তথ্যের অধিকার আইনের (আরটিআই) আওতায় এক প্রশ্নের উত্তরে ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাঙ্কের (আরবিআই) কাছ থেকে পাওয়া জবাবের ভিত্তিতে মঙ্গলবার রাতে ভারতের কংগ্রেস পার্টি অভিযোগ করেছে, দেশের শীর্ষ ৫০ জন ইচ্ছাকৃত ঋণ খেলাপির (ডিফল্টার) অপরিশোধিত ঋণ মকুব করিয়ে দিয়েছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বাধীন সরকার। এই খেলাপিদের মধ্যে রয়েছেন নীরব মোদী, মেহুল চোকসি, এবং বিজয় মালিয়া।
দেশের প্রধান বিরোধী দল আরও অভিযোগ করেছে যে ২০১৪ থেকে শুরু করে সেপ্টেম্বর ২০১৯ পর্যন্ত ৬.৬৬ লক্ষ কোটি টাকার ঋণ এখন পর্যন্ত মকুব করেছে কেন্দ্র।
কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি রাহুল গান্ধী বলেন যে তিনি যখন সরকারের কাছে দেশের শীর্ষ ৫০ জন ঋণ খেলাপির নাম জানতে চেয়েছিলেন, অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ তাঁর প্রশ্নের উত্তর দেন নি। "এখন আরবিআই যে তালিকা প্রকাশ করেছে, তাতে নাম রয়েছে নীরব মোদী, মেহুল চোকসি, এবং বিজেপির অনেক 'বন্ধুর'," বলেন রাহুল।
হিন্দিতে লেখা একটি টুইটে রাহুল আরও বলেন, "এই জন্যই সংসদের কাছে তথ্য গোপন করা হয়েছিল।"
संसद में मैंने एक सीधा सा प्रश्न पूछा था- मुझे देश के 50 सबसे बड़े बैंक चोरों के नाम बताइए।
वित्तमंत्री ने जवाब देने से मना कर दिया।
अब RBI ने नीरव मोदी, मेहुल चोकसी सहित भाजपा के ‘मित्रों’ के नाम बैंक चोरों की लिस्ट में डाले हैं।
इसीलिए संसद में इस सच को छुपाया गया। pic.twitter.com/xVAkxrxyVM
— Rahul Gandhi (@RahulGandhi) April 28, 2020
কংগ্রেসের প্রধান মুখপাত্র রণদীপ সুরজেওয়ালাও আরটিআই জবাবের ভিত্তিতে দেশের শীর্ষ ৫০ জন ঋণ খেলাপির তালিকা প্রকাশ্যে এনে দাবি জানান, প্রধানমন্ত্রী মোদীকে জবাব দিতে হবে, কী কারণে এই ধনকুবেরদের ঋণ মকুব করা হলো।
"মোদী সরকারের 'ঠকাও, মিথ্যে বলো, পালাও' নীতির এটি একটি উৎকৃষ্ট উদাহরণ; এটা আর চলবে না, এবং প্রধানমন্ত্রীকে জবাব দিতে হবে," ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সাংবাদিকদের বলেন তিনি। সুরজেওয়ালা এও বলেন যে "এই ঘটনা মোদী সরকারের ত্রুটিপূর্ণ নীতিবোধ এবং অসৎ উদ্দেশ্যের প্রতিফলন"।
কংগ্রেসের মুখপাত্র আরও বলেন, সারা দেশ যখন করোনাভাইরাস মহামারীর সঙ্গে লড়ছে, তখন কেন্দ্রের কাছে রাজ্যগুলিকে দেওয়ার মতো অর্থ নেই, অথচ ৬৮ হাজার ৩০৭ কোটি টাকা ব্যাঙ্ক ঋণ মকুব করার মতো অর্থ রয়েছে।
Shri @RahulGandhi MP (LS) and Shri @rssurjewala spokesperson of @INCIndia have attempted to mislead people in a brazen manner. Typical to @INCIndia, they resort to sensationalising facts by taking them out of context. In the following tweets wish to respond to the issues raised.
— Nirmala Sitharaman (@nsitharaman) April 28, 2020
অভিযোগের জবাবে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ একের পর এক টুইট করেন, যার একটিতে তিনি বলেন, কংগ্রেসের এই দুই সদস্য "নির্লজ্জভাবে" মানুষকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছেন। তিনি বলেন যে মোদী সরকারই ইচ্ছাকৃত ঋণ খেলাপিদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে, এবং নীরব মোদী, মেহুল চোকসি, এবং বিজয় মালিয়ার ক্ষেত্রে মোট ১৮,৩৩২.৭ কোটি টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। "কংগ্রেস এবং রাহুল গান্ধীর উচিত আত্মসমীক্ষা করা, কেন এই গোটা ব্যবস্থার আবর্জনা তাঁরা সাফ করতে পারেন নি। ক্ষমতায় থাকাকালীন, বা ক্ষমতার বাইরেও, দুর্নীতি এবং স্বজনপোষণ বন্ধ করার কোনোরকম ইচ্ছা বা দায়বদ্ধতা দেখায় নি কংগ্রেস," বলেন সীতারমণ।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন