মঙ্গলবার দুপুরে রাজ্যসভা থেকে সাসপেন্ড করা হয়েছিল তৃণমূল সাসংদ ডেরেক ও'ব্রায়েনকে। বাদল অধিবেশনের বাকি সময়ের জন্য তাঁকে সাসপেন্ড করা হয় বলে জানা গিয়েছিল। পাল্টা প্রতিবাদে মুখর হয় বাংলার শাসক দল। মোদী সরকারকে 'স্বৈরাচার' বলে তোপ দাগেন তৃণমূল। কিন্তু, দুপুর গড়িয়ে বিকেল হতেই ডেরেক ও'ব্রায়েনের সাসপেনশন নিয়ে বিভ্রান্তি ছড়ায়। তৃণমূলের রাজ্যসভারই অন্য এক সাংসদ তথা দলের মুখপাত্র সাকেত গোখলে টুইটে দাবি করেন, ডেরেককে এখনও সাসপেন্ড করা হয়নি। রাজ্যসভা সূত্রেও খবর, ডেরেকের সাসপেনশনের বিষয়টি এখনও চূড়ান্ত নয়।
সাকেত গোখলে টইটে লিখেছেন যে, 'বরাবরের মতো, মোদী সরকারের সবচেয়ে বড় হাতিয়ার মাল্টিমিডিয়া এজেন্সি এবং গোদি চ্যানেলগুলি। এরা কর্তব্যে অবিচল থেকে নির্লজ্জভাবে ভুয়ো খবর ছড়ায়। সাসংদ ডেরেক ও'ব্রায়েনকে সাসপেন্ড করা হয়নি। যদিও মোদী সরকার মরিয়া হয়ে এটাই চায়।' পরে আরও একটি টুইট করেন গোখলে। লেখেন, 'আমরা নত হইনি, ওরাও সাসপেন্ড করেনি! অনিশ্চিত বিজেপি সরকারের ভিন্নমতের কণ্ঠকে স্তব্ধ করার স্বৈরাচারী প্রচেষ্টার বিরুদ্ধে দৃঢ়ভাবে দাঁড়িয়েছেন সাংসদ ডেরেক ও'ব্রায়েন। মণিপুরের ন্যায়বিচার না হওয়া পর্যন্ত আমরা লড়াই চালিয়ে যাব। জনগণের অধিকারের প্রতি আমাদের অঙ্গীকার অটুট থাকবে!'
মঙ্গলবার অধিবেশন শুরু থেকেই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে রাজ্যসভা। বিরোধীরা মণিপুর নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বিবৃতির দাবি জানায়। একই দাবিতে সরব হন ডেরেক। এরপরই ডেরেকের বিরুদ্ধে 'অসংসদীয় আচরণ এবং চেয়ারকে অবমাননা'র অভিযোগ তুলে তাঁকে সাসপেন্ড করার প্রস্তাব রাখেন বিজেপি সাংসদ পীযূষ গোয়েল। বিজেপি সাংসদের এই প্রস্তাবে তৃণমূল সাংসদরা ওয়েলে নেমে বিক্ষোভ দেখান। তারপরই ডেরেককে 'সাসপেন্ড' করেন রাজ্যসভার চেয়ারম্যান ধনকড়। তাঁকে রাজ্যসভা ছেড়ে বেরিয়ে যেতে বলেন ধনকড়।