লোকসভা থেকে কংগ্রেস সাংসদ অধীর রঞ্জন চৌধুরীকে সাসপেন্ড করার প্রতিবাদে সংসদের বাদল অধিবেশনের শেষ দিনে কংগ্রেসের কার্যত ঝড় তোলে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় একটি কংগ্রেস নেতাকে 'বারবার অসদাচরণের' জন্য লোকসভা থেকে সাসপেণ্ড করা হয়।
'তুচ্ছ কারণে' অধীররের এই সাসপেনশন নিয়ে কংগ্রেস সভাপতি এবং রাজ্যসভার বিরোধী দলের নেতা মল্লিকার্জুন খাড়গে রাজ্যসভার চেয়ারম্যান জগদীপ ধনখড়ের কাছে গণতন্ত্র রক্ষা করার আহ্বান জানিয়েছেন। খড়গে এদিন বলেন, " সামান্য কারণে সাসপেন্ড করা হয়েছে অধীরকে। তিনি শুধু 'নীরব মোদী' বলেছে। নীরব মানে শান্ত। আপনি তাকে এর জন্য সাসপেন্ড করেছেন?"
কংগ্রেস নেতা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে বারবার বাধা দেওয়ার পরে বৃহস্পতিবার সংসদীয় বিষয়ক মন্ত্রী প্রহ্লাদ যোশী চৌধুরীর স্থগিতাদেশের জন্য রেজোলিউশনটি উত্থাপন করেছিলেন, যিনি অনাস্থা প্রস্তাবের বিতর্কে প্রতিক্রিয়া জানাচ্ছিলেন। শুক্রবার সংসদ অধিবেশন শুরুর আগে, 'ইণ্ডিয়া' জোটের নেতারা লোকসভায় কংগ্রেসের নেতা চৌধুরীকে বরখাস্ত করার নিন্দার সরব হয়েছেন। সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী প্রহ্লাদ জোশী বলেছেন, যে অধীর রঞ্জন চৌধুরী প্রতিবারই দেশ ও সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করার চেষ্টা করেন।
কংগ্রেসের তরফে বলা হয়েছে, “এটি গভীর উদ্বেগের বিষয় সংসদের এক সাংসদকে গতকাল কোন উপযুক্ত কারণ ছাড়াই বরখাস্ত করা হয়। কারণ তিনি প্রধানমন্ত্রীর নীরবতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন'। ইন্ডিয়া ব্লকের সাংসদরা লোকসভা থেকে ওয়াকআউট করেন এবং সংসদ চত্বরে আম্বেদকর মূর্তির দিকে মিছিল শুরু করেন।
সাসপেন্ড হওয়ার পর, অধীর রঞ্জন চৌধুরী বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী মণিপুর ইস্যুতে 'নীরব ছিলেন। তাই আমি ভেবেছিলাম নতুন 'নীরব মোদী' দেখে কী লাভ। প্রধানমন্ত্রী মোদী বলেন, গোটা দেশ তাঁর সঙ্গে আছে, তাহলে তিনি কংগ্রেসকে ভয় পান কেন? কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খড়গে অধীর রঞ্জন চৌধুরীর সাসপেনশনকে অগণতান্ত্রিক এবং দুর্ভাগ্যজনক বলে অভিহিত করেছেন।