Advertisment

ভোট পেতে কংগ্রেসকে মুসলিমদের হয়ে মুখ খুলতেই হবে, শর্ত গুজরাটের বিধায়কের

মুসলিমদের হয়ে পুলিশের বিরুদ্ধে সরব কংগ্রেস বিধায়ক।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
Imran Khedawala

গুজরাতে গরবা নাচের অনুষ্ঠানে ঢিল ছোড়া হয়েছে। সেই ঘটনার পর বেশ কয়েকজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে খেদা জেলায়। এই ঘটনার পর পুলিশ বেশ কয়েকজনকে গ্রেফতার করেছে। প্রকাশ্যে কয়েকজন যুবককে মারধরের অভিযোগও উঠেছে পুলিশের বিরুদ্ধে। ওই ঘটনার পর গোটা গুজরাটে দু'জন মুসলিম বিধায়ক পুলিশের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান। দু'জনেই সংখ্যালঘু বিধায়ক।

Advertisment

তাদের মধ্যে একজন খেদার বিধায়ক ইমরান খেদাওয়ালা। আর, দরিয়াপুরের বিধায়ক ইমরান খেদাওয়ালা। সেই সময় খেদাওয়ালা অভিযোগ করেন যে সংখ্যালঘুদের সমস্যার ব্যাপারে কংগ্রেস সম্পূর্ণ নীরব। সরকার কোনও ব্যবস্থা নিচ্ছে না। এই কারণে এআইএমআইএম গুজরাটের নির্বাচনে আরও বড় আকারে প্রতিদ্বন্দ্বিতার কথা ভাবছে। পাশাপাশি, আম আদমি পার্টিরও ভালোই সম্ভাবনা রয়েছে বলে ওই বিধায়কের মত। বিধায়ক জানান, এসব রুখতে কংগ্রেসকে এগিয়ে আসতে হবে। মুসলিমদের সমস্যা রুখতে তাদের পাশে দাঁড়াতে হবে। তাহলেই ১০০% মুসলিম ভোট পাবে কংগ্রেস।

খেদায় বেত্রাঘাত নিয়ে কংগ্রেস কেন প্রতিক্রিয়া জানায়নি? এই প্রশ্নের জবাবে খেদাওয়ালা জানান, কংগ্রেসই প্রথমে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছিল। গিয়াসউদ্দিন এবং আমি প্রথমে টুইট করেছি যে এই ঘটনার পিছনে থাকা সাব-ইন্সপেক্টর এবং কনস্টেবলকে অবিলম্বে সাসপেন্ড করা উচিত। আমরা পাথর নিক্ষেপকারীদের সঙ্গে নই। অথবা যারা গারবায় বিরক্ত করেছে, তাদের সঙ্গেও নয়।

তবে সুপ্রিম কোর্ট যখন নির্দেশিকা জারি করেছে, তখন সেটা মানা উচিত। এক সম্প্রদায়কে খুশি করার জন্য আপনি বাজারে প্রকাশ্যে অন্য সম্প্রদায়ের লোকদের বেঁধে মারতে পারেন না। সমাজে একটা ভুল বার্তা যায়। কারণ, জনগণ পুলিশকে এখনও তাদের রক্ষাকর্তা বলে মনে করে। এতে দেশের গণতন্ত্র, সংবিধানই বিপন্ন হবে। এতে শুধু বিভিন্ন সম্প্রদায়ের মধ্যেই বিদ্বেষ বাড়বে।

আরও পড়ুন- কেরলে নরবলি! ডাইনি প্রথা রুখতে কী আইন আছে দেশে?

পুলিশ থানায় ব্যবস্থা নিতে পারে। আদালত শাস্তির সিদ্ধান্ত নিতে পারে। কিন্তু, জনসমক্ষে এই ধরনের কাজ ভুল বার্তা পাঠায়। বিধায়ক জানান, তাঁদের ধারণা যে এর পিছনে রাজনীতি জড়িত। হিন্দু-মুসলমানের মধ্যে বিভেদের খাদ তৈরি করা উচিত নয়। মানুষকে একজোট করতে হবে।

খেদাওয়ালা বলেন, 'আমাদের গরবা নাচ উৎসব হিসেবে আন্তর্জাতিকভাবে বিখ্যাত। সুরাটের অন্য একটি ঘটনায় তারা (হিন্দুত্ববাদীরা) এক মুসলিম নিরাপত্তাকর্মীকে মারধর করেছে। তাকে কোম্পানি নিয়োগ করেছে। সেই নিরাপত্তারক্ষীকে তারা বিধর্মী (অবিশ্বস্ত) বলে মারধর করেছে। এতে জাতির ব্যাপক ক্ষতি হবে। হিন্দু-মুসলমানকে বিধর্মী আখ্যা দিয়ে কেন বিভক্ত করছেন? বজরং দল, ভিএইচপি এবং আরএসএসের মতো সংগঠনগুলো এই ধরনের কাজ করে।'

Read full story in English

AAP CONGRESS gujrat
Advertisment