কয়লা ও গরু পাচারকাণ্ডে এবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যয়ের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ করল বিজেপি। রবিবার সাংবাদিক সম্মেলন করে বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী, দীনেশ ত্রিবেদীরা অভিযোগ করলেন, এটা পশ্চিমবঙ্গ তথা ভারতবর্ষের সবচেয়ে বড় সরকারি মদতপুষ্ট দুর্নীতি। বিনয় মিশ্র ও অনুপ মাঝি ওরফে লালার কাছ থেকে ৯০০ কোটি টাকা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে গিয়েছে।
এমনকী তাঁদের অভিযোগ, তৃণমূলের ভোটকৌশলী প্রশান্ত কিশোরের সংস্থা IPAC-কে ৫০০ কোটি টাকা দেওয়া হয়েছে এই কয়লা-গরু পাচারের টাকা থেকে। এদিন শুভেন্দু বলেন, "গতকাল গণেশ বাগারিয়া এবং বিনয় মিশ্রের কথোপকথনের অডিও টেপ ভাইরাল হয়েছে। এটা পশ্চিমবঙ্গে সবচেয়ে বড় সরকারি মদতপুষ্ট একটি দুর্নীতি। ৯০০ কোটি টাকা ভাইপোর কাছে গিয়েছে। পুলিশের একাংশ এই চক্রের সঙ্গে জড়িত। ভাইপোর কাছে টাকা পৌঁছে দেন বিনয় মিশ্র। এই দুর্নীতির একটা ইতি টানা দরকার। বিনয় মিশ্র সম্পর্কে কেন চুপ তৃণমূল কংগ্রেস?"
সদ্য তৃণমূল থেকে বিজেপিতে যোগ দেওয়া প্রাক্তন সাংসদ দীনেশ ত্রিবেদী বলেছেন, "এটা বাংলার বাচ্চা বাচ্চা জানে, কয়লা-গরু পাচারে কার হাত রয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী সব জানতেন। কীভাবে বিনয় মিশ্র, লালা, পুলিশের আধিকারিকরা পাচারের টাকা অভিষেকের কাছে পৌঁছে দিতেন। পরিবর্তে মুখ্যমন্ত্রী নির্দেশে বিনয় মিশ্র, লালাদের সরকারি নিরাপত্তা দেওয়া হয়েছে। এই দুর্নীতি হিমশৈলের চূড়া মাত্র। এই দুর্নীতি বাংলাকে শেষ করে দিচ্ছে। এর একটা শেষ হওয়া দরকার।"
বিজেপির সর্বভারতীয় আইটি সেলের প্রধান তথা রাজ্যের সহ-পর্যবেক্ষক অমিত মালব্য বলেছেন, "কয়লা, গরু এবং মানুষ পাচারের টাকা ঢুকেছে তৃণমূলের ঘরে। প্রতি মাসে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে ৪০ কোটি টাকা পাঠানো হত। মুখ্যমন্ত্রী সব জানতেন। তাঁর নির্দেশেই সব হয়েছে। তিনি দায়িত্ব এড়াতে পারেন না।"