KMC Poll 2021: রবিবার বিকেলে মিত্র ইনস্টিটিউশনে ভোট দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই ওয়ার্ডে তৃণমূল প্রার্থী তাঁর ভ্রাতৃবধূ কাজরী বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রার্থীর সঙ্গেই এদিন বুথে ঢুকতে দেখা গিয়েছে মুখ্যমন্ত্রীকে। ভোটগ্রহণ এবং ভোট পরিচালনায় সন্তুষ্ট মমতা পুলিশের ভূমিকাকে কুর্নিশ জানান। পাশাপাশি তিনি সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘উৎসবের মেজাজে ভোট হয়েছে। মানুষ শান্তিতে ভোট দিয়েছে। ভোটদানের হার সন্তোষজনক। চিন্তার কারণ নেই।‘ এদিন সকাল থেকে আসা বিরোধীদের একাধিক অভিযোগকে নস্যাৎ করেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেছেন, ‘বিরোধীদের অভিযোগ ভিত্তিহীন। ছোট কয়েকটি ঘটনাকে বড় করে দেখানোর চেষ্টা হয়েছে।‘
এই ভোটে পরিচালনায় বরাবর রাজ্য পুলিশে আস্থা রেখেছেন মুখ্যমন্ত্রী। বিজেপি কেন্দ্রীয় বাহিনী চেয়ে আদালতের দ্বারস্থ হলেও, সেই আবেদন খারিজ করেছে আদালত। তাই রবিবার ভোট পরিচালনার দায়িত্বে ছিল কলকাতা পুলিশ। শনিবারই কলকাতার সিপি অবাধ এবং শান্তিপূর্ণ ভোট গ্রহণে পর্যাপ্ত ব্যবস্থার আশ্বাস দিয়েছিলেন। এদিন ভোট দিয়ে বেরিয়ে পুলিশের প্রশংসায় পঞ্চমুখ মমতা। তিনি বলেন, ‘পুলিশ ভালো কাজ করেছে। কলকাতা পুলিশ বেস্ট পুলিশ।‘
এদিকে, কলকাতা পুরভোটে অশান্তিতে তৃণমূলের কেউ জড়িত থাকার প্রমাণ মিললে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে আশ্বাস অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের। অশান্তির ফুটেজ থাকলে তা প্রকাশ্যে আনারও দাবি তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদকের। একইসঙ্গে বিরোধীদের বিঁধে তৃণমূলের যুবরাজের টিপ্পনি, ”বুথে এজেন্ট দিতে না পরলে তার দায় তৃণমূলের নয়।”
কলকাতা পুরভোটেও এড়ানো গেল না হিংসা। আবারও নির্বাচনের দিন ঝরল রক্ত। রবিবার সকাল থেকে কলকাতার ১৪৪টি বুথে ভোটগ্রহণ শুরুর পর থেকেই বিভিন্ন এলাকা থেকে অশান্তির খবর মিলতে শুরু করে। কোথাও ছাপ্পা ভোটের অভিযোগ, কোথাও আবার প্রার্থীর এজেন্টকে ফেলে কিল, চড়, ঘুসি। কোথাও বুথ দখলের অভিযোগ তো কোথাও আবার বোমাবাজি।
দফায়-দফায় অশান্তি কলকাতা পুরভোটে। বেলা যত গড়িয়েছে ততই অশান্তি বেড়েছে। একাধিক ক্ষেত্রে শাসকদল তৃণমূলের বিরুদ্ধেই গোলমাল পাকানোর অভিযোগ উঠেছে। যদিও দলের বিরুদ্ধে ওঠা সব অভিযোগই ভিত্তিহীন বলে দাবি করেছে শাসকদল।
এদিন বেলা বাড়তেই ভোট দিতে গিয়েছিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এর আগে কলকাতা পুরভোট নিয়ে আগেভাগে তিনি সতর্ক করে দিয়েছিলেন দলের নেতা-কর্মীদের একাংশকে। ভোট দিতে বাধা, হুমকির প্রমাণ মিললেই দলের কর্মীদের কোনওভাবেই রেয়াত করা হবে না বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন তিনি। তবে কার্যক্ষেত্রে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সেই হুঁশিয়ারিতে কী আদৌ কোনও কাজ হল?
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন