পালা বদলের আভাস রক্তচাপ বাড়াল গেরুয়া শিবিরের, ইস্তেহারেই কিস্তিমাৎ কংগ্রেসের?

মোটের ওপর শান্তিতেই শেষ হয়েছে কর্ণাটক বিধানসভা নিরবাচন। তবে নির্বাচন শেষে বুথ ফেরত সমীক্ষা রক্তচাপ বাড়াচ্ছে গেরুয়া শিবিরের। কংগ্রেস শিবিরে স্বস্তির ইঙ্গিত। বুথফেরত সমীক্ষার যে ইঙ্গিত, তাতে বেশ চাপে আছে বিজেপি। একাধিক এক্সিট পোলের রিপোর্ট অনুসারে রাজ্যে সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে ফিরতে চলেছে কংগ্রেস। আবার কোন কোন এক্সিট পোলের রিপোর্ট কর্ণাটক বিধানসভা নির্বাচনে ‘কিংমেকার’হয়ে উঠতে পারে জেডিএস। ম্যাজিক ফিগার না ছুঁলে কংগ্রেস একক বৃহত্তম দল হবে।

মুখ্যমন্ত্রী বাসভরাজ বোমাই কী সত্যি কুর্সি হারাতে চলেছেন? বুধবার সন্ধ্যায় ভোটগ্রহণ পর্ব শেষে বুথ ফেরত সমীক্ষার ফলাফল প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী বোমাই বলেন, “প্রতিটি এক্সিট পোলের সমীক্ষায় উঠে এসেছে আলাদা আলাদা চিত্র। তবে সম্পূর্ণ গ্রাউন্ড রিপোর্ট বিজেপিকে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা দিয়েছে। এক্সিট পোলের ফলাফল শতভাগ নিখুঁত হয় না। আগামী ১৩ মে ফলাফলের জন্য অপেক্ষা করা ছাড়া আমাদের কাছে আপাতত কোন পথ নেই। তবে আমরা জয়ের ব্যাপারে ১০০ শতাংশ আশাবাদী”। এক্সিট পোল সম্পর্কে মন্তব্য করে, বিজেপির প্রবীণ এবং প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বি এস ইয়েদিয়ুরাপ্পা বলেছেন, “আমি জনগণের স্পন্দন অনুভব করতে পারছি, আমরা নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে ১১৫টির বেশি আসন পাব এবং আমরা সরকার গঠন করব”।

এদিকে এক্সিট পোলের সমীক্ষা সামনে আসতেই খুশির মেজাজ কংগ্রেস শিবিরে। প্রবীণ কংগ্রেস নেতা এবং প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়া তার দলের জয় সম্পর্কে আত্মবিশ্বাস প্রকাশ করে বলেছেন “আমি শুরু থেকেই বলেছিলাম যে আমরা ১৩০-১৫০ আসন জিতব। আমরা এবার সব অঞ্চলেই ভাল পারফর্ম করব। উপকূলীয় ১৩টি জেলার মধ্যে, আমরা গত বিধানসভা নির্বাচনে মাত্র একটি আসনে জিতেছিলাম তবে এবার আমরা আরও আসনে জয়ী হব।"

বজরং দলকে নিষিদ্ধ করার ঘোষণা ভোটারদের প্রভাবিত করেছে কিনা তা জানতে চাওয়া হলে প্রবীণ কংগ্রেস নেতা বলেন, “"এটি মোটেও নির্বাচনী ইস্যু নয়"। “আমাদের ইস্তেহারে আমরা বলেছি যে দল সাম্প্রদায়িক হিংসা এবং সাম্প্রদায়িক রাজনীতিকে উৎসাহিত করবে তাদের কঠোরভাবে মোকাবেলা করা হবে। আমরা হিন্দু-মুসলমানের মধ্যে কোন বিভেদ করিনি”। কর্ণাটক কংগ্রেস প্রধান ডি কে শিবকুমার বলেছেন, “আমি এক্সিট পোলে বিশ্বাস করি না। আমি গ্রাউণ্ড রিপোর্ট পেয়েছি এবং আমরা ১৪১ আসনে জিতব”।

সিনিয়র কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী একটি টুইট বার্তায় লিখেছেন, ‘একটি প্রগতিশীল ভবিষ্যতের জন্য বিপুল সংখ্যক ভোট দেওয়ার জন্য কর্ণাটকের জনগণকে ধন্যবাদ।" জেডি(এস) নেতা এইচ ডি কুমারস্বামী বলেন, “দল মাত্র ২৫ টি আসনে সীমাবদ্ধ থাকবে”। তার জন্য তিনি "আর্থিক সঙ্কট"কে দায়ী করেছেন।