CM Mamata at Mumbai: বুধবার বিকেলে সূচি মেনেই বৈঠক করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়-শরদ পাওয়ার। প্রায় একঘন্টা বৈঠক হয় শরদ পাওয়ারের বাসভবনে। বৈঠক শেষে দু'জনকেই একসঙ্গে বাইরে আসতে দেখা যায়। তাঁদের সঙ্গে ছিলেন রাজ্যের মন্ত্রী নবাব মালিক, এনসিপি সাংসদ প্রফুল্ল প্যাটেল এবং তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দোপাধ্যায়।
এদিন সাংবাদিকদের মুখোমুখী হয়ে শরদ পাওয়ার বলেন, 'সমমনষ্ক দলগুলোকে এক করে বিজেপির বিকল্প ফ্রন্ট নিয়ে কথা হয়েছে। কে হবে বিজেপি বিরোধী ফ্রন্টের নেতা। সেই নিয়ে এখন ভাবার সময় আসেনি। একজোট হয়ে মাঠে নেমে লড়াই এখন লক্ষ্য। যারা লড়াই করবে তাদের সঙ্গে রাখা হবে।'
কংগ্রেসকে সঙ্গে রাখা নিয়ে মমতা বলেন, 'যারা ময়দানে নেমে লড়াই করবে, তাদের সঙ্গে রাখা হবে। কেউ লড়াই করতে না চাইলে, আমরা কী করব। তখন আমাদের লড়তে হবে।' তাঁর অর্থপূর্ণ মন্তব্য, ‘বিজেপি বিরোধী জোট মানে এখানে কোনও ইউপিএ নেই। আমরা নতুন বিরোধী জোটের পক্ষে।‘ এভাবেই কংগ্রেসকে বিজেপি বিরোধী জোটে রাখা নিয়ে অবস্থান স্পষ্ট করলেন তৃণমূল নেত্রী।
এদিকে, একুশের ভোটের জনপ্রিয় স্লোগান ‘খেলা হবে’ এবার আরব সাগরের তীরে। বুধবার মুম্বইয়ে বিশিষ্টজনদের সঙ্গে বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বলিউড চিত্রনাট্যকার জাভেদ আখতারের উদ্যোগে আয়োজিত এই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন অনেক পরিচিত মুখ। ছিলেন মহেশ ভাট, শোভা দে, মেধা পাটকর, স্বরা ভাস্কর, রিচা চাড্ডারা। এই বৈঠকেই ফের স্লোগান ওঠে খেলা হবে।
এদিনের অনুষ্ঠানে প্রশ্নোত্তর পর্বে অভিনেত্রী স্বরা ভাস্কর উচ্ছ্বসিত হয়ে বলেন, ‘দিদি দেখিয়ে দিয়েছেন। খেলা হয়ে গিয়েছে। আপনি আমাদের কাছে অনুপ্রেরণা।‘ সেই সুত্র ধরেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বলেন, ‘খেলা হয়ে গিয়েছে নয়, খেলা হবে। বিজেপিকে বোল্ড আউট করবই।‘ স্বরা ছাড়াও এদিনের অনুষ্ঠানে গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন করেন সাহিত্যিক শোভা দে। তাঁর প্রশ্ন, ‘যদি নরেন্দ্র মোদি প্রধানমন্ত্রী না হন। তাহলে কে?’ এই প্রশ্নের জবাবে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘সেটা পরে আলোচনার বিষয়। আমাদের এখন লক্ষ্য হওয়া উচিত ঐক্যবদ্ধ হয়ে বিজেপিকে হারানো। গণতন্ত্র রক্ষা করাই মূল লক্ষ্য। এই ব্যাপারে সংবাদমাধ্যমকে আরও দায়িত্বশীল হতে হবে। নাগরিক সমাজকে উদ্যোগী হতে হবে। আপনারাই পারবেন বিজেপিকে বোল্ড আউট করতে। পূর্ণশক্তি নিয়ে আমাদের লড়তে হবে।‘
বাকস্বাধীনতা হরণ করে কণ্ঠরোধ করা হচ্ছে। এর প্রতিকার জানতে চাওয়া হয় মমতার থেকে। তাঁর পরামর্শ, ‘বিশিষ্টজনেরা একটি কমিটি বানাক। দক্ষিণের নাগরিক সমাজকে এই কমিটির অংশ করা হোক। মুম্বই ও কলকাতা একসঙ্গে কাজ করলে দিল্লি ভয় পাবে। আপনারা পরামর্শ দিন, যা সাহায্য করার আমি করব।‘
এদিন অতি দক্ষিণপন্থীদের দাপট নিয়েও বৈঠকে উদ্বেগ প্রকাশ করেন অনেক বিশিষ্টজন। তাঁদের মন্তব্য, ‘বিজেপির অপশাসনে যখন দেশে অন্ধকার নেমে এসেছিল, তখন পশ্চিমবঙ্গের নির্বাচন ছিল আশার আলো। তাই তৃণমূলের জয় এবং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁদের কাছে আশার প্রতীক।‘
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখনটেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন