Congress a parasite for its allies Loksabha-Modi: দুর্নীতির বিরুদ্ধে সরকার জিরো টলারেন্স নীতি নিয়েছে। সরকারের চেষ্টায় দেশের অসংখ্য মানুষ দারিদ্রসীমার ওপর উঠে এসেছে। তার প্রেক্ষিতেই জনসাধারণ ফের আমাকে ক্ষমতায় ফিরিয়েছে। তৃতীয়বারের জন্য সরকারে বসিয়েছে। তার আগে, তুষ্টিকরণের নীতি দেশকে ধ্বংসের পথে চালনা করেছিল। এই প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, 'আমি কিছু লোকের কষ্ট বুঝতে পারি। সেই সব লোকজন টানা মিথ্যা বলেও (নির্বাচনে) হেরেছে। ভারতের জনগণ বিবেক, তাঁদের বুদ্ধি আমাদের তৃতীয় মেয়াদে সেবা করার সুযোগ দিয়েছে। দেশের ইতিহাসে এটি একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা। জনগণ আমাদের ১০ বছরের ট্র্যাক রেকর্ড দেখে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে।'
প্রধানমন্ত্রী যখন লোকসভায় একথা বলছেন, তখন বিরোধী আসন থেকে পালটা স্লোগান দিয়েছেন বিরোধীরা। তাঁরা স্লোগান তুলেছেন, 'স্বৈরাচার চলবে না। অবিচার চলবে না। ন্যায় বিচার চাই। অন্যায় চলবে না। চলবে না, চলবে না। আমরা দু'জন (মোদী ও অমিত শাহ) আর আমাদের দু'জন (অম্বানি এবং আদানি)। হিংসা বন্ধ কর। ভালোবাসা দাও।' লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লা বিরোধীদের থামানোর চেষ্টা চালান। তিনি বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধীকে সংসদের মর্যাদা রক্ষার মত আচরণ করতে বলেন। তাঁর সেই কথা শুনে রাহুল চুপ করলেও বাকি বিরোধী সাংসদরা তুমুল হট্টগোল চালিয়ে যান।
তার মধ্যে একটু থমকালেও প্রধানমন্ত্রী বলে চলেন, 'আগে দুর্নীতিতে দেশ ভরে গিয়েছিল। রেশন থেকে গ্যাস, সবকিছুর জন্য ঘুষ দিতে হত। এমনকী সাংসদদেরও গ্যাসের জন্য ঘুষ দিতে হত। আর, দেশবাসী এসব দেখতে দেখতে হতাশ হয়ে পড়েছিল। সেই হতাশার মধ্যে দেশবাসী আমাদের মধ্যে আশার আলো খুঁজে পেয়েছে। ২০১৪ সালে চরম খারাপ পরিস্থিতিতে দেশবাসী আমার কাঁধে দেশের দায়িত্ব তুলে দিয়েছিল। তারপর থেকে দেশ ব্যাপক উন্নতি করেছে। আমরা তোষণ নয়, সন্তুষ্ট করাকে নীতি হিসেবে বেছে নিয়েছি। আর কংগ্রেস পরজীবীতে পরিণত হয়েছে। সঙ্গীদের ভোট খেয়ে বেঁচে থাকে।' যা শুনে 'মণিপুর মণিপুর' চিৎকার আরও বাড়িয়ে দেন কংগ্রেস সাংসদরা।
তার মধ্যেই বিরোধীদের নিশানা করে প্রধানমন্ত্রী বলে চলেন, 'আগে জঙ্গিরা দেশে ঢুকে হামলা চালাতো। কিন্তু ২০১৪ সালের পরে সার্জিক্যাল স্ট্রাইক চালানো হয়। জঙ্গিদের শিবিরে হামলা চালিয়ে ধ্বংস করা হয়। সেইসব শিবির আগে ব্যাংকগুলোকে ধ্বংস করার জন্য নানা রকম ছক কষা হয়েছিল আর বর্তমান সময়ে ব্যাংকগুলো ব্যাপক মুনাফা অর্জন করেছে বর্তমানে জম্মু-কাশ্মীর নিয়েও ভারতের দুশ্চিন্তা দূর হয়েছে। জম্মু-কাশ্মীরে সংবিধান লাগুকরা সম্ভব হয়েছে ৩৭০ ধারার বিলোপ ঘটানো হয়েছে এখন আর জম্মু-কাশ্মীরে পাথর ছোড়া হয় না এখন জম্মু-কাশ্মীরে গণতন্ত্র ফিরে এসেছে লোকজনের সেখানকার বাসিন্দাদের গণতন্ত্রের প্রতি আস্থা ফিরছে।'
আরও পড়ুন- ভোটে ভরাডুবির কারণ কী? আসল সত্যিটা উঠে এল বিজেপির গোপন রিপোর্টে
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, 'আমার তৃতীয়বার ক্ষমতায় আসার অর্থ, দেশকে অগ্রগতির শিখরে নিয়ে যাওয়া। ভারতের অর্থনীতিকে বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতি করে তোলা আমার লক্ষ্য। দেশের মহিলাদের ক্ষমতায়নের জন্য এই সরকারের উদ্দেশ্য। স্বাধীনতার কয়েক দশক পর এনডিএ ক্ষমতায় এসেছে। যা সহজে হয়নি। জনতার অভূতপূর্ব আশীর্বাদে সম্ভব হয়েছে। এই দেশ এখন মোবাইল ক্ষেত্রে স্বনির্ভর। আর, এসবের কারণেই এনডিএ লোকসভা নির্বাচনের সময় হওয়া বিভিন্ন রাজ্যের বিধানসভা ভোটে ক্ষমতায় এসেছে। অরুণাচল প্রদেশ থেকে রাজস্থান, ছত্তিশগড়, সর্বত্র এখন এনডিএর জয়জয়কার। এটাই দেশবাসীর আদেশ।'