কংগ্রেস আর পাকিস্তান দু পক্ষকে একাসনে বসিয়ে দিল বিজেপি। তাদের বক্তব্য, এরা চায়‘‘প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে ভারতের রাজনীতি থেকে দূরে হঠাতে।’’
এক সাংবাদিক সম্মেলনে বিজেপি মুখপাত্র সম্বিত পাত্র পাক প্রধানমন্ত্রী এমরান খান এবং পাকিস্তানের বর্তমান ও প্রাক্তন মন্ত্রীদের বিভিন্ন টুইট পড়ে শোনান। তিনি বলেন, প্রতিবেশী দেশের নেতারা কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধীর হয়ে প্রচার করছেন। সমবিতের মন্তব্য, ‘‘কেউ কেউ চায় রাহুল গান্ধী ভারতের বড় নেতা হয়ে উঠুন। তারা করা? তারা পাকিস্তানের নেতা, এবং এরা দুর্নীতি, পরিবারতন্ত্র ও পাইয়ে দেওয়ার রাজনীতির পক্ষে।’’
সম্বিতের দাবি, কংগ্রেস ও পাকিস্তান দু পক্ষেরই মোদী সম্পর্কে ‘হতাশা’ রয়েছে এবং তাদের ‘‘একমাত্র উদ্দেশ্য হল মোদীকে ভারতীয় রাজনীতি থেকে সরিয়ে দেওয়া।’’ সম্বিত বলেছেন, ‘‘প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ‘দরিদ্র, দলিত, পিছিয়ে পড়া ও সাধারণ মানুষের’ সমর্থন রয়েছে এবং ‘‘কেউই তাঁকে সরাতে পারবে না।’’
একই কথা শোনা গিয়েছিল বিজেপি সভাপতি অমিত শাহের মুখে। তিনি প্রশ্ন তুলেছিলেন যে পাকিস্তানের সঙ্গেই কি রাহুল মহাজোট গড়েছেন! পাকিস্তানের তথ্যসম্প্রচার মন্ত্রী রাফালে নিয়ে টুইট করার পর, তার উত্তরে একটি টুইট করেন অমিত শাহ। টুইটে তিনি লিখেছেন, ’’রাহুল গান্ধী বলেছেন মোদী হঠাও। পাকিস্তান বলছে মোদী হঠাও। এখন পাকিস্তান, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বিরুদ্ধে রাহুলের আনা ভিত্তিহীন অভিযোগ সমর্থন করছে।‘‘
সম্বিত পাত্র এদিন একটি ভিডিও ক্লিপ চালিয়ে বলেন এর থেকে রাহুল গান্ধী এবং তাঁর দলের শেখা উচিত। ওই ক্লিপিংয়ে দেখা যাচ্ছিল, গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী থাকাকালীন ভারতের প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংকে নিয়ে মশকরা করার জন্য পাক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফকে তুমুল সমালোচনা করেছিলেন নরেন্দ্র মোদী।
রাফালে চুক্তি নিয়ে প্রাক্তন ফরাসি প্রেসিডেন্ট ওলাঁদের বক্তব্য সামনে আসার পর রাহুল বিজেপি-র বিরুদ্ধে কড়া আক্রমণ নামিয়ে এনে মোদীকে ‘চোর’ আখ্যা দিয়েছেন। অন্যদিকে এ সপ্তাহের প্রস্তাবিত আলোচনা মোদী সরকারের পক্ষ থেকে বাতিল করে দেওয়ার পর পাক-ভারত সম্পর্ক ফের তলানিতে। পাকিস্তানের মন্ত্রী হুসেন বলেছেন, আলোচনা বাতিল করে দেওয়া হয়েছে বিশাল দুর্নীতি কেলেঙ্কারি থেকে মানুষের নজর ঘোরানোর জন্য।