CM at Delhi: সূচি মেনেই মঙ্গলবার বিকেল ৪টের আগেই প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে পৌঁছে যান মুখ্যমন্ত্রী। এই বৈঠকের আগে তিনি কংগ্রেসের দুই নেতা কমল নাথ এবং আনন্দ শর্মার সঙ্গে বৈঠক করেছেন। সূত্রের খবর, জিএসটি-র বকেয়া মেটানো-সহ একাধিক ইস্যুতে প্রায় আধ ঘণ্টা প্রধানমন্ত্রী-মুখ্যমন্ত্রীর আলোচনা হয়েছে। এই আলোচনায় উঠতে এসেছে ভ্যাকসিন প্রসঙ্গ। এমনকি, পেট্রোপণ্যের মুল্যহ্রাসের পদক্ষেপ নিক কেন্দ্র। এই অনুরোধ প্রধানমন্ত্রীকে করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। রাজ্যের নাম বদল নিয়ে দ্রুত পদক্ষেপ করতে অনুরোধ করেছেন তিনি। এই বৈঠকের পর সাংবাদিকের মুখোমুখি হয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেছেন, "তৃতীয় তৃণমূল সরকার গঠনের পর এটা সৌজন্য সাক্ষাৎ। সংবিধান মেনে নির্বাচনে জিতলে রাষ্ট্রপতি-প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করতে হয়। আমি সেটা করতেই এসেছি।"
তবে সৌজন্য সাক্ষাতের পাশাপাশি ভ্যাকসিন বণ্টন নিয়ে আলোচনা হয়েছে। সাংবাদিকদের জানান মমতা। তিনি বলেন, "কেন্দ্রীয় স্তরে ভ্যাকসিন বণ্টনের সময় বাংলার জনসংখ্যার কথা মাথায় রাখা হোক। আমাদের সংক্রমণ হার কম হলেও, আরও ভ্যাকসিন দরকার। এই অনুরোধ আমি করেছি। রাজ্যের নাম বদল নিয়ে এখনই উদ্যোগী হোক কেন্দ্র। এই আবেদনও প্রধানমন্ত্রীকে করা হয়েছে।"
অন্য নেতার সঙ্গে বৈঠকের ব্যাপারে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা সব পুরনো বন্ধুবান্ধব। এভাবেই সাক্ষাৎ করি। এবারেও তাই করব। সনিয়াজি আমাকে কাল সন্ধ্যায় চা-চক্রে ডেকেছেন। সেখানেও আলাপ-আলোচনা করব।‘ রাষ্ট্রপতি ভবনে যাওয়ার ব্যাপারে বলেন, ‘আমাকে বলা হয়েছে আরটি-পিসিআর করে আসতে। যদিও আমার দুটি টিকাকরণ সম্পন্ন। এখন আমি কোথায় এসব করব?’ তাই রাষ্ট্রপতির শারীরিক সুস্থতা কামনা করে একবার অনুরোধ করব। যদি আমাদের অনুমতি না দেন, যাব না রাষ্ট্রপতির সঙ্গে দেখা করতে। পরে আসব দেখা করতে। অবস্থান স্পষ্ট করে এমনটাই বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী।
জানা গিয়েছে, প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকের পরেই অপর এক কংগ্রেস নেতা তথা আইনজীবী অভিষেক মনু সিংভির সঙ্গে বৈঠক করবেন তৃণমূল সুপ্রিমো। পাঁচদিনের দিল্লি সফরের দ্বিতীয় দিন থেকেই তৎপর মুখ্যমন্ত্রী। বুধবার কংগ্রেস সভানেত্রী সনিয়া গান্ধী-সহ এনসিপি এবং শিবসেনার সাংসদদের সঙ্গে বসতে পারেন মমতা। তাঁর সঙ্গে সাক্ষাতের ইচ্ছাপ্রকাশ করেছেন সমাজবাদী পার্টির নেতা অখিলেশ যাদবও।
বুধবারেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়-শরদ পাওয়ারের বৈঠকের সম্ভাবনা উসকে দিয়েছেন প্রবীণ ওই রাজনীতিবিদ। সেদিন দুপুর একটায় তৃণমূল সাংসদ সুখেন্দু শেখর রায়ের বাসভবনে দলের সংসদীয় কমিটির বৈঠকে যোগ দেবেন তিনি। দুপুর আড়াইটার সময় সাংবাদিকদের মুখোমুখি হবেন তিনি। বিকেল সাড়ে ৪টায় ১০ জনপথে সনিয়া-মমতা সাক্ষাৎ। আর সাড়ে ৬টায় বৈঠক করবেন অরবিন্দ কেজরিওয়ালের সঙ্গে। এমনটাই তৃণমূল মিডিয়া শাখা সূত্রে খবর। এদিকে, বিজেপি-বিরোধী ফ্রন্ট গঠনের সুত্রধর হিসেবে কাজ করবেন দলের নেত্রী। এমনটাই জানিয়েছে ঘাসফুল শিবির। যদিও আজ সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তাঁর অবস্থান স্পষ্ট করেননি তৃণমূল নেত্রী। তিনি বলেছেন, ‘আঞ্চলিক দলগুলো তাদের মতোই থাকবে। আমরা কাউকে নেতৃত্ব দেব না, আমরা অনুসরণ করব।‘
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন