"মাননীয়াকে নন্দীগ্রামে হাফ লাখ ভোটে হারাবই, লিখে রেখে দিন।" গত ডিসেম্বরে এমনই দাবি রেখেছিলেন তৃণমূলে ছেড়ে বিজেপিতে যাওয়া শুভেন্দু অধিকারী। রবিবার হাড্ডাহাড্ডি লড়াই, চূড়ান্ত নাটকে শেষে ১৯৫৩ ভোটে জিতলেন বটে শুভেন্দু। হারালেন একদা নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। জয়ের পর শুভেন্দুর আশ্বাস, নন্দীগ্রামের উন্নয়নের জন্য এবার কাজ করবেন তিনি। এই জয়ের জন্য নন্দীগ্রামবাসীকে কৃতজ্ঞতাও জানান তিনি।
যদিও এই পরাজয় মানতে নারাজ মমতা। তৃণমূল নেত্রী আদালতে যাওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। তৃণমূলও পুনর্গণনার দাবি জানিয়েছে। কিন্তু রাতের দিকে কমিশন সাফ জানিয়েছে, শুভেন্দুই জিতেছেন, পুনর্গণনা হবে না। নিজের টুইটার হ্যান্ডেলে গণনার ফলাফলের ছবি পোস্ট করেছেন প্রাক্তন মন্ত্রী। লিখেছেন, "আমার উপর বিশ্বাস এবং ভরসা রাখার জন্য নন্দীগ্রামের প্রতিটি মানুষকে অসংখ্য ধন্যবাদ। এই জয় নন্দীগ্রামে প্রতিটি মানুষের জয়। আগামী দিনে নন্দীগ্রামের উন্নয়নের লক্ষ্যে কাজ করাই আমার সংকল্প।"
একটা লড়াই দেখল বটে নন্দীগ্রাম। সেই ১৪ বছর আগে জমি আন্দোলনের থেকে কোনও অংশে কম ছিল না এই লড়াই। প্রাক্তন নেত্রীকে এক ইঞ্চিও জমি ছাড়েননি শুভেন্দু। পাল্টা মমতাও পুরনো সতীর্থকে লড়াইয়ের ময়দানে জায়গা ছাড়েননি। নিজের কেন্দ্র ভবানীপুর ছেড়ে নন্দীগ্রামে দাঁড়িয়েছেন। রাজনৈতিক মহলের মত ছিল, শুভেন্দুকে রাজনৈতিক ভাবে পর্যুদস্ত করাই ছিল লক্ষ্য। কিন্তু দিনের শেষে বাজিমাত করলেন শুভেন্দু।
এবারের বিধানসভা নির্বাচনে যেখানে রাজ্যে ২০০ আসন পাওয়ার দাবি জানানো বিজেপির ভরাডুবি হল, সেখানে উজ্জ্বল মুখ হয়ে রইলেন শুভেন্দু। হার মানেননি। তাঁর সঙ্গে দলবদলু অনেকেই মুখ থুবড়ে পড়েছেন, কিন্তু তিনি মুখ রক্ষা করেছেন। হয়তো আগামিদিনে বিরোধী দলনেতার আসনে তাঁকেই বসাতে পারে গেরুয়া শিবির!