এপ্রিল মাসের পর ডিসেম্বর। আবারও নবান্নে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে বৈঠক সারলেন তেলঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী কে চন্দ্রশেখর রাও। লক্ষ্য একটাই, ফেডারেল ফ্রন্ট গঠন। উনিশের লড়াইয়ে মোদীবাহিনীকে পর্যদুস্ত করতে চলতি বছরের শুরুতেই বিরোধী ঐক্য গড়তে যেসব আঞ্চলিক দলের নেতা ঝাঁপিয়ে পড়েছেন তাঁদের মধ্যে অন্যতম কেসিআর। লোকসভা ভোটে অবিজেপি ও অকংগ্রেসি বিকল্প গড়ার লক্ষ্যে বছর শেষেও ফের মমতার সঙ্গে আলোচনা সারলেন চন্দ্রশেখর। সোমবার বৈঠক শেষে টিআরএস নেতা বলেছেন, ফেডারেল ফ্রন্ট নিয়ে ‘‘কয়েকদিনের মধ্যেই আপনাদের ভাল খবর দেব।’’
সোমবার মমতার সঙ্গে বৈঠক শেষে কেসিআর বলেন, ‘‘দারুণ বৈঠক হয়েছে...এই ধরনের আলোচনা আমরা চালিয়ে যাব। আগামী দিনে এই আলোচনার ফল মিলবে। খুব শীঘ্রই আমরা আমাদের পরিকল্পনা জানাব।’’ তেলঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেছেন, ‘‘আমরা আলোচনা চালিয়ে যাব। বিভিন্ন বিষয়ে আমরা আলোচনা চালাচ্ছি। অকংগ্রেসি ও অবিজেপি জোট গড়া কেসিআরের মিশন। আমি এই মিশন চালিয়ে যাব।’’ যদিও এদিন বৈঠক শেষে কোনও মন্তব্য করেননি মমতা।
আরও পড়ুন, তৃতীয় ফ্রন্টের লক্ষ্যে এবার চার্টার্ড বিমানে উড়বেন চন্দ্রশেখর রাও
তেলঙ্গানা বিধানসভা নির্বাচনে দুরন্ত জয়ের পর লোকসভা ভোটকেই পাখির চোখ করে ঘুঁটি সাজাচ্ছেন কেসিআর। সেজন্য তিনি যেমন কলকাতায় এসে মমতার সঙ্গে দেখা করেছেন। পাশাপাশি ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়কের সঙ্গে বৈঠক সেরেছেন টিআরএস নেতা। সমাজবাদী পার্টির নেতা অখিলেশ যাদব ও বহুজন সমাজ পার্টি সুপ্রিমো মায়াবতীর সঙ্গেও বৈঠক করার কথা কেসিআরের।
অন্যদিকে, লোকসভা ভোটে মোদীবাহিনীকে টেক্কা দিতে বিজেপি বিরোধী দলগুলি কংগ্রেসের সঙ্গে জোট গড়তে ইচ্ছাপ্রকাশ করেছে। চন্দ্রবাবু নাইডু, ডিএমকে নেতা স্ট্যালিনরা কংগ্রেসের সঙ্গে হাত মিলিয়েই জোট গড়ার পক্ষে। কেসিআর, মমতারা আবার ফেডারেল ফ্রন্টের জন্যই বেশি গলা হাঁকাচ্ছেন। উল্লেখ্য, আগামী ১৯ জানুয়ারি এ শহরে বিরোধী দলগুলিকে নিয়ে বড় সমাবেশের ডাক দিয়েছেন তৃণমূল সুপ্রিমো।
মমতা-কেসিআর বৈঠক প্রসঙ্গে কংগ্রেসের প্রতিক্রিয়া, তেলঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী ‘ভাগাভাগির রাজনীতি’ করছেন। অকংগ্রেসি জোট গড়তে চেয়ে আসলে বিজেপিকেই সাহায্য করছেন তিনি।
এদিকে, এদিন মমতার সঙ্গে সাক্ষাতের পাশাপাশি কালীঘাট মন্দিরেও যান চন্দ্রশেখর রাও। কলকাতা সফর প্রসঙ্গে কেসিআরের বক্তব্য, ‘‘কালীঘাট দর্শনে এসেছিলাম। দিদির সঙ্গে দেখা করে ওঁর আশীর্বাদ নিয়েছি।’’
Read the full story in English