সব কৃষক যদি কৃষি আইনের (Farm Law) খসড়া বুঝতেন, তাহলে দেশে আগুন জ্বলত। বৃহস্পতিবার ফের তিনটি কৃষি আইন প্রসঙ্গে আক্রমণ করলেন রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi)। কেরালার এক জনসভায় তাঁর কটাক্ষ, 'সব কৃষক কৃষি আইনের খসড়া বুঝে উঠতে পারেনি। সেটা বুঝলে গোটা দেশে প্রতিবাদ হতো, আগুন জ্বলত।' গত কয়েকদিন ধরে লোকসভা কেন্দ্র ওয়ানাডে সভা-সমাবেশে ব্যস্ত কংগ্রেস সাংসদ। এদিন কালপেট্টার জনসভায় এভাবেই সরব হয়েছেন রাহুল।
এর আগে প্রজাতন্ত্র দিবসের দিন ট্র্যাক্টর র্যালি (Tractor Rally) ঘিরে ছড়িয়ে পড়া বিশৃঙ্খলায় নিন্দা করে ট্যুইট করেছিলেন তিনি। তিনি ট্যুইটে লেখেন, 'হিংসা কোনও সমস্যার সমধান নয়। অবিলম্বে কৃষি আইন বিলোপ করুক কেন্দ্র।' প্রায় ৬০ দিনের বেশি সময় ধরে দিল্লির সিঙ্ঘু সীমান্তে অবস্থান করছেন কৃষকরা। তাঁদের একটাই দাবি, 'বিলোপ করতে হবে কৃষক আইন।' যদিও ইতিমধ্যে প্রায় ১০ দফা দ্বিপাক্ষিক বৈঠক হয়েছে কেন্দ্র ও আন্দোলনকারী কৃষকদের মধ্যে বেরোয়নি সমধান। ইতিমধ্যে কৃষি মন্ত্রক, 'প্রস্তাব দিয়েছে আগামী দেড় বছর লাগু হবে না এই আইন।' কিন্তু সেই প্রস্তাব ফিরিয়েছে আন্দোলনকারী কৃষকরা।
আরও পড়ুন ‘সাহসিকতার জন্য গর্বিত’, আহত পুলিশদের দেখতে হাসপাতালে শাহ
এদিকে, লালকেল্লার ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিক পুলিশ। ব্যক্তিগতভাবে এবং দলীয় ভাবে যারা অভিযুক্ত প্রত্যেকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে বৃহস্পতিবার সরব হলেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী (Arvind Kejariwal)। উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে কিছু মানুষকে অভিযুক্ত করার চেষ্টা করছে দিল্লি পুলিশ।
এদিন আপের কার্যকরী কমিটির বৈঠকে এভাবেও বিরোধিতার সুর চড়ান অরবিন্দ কেজরিওয়াল। তিনি বলেন, ‘এভাবে কৃষক আন্দোলন স্তব্ধ হয়ে যেটা পারে না। এটা ওদের অস্তিত্বের লড়াই।’ তাঁর সংযোজন, ‘২৬ জানুয়ারির ঘটনা নিন্দনীয়। যে বা যারা এর পিছনে প্রত্যেকের বিরুদ্ধে পৃথক ভাবে ব্যবস্থা নিক পুলিশ। কিন্তু কেন্দ্রের তিনটি কৃষি বিল কৃষকদের সর্বস্বান্ত করবে। ওদের সব কেড়ে নেবে, পুঁজিপতিদের সমৃদ্ধ করবে। তাই এটা কৃষকদের অস্তিত্বের লড়াই।’
প্রজাতন্ত্র দিবসের দিন হিংসার পর আপের তরফে বিবৃতি জারি করা হয়েছিল। তাতে উল্লেখ ছিল, ‘হিংসা ছড়াতে মদত ছিল কেন্দ্রের। এতে শান্তিপূর্ণ ও সংঘবদ্ধ আন্দোলন প্রভাবিত হতো।’ তারপরেও কেজরিওয়াল মনে করেন এই আন্দোলন এখনও জীবন্ত। বিক্ষিপ্ত হিংসা হলেও আন্দোলন থমকে যায়নি। তাই আমি আপ কর্মীদের আবেদন করব আগের মতোই কৃষকদের পাশে দাঁড়িয়ে অরাজনৈতিক এই আন্দোলনকে সফল করতে। এই আবেদনও দলের কার্যকরী কমিটির বৈঠকে করেন কেজরিওয়াল।