বিজেপি সরকারের দ্বিতীয় বর্ষপূর্তিতেই কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দিলেন বি এস ইয়েদুরাপ্পা। এদিন দুপুরে রাজ্যপালের কাছে গিয়ে পদত্যাগ পত্র দেন তিনি। তবে তাঁর উত্তরসূরী কে হবে- তা নিয়ে মুখ খোলেননি বিজেপির প্রবীণ এই নেতা। এটা দলের সিদ্ধান্ত বলে জানিয়েছেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী।
এর আগে সাংবাদিকদের সামনে নিজের কথা বলতে গিয়ে কিছুটা আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেছেন, 'এক সময় আমার গাড়ি ছিল না। তখন আমি সাইকেলে চড়ে বিজেপির হয়ে কাজ করেছি। যখন কেউ ছিল না তখন এরাজ্যে দলীয় সংগঠন গড়ে তোলার কাজ করেছি।' এরপরই তাঁর ঘোষণা, 'আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছি রাজভবনে যাব। আমার ইস্তফাপত্র জমা দেব। আমি দুঃখিত নই। আমি খুশি। ৭৫ বছর হয়ে গেলেও ইয়েদুরাপ্পাকে মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার সুযোগ দেওয়ার জন্য আমি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, অমিত শাহ এবং জে পি নড্ডার প্রতি কৃতজ্ঞ।'
দলের হয়ে বা রাজ্যের দায়িত্বভার নিয়ে কাজ করতে গিয়ে সবসময়ই তাঁকে অগ্নি পরীক্ষা দিতে হয়েছে বলেও এদিন জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর কথায়, 'কঠিন সময়ও নিজের ক্ষমতার ঊর্ধ্বে উঠে কাজ করেছি। আমার যাত্রাপথে সব সময়ই অগ্নিপরীক্ষা দিতে হয়েছে। আমি আমার সব সতীর্থ, আধিকারিক, সাংবাদিক, শিল্পপতি, বিনিয়োগকারীদের ধন্যবাদ জানাচ্ছি।'
দু'বছর পর কর্ণাটকে বিধানসভা নির্বাচন। তার আগে রাজ্য নেতৃত্বের সঙ্গে ইয়েদুরাপ্পার বিরোধ চরমে পৌঁছেছে। অসন্তোষ আঁচ করেই তাঁকে অমিত শাহ, জে পি নাড্ডারা দিল্লিতে ডেকে পাঠান। এরপরই সুর নরম হয় ইয়েদুরাপ্পার। জল্পনা বাড়ে তাঁর ইস্তফা নিয়ে। অবশেষে তার সমাপ্তি ঘটান খোদ মুখ্যমন্ত্রীই।
Read in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন