/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2023/06/Manipur.jpg)
একদিন আগেই মণিপুরে শান্তি ফেরাতে দিল্লিতে সর্বদলীয় বৈঠক ডেকেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। শনিবার সেই প্রতীক্ষিত বৈঠক। তার আগে বৃহস্পতিবার মণিপুর ইস্যুতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বাধীন কেন্দ্রীয় সরকারকে সমালোচনায় ভরিয়ে দিল কংগ্রেস। দলের তরফে অভিযোগ করা হয়েছে, মণিপুরে এন বীরেন সিংয়ের সরকার বিভেদকামী। এমন রাজ্যে অবিলম্বে রাষ্ট্রপতি শাসন জারি করা উচিত। তার বদলে সেই বিভেদকামী সরকারকে টিকিয়ে রাখা প্রতারণার শামিল।
একইসঙ্গে কংগ্রেস জানিয়েছে, এই সর্বদলীয় বৈঠক ডাকাটা মণিপুরে শান্তি ফেরানোর পক্ষে যথেষ্ট নয়। পার্বত্য রাজ্যে সত্যিকারের শান্তি ফেরাতে চাইলে প্রচেষ্টাটা মণিপুরেই করতে হবে। দিল্লির বুকে নয়। কিন্তু, সেই চেষ্টা না-করে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী আমেরিকায় গিয়ে পড়ে আছেন। শুধু তাই নয়, বর্তমানে মণিপুরের পরিস্থিতি যখন প্রায় হাতের বাইরে চলে গিয়েছে, সেই সময় বিপাকে পড়ে কেন্দ্রীয় সরকার প্রায় দেড়মাস পর সর্বদলীয় বৈঠক ডাকছে।
এআইসিসির সাধারণ সম্পাদক কেসি ভেণুগোপাল বলেছেন, 'মণিপুরে মৃত্যু ও ধ্বংসলীলা চলার ৫০ দিন পরে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সর্বদলীয় বৈঠক ডেকেছেন। ব্যাপারটা এখন অনেক দেরি হয়ে গিয়েছে। আসলে, মণিপুরের জনগণের উদ্দেশে সোনিয়া গান্ধী ভাষণ দেওয়ার পরেই সরকার জেগে উঠেছে।'
কেন্দ্রীয় সরকার যদি এই সর্বদলীয় বৈঠককে প্রকৃতই অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করত, তবে মোদীর সেখানে থাকা উচিত ছিল। কিন্তু, তিনি ব্যর্থতার মোকাবিলা করতে ভয় পান বলেই কংগ্রেস নেতৃত্বের অভিযোগ। তাঁদের আরও অভিযোগ, পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে ভয় পেয়েই প্রধানমন্ত্রী আমেরিকায় ঠিক এই সময়েই পালিয়ে গিয়েছেন।
আরও পড়ুন- আশা কমছে, তবুও হাল ছাড়ছেন না উদ্ধারকারীরা, ডুবোজাহাজ টাইটানের খোঁজ অব্যাহত
সর্বদলীয় বৈঠকে যোগ দেওয়ার আমন্ত্রণ পেয়ে মণিপুর ইস্যুতে মুখ খুলেছে সিপিএমও। দলের তরফে বলা হয়েছে, 'মণিপুরে সরকার বলে কিছু নেই। প্রশাসনের কোনও কর্তৃত্ব নেই। এই পরিস্থিতিতে পার্বত্য রাজ্যে শান্তি ফেরানোর প্রথম পদক্ষেপ হতে পারে মুখ্যমন্ত্রী বীরেন সিংয়ের নেতৃত্বাধীন সরকারের অপসারণ। না-হলে, উত্তর-পূর্বের রাজ্যে ক্ষমতাসীন দলের সংকীর্ণ, সাম্প্রদায়িক বিভেদের রাজনীতি থেকে সৃষ্ট বিশৃঙ্খলা থাকবেই।'