রাজধানীতে ফের মোদী-মমতা সাক্ষাতের সম্ভাবনা মাথাচাড়া দিল। চলতি মাসের ২৯ তারিখ দিল্লি যাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী। পরদিন ৩০ এপ্রিল তিনি যোগ দেবেন সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি এবং বিভিন্ন রাজ্যের হাইকোর্টের বিচারপতিদের একটি অনুষ্ঠানে। বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যা ছাড়াও ওই অনুষ্ঠানে যোগ দওয়ার কথা অন্যসব রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদেরও। সেমিনারে থাকার কথা রয়েছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীরও। জানা যাচ্ছে, সেখানেই প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে এ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর সাক্ষাৎ হতে পারে।
এমনিতেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দিল্লি সফর মানেই ব্যস্ততায় ভরা। দিল্লি গেলেই তিনি অন্যান্য রাজনৈতিক দলের নেতা-নেত্রীদের সঙ্গেও দেখা করেন। গতবার দিল্লি সফরে গিয়ে কংগ্রেস সভানেত্রী সনিয়া গান্ধী, রাহুল গান্ধী , শরদ পাওয়ার, কানিমোঝি সহ একঝাঁক বিজেপি বিরোধী দলের নেতা-নেত্রীরদের সঙ্গে দেখা করেছিলেন তৃণমূল নেত্রী। জোর দিয়েছিলেন গেরুয়া বিরোধী জাতীয়স্তরের জোট গঠনের। এবার অবশ্য তাঁর সফরের কর্মসূচিসম্পর্কে এখনও স্পষ্ট করা হয়নি। তবে ২৯ তারিখ মমতার দিল্লি যাওয়ার বিষয়টি চূড়ান্ত বলেই নবান্নের তরফে জানা গিয়েছে।
নানা রাজনৈতিক ইস্যু ও কেন্দ্র সরকারি সিদ্ধান্তকে কেন্দ্র করে সাম্প্রতিক সময়ে কেন্দ্র এবং রাজ্যের সম্পর্ক তলানিতে। রাজ্যের বকেয়া প্রাপ্য টাকা দেওয়ায় বঞ্চনার অভিযোগ শুরু থেকেই করে করছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এছাড়াও মোদী সরকারের বিরুদ্ধে বাংলার প্রতি বৈমাত্রীক ব্যবহারের অভিযোগ করে তৃণমূল। মুখ্যমন্ত্রী দিল্লি গিয়ে সদ্যসমাপ্ত বিশ্ববাণিজ্য সম্মেলনের জন্য প্রধানমন্ত্রীকে আমন্ত্রণ জানিয়ে এলেও আসেননি মোদী। এই আবহে মোদী-মমতা সাক্ষাৎ বহুক্ষেত্রে বিশেষ তাৎপর্যবাহী বলে মনে করা হচ্ছে।