বুধবার প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছিলেন, ঝাড়খণ্ডে গণপ্রহারে এক মুসলমান যুবকের মৃত্যুতে তিনি "ব্যথিত"। বৃহস্পতিবার বহুজন সমাজ পার্টির প্রধান মায়াবতী অভিযোগ তুললেন, বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলিতে "জাতিবিদ্বেষ এবং সাম্প্রদায়িক অশান্তি অনুমোদিত হচ্ছে"।
কোনও বিশেষ রাজ্যের নাম না করে টুইটারে মায়াবতী লেখেন, "বিভিন্ন রাজ্যের বিজেপি সরকার কেন জাতিবিদ্বেষ এবং সাম্প্রদায়িকতা থেকে উৎপন্ন জঘন্য অপরাধ অনুমোদন করছে? এগুলির দ্বারা শুধু সংশ্লিষ্ট রাজ্য নয়, সমগ্র দেশের বদনাম হচ্ছে, এমনকি প্রধানমন্ত্রী পর্যন্ত অস্বস্তিতে পড়ছেন।"
তিনি আরও লেখেন, এই ধরনের জাতিবিদ্বেষ এবং সাম্প্রদায়িক হিংসা পুলিশ ও অন্যান্য সরকারি কর্মচারীকেও রেহাই দেয় নি। তাঁর কথায়, "বর্তমানে পুলিশ এবং সরকারি আধিকারিকরা পর্যন্ত এই নতুন সমস্যার মুখোমুখি হচ্ছেন।" মনে করা হচ্ছে, তাঁর ইশারা বুধবার মধ্যপ্রদেশের ইন্দোরের ঘটনার দিকে, যেখানে বিজেপির সাধারণ সম্পাদক কৈলাস বিজয়বর্গীয়র পুত্র তথা প্রথমবারের বিজেপি বিধায়ক আকাশ বিজয়বর্গীয় একটি অবৈধ বাড়ি ভাঙার অভিযান চলাকালীন ক্রিকেট ব্যাট দিয়ে আঘাত করছেন এক পৌরসভা আধিকারিককে। ঘটনাটির ভিডিও ভাইরাল হয়ে গিয়েছে ইতিমধ্যে।
অন্যদিকে, গত সপ্তাহের মঙ্গলবার ঝাড়খণ্ডের ধাতকিডি গ্রামে জনতার হাতে প্রহৃত হয়ে শনিবার বিচার বিভাগীয় হেফাজতে মৃত্যু হয় ২২ বছর বয়সী তবরেজ আনসারির। ঘটনার একটি ভিডিও থেকে যা মনে হচ্ছে, তাতে প্রহার চলাকালীন 'জয় শ্রীরাম' এবং 'জয় হনুমান' বলতে বাধ্য করা হয় আনসারিকে।
এছাড়াও সোমবার মহারাষ্ট্রের থাণে শহর থেকে মুম্বই যাওয়ার পথে তিন ব্যক্তির হাতে আক্রান্ত হন ২৫ বছর বয়সী অ্যাপ ক্যাব চালক ফয়জল ওসমান খান। তাঁর কাছ থেকে তাঁর মোবাইল ফোনও ছিনিয়ে নেয় ওই তিন ব্যক্তি। গাড়িতে সেসময় একাধিক যাত্রীও ছিলেন, যাঁদের মধ্যে একজন পুলিশকে ফোন করেন। পুলিশকে দেওয়া বয়ানে ফয়জল জানান, গাড়ির তার দিয়ে মারা হয় তাঁকে, এবং বলা হয় 'জয় শ্রীরাম' বললে মার থেমে যাবে। মঙ্গলবার ওই তিন ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে পুলিশ।