ফের আসরে আন্না হাজারে। যে আন্না হাজারের সঙ্গে কাঁধে কাঁধে মিলিয়ে করা লোকপাল আন্দোলন অরবিন্দ কেজরিওয়ালের রাজনৈতিক ভিত্তির জন্ম দিয়েছিল। সেই আন্না হাজারে ফের দেশের দুর্নীতি বিরোধিতার মঞ্চে। তবে, এবার শিষ্য কেজরিওয়ালের পাশে বসে আন্দোলনে নামার জন্য নয়। দিল্লি সরকারের আবগারি নীতি নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগ ওঠায় চিঠি দিয়েছেন আন্না। যা ভবিষ্যতে প্রধানমন্ত্রী হওয়ার স্বপ্ন দেখা অরবিন্দ কেজরিওয়ালের কাছে নিশ্চিতরূপে এক বড় আঘাত। কারণ, চিঠিতে আন্না হাজারে অভিযোগ করেছেন, রাজনীতিতে নেমে কেজরিওয়াল তাঁর 'আদর্শ ভুলেছেন। ক্ষমতায় মত্ত হয়ে উঠেছেন।' তাঁর 'গুরু'র এই সমালোচনার জবাবে কেজরিওয়াল পালটা বলেছেন, এসব বিরোধীদের চক্রান্ত- 'আন্নার কাঁধে বন্দুক রেখে গুলি চালাচ্ছে' বিরোধীরা।
কেজরিওয়ালের বই 'স্বরাজ' থেকে উদ্ধৃতি দিয়ে হাজারে বলেছেন যে তিনি তাঁকে মদের বিষয়ে তাঁর আগের অবস্থানের কথা মনে করিয়ে দিতে চেয়েছেন। আন্না আরও বলেছেন যে, দিল্লি সরকারের নীতিহীনতা এবং দুর্নীতির সম্ভাবনা বৃদ্ধির সঙ্গেই অ্যালকোহল সেবন এবং বিক্রি বাড়ানো প্রভাব ফেলেছে। হাজারে অভিযোগ, এসব জনস্বার্থের জন্য ক্ষতিকর। কেজরিওয়াল সরকারের বর্তমান ডেপুটি মণীশ সিসোদিয়া আবগারি দফতর দেখাশোনা করেন। সিসোদিয়াও লোকপাল আন্দোলনে আন্নার সঙ্গে ছিলেন। যেমন ছিলেন প্রাক্তন আপ নেতা যোগেন্দ্র যাদব, প্রশান্ত ভূষণ এবং কুমার বিশ্বাসরা। লোকপাল নিয়োগের দাবিতে ২০১১ সালে হাজারে দুর্নীতি বিরোধী আন্দোলন শুরু করেন। কিন্তু, কেজরিওয়ালরা যখন পরে দল গঠনের সিদ্ধান্ত নেন, সেই দলে হাজারে ছিলেন না।
আরও পড়ুন- খাবারের জন্য দ্বীপরাষ্ট্রে হাহাকার! চরমতম দারিদ্র কবে ঘুচবে, প্রশ্ন শ্রীলঙ্কাবাসীর
হাজারের চিঠি সম্পর্কে মঙ্গলবার কেজরিওয়াল বলেন, 'যখনই বিরোধীরা কিছু বলে এবং জনগণ শোনে না, তখনই তারা কাউকে না-কাউকে সামনে এগিয়ে দেয়। পঞ্জাব বিধানসভা নির্বাচনের সময় বিরোধীরা বলেছিল যে কেজরিওয়াল একজন সন্ত্রাসবাদী। জনগণ তাদের দেখে হাসতে শুরু করায় তারা কুমার বিশ্বাসকে এগিয়ে দেয়। এখন তারা বলছে আবগারি নীতিতে কেলেঙ্কারি আছে। কিন্তু, সিবিআই কিছুই খুঁজে পায়নি এবং কার্যত ক্লিনচিট দিতে বাধ্য হয়েছে। জনগণ তাদের কথা শুনছে না দেখে বিরোধীরা এখন আন্না হাজারের কাঁধে ভর করে গুলি চালাচ্ছে। এটা একটা রাজনীতি।'
Read full story in English