রাজভবনে ধনকড়-মমতা একান্ত বৈঠক শেষ। রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়ের সঙ্গে আজ দুপুরে রাজভবনে গিয়ে দেখা করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রায় এক ঘন্টা তাঁদের বৈঠক হয়। পরে রাজভবনের পশ্চিম দরজা দিয়ে বেরিয়ে যায় মুখ্যমন্ত্রীর কনভয়।
রাজভনের সঙ্গে নবান্নের সম্পর্ক অম্ল মধুর। পদে পদে সংঘাত যেমন হচ্ছে তেমনই ধরা পড়েছে সৌজন্যের বিষয়টিও। রাজ্যের আমলাদের ডেকে সমান্তরাল প্রশাসনিক বৈঠকের ডাক থেকে দুর্গা কার্নিভ্যাল বা বিধানসভায় পাস হওয়া বিলে সাক্ষর না করা। বিভিন্ন ইস্যুতে মমতা সরকারের বিরুদ্ধে তোপ দেগেছেন রাজ্যপাল ধনকড়। এই আবহেই প্রজাতন্ত্র দিবসের মঞ্চে মমতা-ধনকড়কে হাসিমুখে শুভেচ্ছা বিনিময় করতে দেখা গিয়েছিল। তারপরও অবশ্য, বাজেট অধিবেশনে রাজ্যপালের ভাষণ নিয়ে অনিশ্চয়তা ছিল। কিন্তু জগদীপ ধনকড় ‘সংবিধান মেনে’ই সরকারের তৈরি করে দেওয়া বক্তৃতাই পাঠ করেন। কিন্তু, তার পরেই পুর নির্বাচনে হিংসার আশঙ্কা প্রকাশ করেন তিনি। কোচবিহারের পঞ্চানন বর্মা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তন ঘিরে বর্তমানে সমস্যা চলছে। যেখানে আমন্ত্রণ না পাওয়ার অভিযোগ করে আচার্য-রাজ্যপাল ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যকে শো কজ করেছেন।
আরও পড়ুন: ‘সহযোগিতা করুন, উস্কানি দেবেন না’, চিঠিতে মমতার বার্তা ধনকড়কে
Kolkata: West Bengal CM Mamata Banerjee met Governor Jagdeep Dhankhar, at Raj Bhawan, today. https://t.co/8yIUtOH9Yk pic.twitter.com/ZHtGasi59T
— ANI (@ANI) February 17, 2020
নানা সময়ে রাজ্যপাল মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে মুখোমুখি বসে কথা বলার ইচ্ছা প্রকাশ করছেন। এদিনের মুখ্যমন্ত্রী-রাজ্যপাল সাক্ষাৎ তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধানের সঙ্গে প্রশাসনিক প্রধানের সাক্ষাৎকারকে কী চোখে দেখছে গেরুয়া শিবির? রাজ্য বিজেপি সভাপতি তথা সাংসদ দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘রাজ্যপালের সঙ্গে রাজ্য সরকারের ভাল সম্পর্ক হলে রাজ্যবাসী উপকৃত হবেন। রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধানকে এড়িয়ে বা হেয় প্রতিপন্ন করে ভালভাবে প্রশাসন চালন কার্যত অসম্ভব। অসৌজন্যের রাজনীতি চলতে থাকলে মানুষ তাদের ভালভাবে গ্রহণ করবেন না।’
Read the full story in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন