Advertisment

মোদীর বিরুদ্ধে কংগ্রেসের চড়া সুর যেন ৯৯-এ বাজপেয়ীকে আক্রমণের প্রতিফলন

ইন্দো-চিন সীমান্তে উত্তেজনা রয়েছে। সুযোগ বুঝে নেপালও চোখ রাঙাচ্ছে। প্রশ্নের মুখে মোদী সরকারের বিদেশনীতি। বিজেপি সরকারকে আক্রমণের এটাই সেরা সময় বলে মনে করছে কংগ্রেস।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
NULL

ইন্দো-চিন সীমান্তে উত্তেজনা রয়েছে। সুযোগ বুঝে নেপালও চোখ রাঙাচ্ছে। প্রশ্নের মুখে মোদী সরকারের বিদেশনীতি। বিজেপি সরকারকে আক্রমণের এটাই সেরা সময় বলে মনে করছে কংগ্রেস। সীমান্তে উদ্ভুত পরিস্থিতি নিয়ে একের পর এক প্রশ্ন তুলছে কংগ্রেস। এভাবেই গেরুয়া শিবিরের অতি জাতীয়তাবাদী প্রচারকে ভোঁতা করা সম্ভব বলে মনে করছেন হাত শিবিরের নেতারা।

Advertisment

চিনা আক্রমণের পর থেকেই সুর চড়িয়েছেন রাহুল গান্ধী। মিতভাষী মনমোহনও সতর্ক করেছেন প্রধানমন্ত্রীকে। পাল্টা আক্রমণ ধেয়ে এসেছে। কিন্তু, থেমে না গিয়ে সরকার বিরোধী প্রাচার চালিয়ে যাওয়ার পক্ষেই শতাব্দী প্রাচীন দলের নেতৃত্ব। মঙ্গলবার দলের কর্মসমিতির বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত হয়েছে।

সিদ্ধান্ত হয়েছে, ধাপে ঝাপে আক্রমণের চরিত্র দৃঢ় করবে কংগ্রেস। প্রথমে চিনা আক্রমণ নিয়ে সুর চড়ানো হয়েছে। সীমান্ত নিয়ে কেন বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোকে অন্ধকারে রাখা হচ্ছিল তা নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়। মোদীর নিজস্ব ঢঙের কূটনীতি নিয়েও প্রশ্ন তোলা হয়। পরিস্থিতি বেগতিক বুঝেও কেন সেনাদের অস্ত্র ব্যবহারের অনুমতি দেওয়া হয়নি তা নিয়েও সরব ছিল কংগ্রেস। সীমান্ত নিয়ে সর্বদল বৈঠকে সোনিয়া গান্দী প্রশ্ন তোলেন, সরকার কী এখন এটাকে গোয়েন্দা ব্যর্থতা হিসাবে মানবে?

এখানেই শেষ নয়। সর্বদল বৈঠক শেষে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য় নিয়ে বিভ্রান্তি দানা বাঁধে। যা নিয়ে রাহুল গান্ধী মোদীকে জোড়া প্রশ্ন ছুঁড়ে দেন। প্রধানমন্ত্রীকে 'সারেন্ডার মোদী' বলেও কটাক্ষ করেন। লাল ফৌজের কাছে ভারতীয় ভূখণ্ডের অংশ মোদী সরকার আত্মসমর্পণ করেছেন বলে অভিযোগ কংগ্রেসের।

কংগ্রেসের এই আক্রমণে ১৯৯৯ সালে কার্গিল যুদ্ধের সময় বাজপেয়ী সরকারকে আক্রমণের প্রতিফলন বলেই মনে হচ্ছে।

১৯৯৯ সালের গ্রীষ্মে কার্গিল যুদ্ধ হয়েছিল। সেই সময়ও কংগ্রেস অভিযোগ করেছিল, পাক আক্রমণ প্রসঙ্গে দেশকে সম্পূর্ণ অন্ধকারে রাখছে বাজপেয়ী সরকার। কেন্দ্রের অবহেলার কারণেই কার্গিল ঘটেছে ও ভারতীয় বীর জওয়ানদের প্রাণ দিতে হয়েছে বলে অভিযোগ করে কংগ্রেস। যদিও কার্গিলের সঙ্গে গালওয়ানকে এক সারিতে বসাতে রাজি নন হাত শিবিরের নেতারা।

কাকংগ্রেস মনে করছে, লোকসভা ভোটের এখনও চার বছর দেরি। এনডিএ তো বটেই অন্যান্য বেশ কয়েকটি বিরোধী দলও চিন সহ বিদেশ নীতি নিয়ে মোদী সরকারের বিরুদ্ধে অনেকটাই নরম। ফলে মোদী সরকারকে চেপে ধরার এটাই সেরা সময়। এক শীর্ষ কংগ্রেসের নেতার কথায়, 'রাহুল একাই সরব। ফলে প্রতিষ্ঠা করতে পারব যে আমরাই বিজেপির একমাত্র বিকল্প।' একই সঙ্গে নেতৃত্বের জায়গায় রাহুলের পুররুত্থান ঘটবে বলেই আশা।

ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন

CONGRESS
Advertisment