুহূর্তে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে গোটা এলাকায়। বিজেপি ও তৃণমূল কর্মীদের মধ্যে বচসা বেধে যায়।
আরও পড়ুন- তাড়া করে মুরগি মারল হাঁস, ভাইপোকে কাঠগড়ায় তুলে সটান থানায় চাচা
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এলাকায় বিশাল পুলিশবাহিনী মোতায়েন করা হয়। গোটা এলাকা ঘিরে ফেলে পুলিশ। পরিস্থিতি শান্ত করতে লাঠি উঁচিয়ে তেড়ে যেতেও দেখা যায় পুলিশকর্মীদের। লাঠিচার্জ করে পরিস্থিতি সামাল দন পুলিশকর্মীরা। পুলিশি হস্তক্ষেপেই শেষমেশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।
এদিন দিনহাটা মহকুমা অফিস চত্বরে চলা যাবতীয় গন্ডগোলের দায় তৃণমূলের উপরেই চাপিয়েছে বিজেপি। যদিও বিজেপির তোলা অভিযোগ উড়িয়েছে শাসকদল। বিজেপি কোচবিহার জেলা সভাপতি সুকুমার রায়ের অভিযোগ, ''দিনহাটায় নাটাবাড়ির বিধায়ককেও লাঠি পেটা করেছে তৃণমূল।'' যদিও বিজেপির তোলা অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল নেতৃত্ব।