লাউদোহায় প্রচারে গিয়ে বিক্ষোভের কবলে পড়লেন শুভেন্দু অধিকারী। আসানসোলের পুননির্বাচন উপলক্ষে এ দিন লাইদোহায় প্রচারে গিয়েছিলেন বিরোধী দলনেতা। সঙ্গে ছিলেন পদ্ম প্রার্থী জিতেন্দ্র তিওয়ারি। প্রচার শেষে গাড়িতে ওঠার সময়ই শুভেন্দুবাবু তৃণমূল কর্মীদের বিক্ষোভের মুখে পড়েন। তৃণমূল কর্মীরা শুভেন্দু অধিকারীকে লক্ষ্য করে 'গো-ব্যাক' স্লোগান দেন। কটূকথা উড়ে আসে বিজেপি প্রার্থীর উদ্দেশ্যেও।
পাল্টা বিজেপি কর্মীরাও 'জয় শ্রীরাম', 'শুভেন্দু অধিকারী জিন্দাবাদ' স্লোগান দিতে শুরু করেন। যা নিয়ে লাউদোহা ব্লকের ঝাঁজরা নতুন কলোনি এলাকায় উত্তেজনা ছড়ায়। এদিন প্রশানের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বিজেপি কর্মীরা। তাঁদের প্রশ্ন, কীভাবে পুলিশের উপস্থিতিই এতবড় ঘটনা ঘটে গেল? যদিও পুলিশ ও কেন্দ্রীয় বাহিনীর হস্তক্ষেপেই নির্বিঘ্নে সভাস্থল ছাড়েন শুভেন্দুবাবু। হাটিয়ে দেওয়া হয় তৃণমূল কর্মীদেরও।
পাণ্ডবেশ্বরের বিধায়ক নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তীর হুমকি ভাইরাল হতেই শোরগোল পড়ে যায়। তাঁকে আগামী এক সপ্তাহ ভোটের প্রচার থেকে বিরত থাকার নির্দেশ দিয়েছে কমিশন। এপ্রসঙ্গে শুভেন্দুবাবু বলেন, 'কমিশন যে পদক্ষেপ নিয়েছে তাকে আমরা স্বাগত জানাচ্ছি। তবে আমরা মনে করছি এটা গুরু পাপে লঘুদন্ড দেওয়া হয়েছে। ১২ এপ্রিল সন্ধ্যা ছ'টা পর্যন্ত নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তীকে জেলে ঢুকিয়ে রাখা উচিত ছিল '
কয়লা পাচার সম্পর্কে বলতে গিয়ে শুভেন্দু অধিকারী বিস্ফোরক অভিযোগ করেন। বলেন, ' আমার কাছে খবর আছে, পাচারকাণ্ডে অভিযুক্ত পুলিশ অফিসার অশোক মিশ্র তদন্তকারীদের কাছে পাচারের টাকার সুবিধাভোগীদের নাম বলেছেন। মন্ত্রি মলয় ঘটক, তৃণমূল নেতা ভি,শিবদাসন দাশু,জামুড়িয়ার তৃণমূল বিধায়ক হরেরাম সিং এর ছেলে এরাও পাচারের টাকার সুবিধাভোগী। এদের সবার শাস্তি হওয়া উচিত।'