Mamata at Siliguri: পাঁচ দিনের উত্তরবঙ্গ সফরে রবিবার শিলিগুড়িতে বিজয়া সম্মিলনীতে উপস্থিত হয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। এদিন তিনি স্মৃতিমেদুর এবং আবেগঘন হয়ে পড়েন। তিনি বলেন, ‘আমাকে জীবন্ত লাশ বলতে পারেন। স্বাধীনতার পর এত ঘাত-প্রতিঘাত কারও উপর আসেনি। এসব কিছু সহ্য করেই আমি এই জায়গায়। আমার চোখে, কোমরে সাড়া শরীরে অস্ত্রোপচার। আমাদের ছোট বেলায় বিবেকানন্দ, নেতাজির লেখা বই পড়তে বলা হত। অনেক ছোট থেকেই আমি রাজনীতিতে। ১২ কী ১৩ বছর বয়স থেকেই। আমার বাবা স্বাধীনতা সংগ্রামী ছিলেন। তাঁর থেকে গল্প শুনেই আমি উদ্বুদ্ধ হই।‘
তিনি বলেন, ‘আমি সব পুজো করি, মনকে পবিত্র করি।‘ এত বড় দুর্গাপুজো সুষ্ঠু ভাবে সম্পন্ন করার জন্য সংশ্লিষ্ট সবপক্ষকে ধন্যবাদ জানান তিনি। শান্তিতে এত বড় উৎসব পালন করা বাংলায় সম্ভব। বাংলায় শ্মশানের শান্তি নয়, মৈত্রীর শান্তি, সম্প্রীতির শান্তি। বাংলা ত্রিপুরা নয়, গেলেই মাথায় মার। সন্তোষ মোহন দেবের মেয়েকে মেরেছে। এভাবেই এই অনুষ্ঠান থেকে বিজেপিকে কটাক্ষ করেন তিনি।
ভোট পরবর্তী হিংসা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘ফল ঘোষণার পর উত্তরবঙ্গে ক’টা হিংসা, হানাহানি হয়েছে। বিজেপি হুক্কা-হুয়া করে ঘুরছে। হিংসা, হিংসা করে। তোরা আগে ত্রিপুরার দিকে দেখ।‘ সুর চড়িয়ে তাঁর আরও মন্তব্য,’ উত্তর প্রদেশে লোকে ঢুকতে পারে না। দিল্লিতে বিদ্যুৎ সঙ্কট। টিকাকরণে বাংলা প্রথমে। আমরা টিকা নষ্ট করেনি। টিকা প্রদানে বাংলায় দক্ষ স্বাস্থ্যকর্মী-আশাকর্মী রয়েছেন। বাংলায় ৪০% হয়েছে দ্বিতীয় ডোজ। আমার দরকার ১৪ কোটি, পেয়েছি ৭ কোটি। ডবল ডোজ ১০০% না হলে সেটাকে ১০০% টিকাকরণ বলে না।‘
তাঁর পরামর্শ, ‘কোভিড নিয়ে আগামি দুই মাস সাবধানে থাকবেন।‘ ম্যালেরিয়া রোধে পুলিশ-প্রশাসনকে সক্রিয় হতে বলেন তিনি। বাংলা তিন নম্বর ছাগল ছানা। ইউপি, মহারাষ্ট্র বেশি পেলেও আমার রাজ্য বড় হলেও পর্যাপ্ত টিকা পায়নি। এভাবেও সরব মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর কটাক্ষ, ‘টিকা দিলে সার্টিফিকেট প্রধানমন্ত্রীর ছবি। তাহলে যারা কোভিডে মারা গিয়েছেন, তাঁদের সার্টিফিকেটে মোদির ছবি লাগালে কী হবে!’ জ্বালানির এবং রান্নার গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধি নিয়েও সরব হয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী।
এমনকি, কোভ্যাকসিন নিয়ে অনেকে বিদেশে যেতে পারছেন না। এমন অভিযোগ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। তবে বাংলায় অধিকাংশকে কোভিশিল্ড দিয়েছি। শিলিগুড়ির বিজয়া সম্মেলনীতে দাবি করেন মুখ্যমন্ত্রী।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলাএখনটেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন