গ্রামীণ কর্মনিশ্চয়তা প্রকল্পের ব্যয় বরাদ্দ কমিয়ে মোদী সরকার মূলধনী প্রকল্পে ব্যয় বরাদ্দ বাড়িয়েছে। মোদী সরকারের বিরুদ্ধে এমনই অভিযোগ করল বিরোধী দল কংগ্রেস। বুধবারই কেন্দ্রীয় বাজেট পেশ করেছেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। বাজেটে মূলধনী ব্যয় বরাদ্দ বৃদ্ধি করা হয়েছে। মূলধনী ব্যয় বাড়িয়ে ১০ লক্ষ কোটি টাকা করা হয়েছে।
২০২০-২১ অর্থবর্ষে যে মূলধনী ব্যয় বরাদ্দ করা হয়েছিল, এবার বরাদ্দ বাড়ানো হয়েছে তার দ্বিগুণেরও বেশি। তার প্রেক্ষিতে সরকারকে খোঁচা মেরে কংগ্রেস বলেছে, 'মূলধনী ব্যয় দ্বিগুণেরও বেশি বরাদ্দের অর্থই হল, সরকারের প্রাণপণে চেষ্টার পরও বেসরকারি খাতে প্রত্যাশামতো বিনিয়োগ আসছে না।'
কংগ্রেসের ডেটা অ্যানালিটিক্স বিভাগের প্রধান প্রবীণ চক্রবর্তী ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে বলেছেন, 'আমার মত সাধারণ মানুষের জন্য বাজেটে কিছু যোগ করা হয়নি। কারণ, তারা (বিজেপি) বলেছে যে মূলধনী খাতে প্রচুর অর্থ ব্যয় করবে। এটা ভাল। কারণ, এতে পরিকাঠামো উন্নত হবে। আবার, এটা খারাপ। কারণ, এই মূলধনী খাতে ব্যয়ের টাকাটা মহাত্মা গান্ধী জাতীয় গ্রামীণ কর্মনিশ্চয়তা প্রকল্প বা মনরেগার বরাদ্দ কাটছাঁট করে আসছে। পাশাপাশি, মূলধনী খাতে ব্যয় বরাদ্দ বৃদ্ধির অর্থ, বেসরকারি খাতে এখনও অবধি আশানুরূপ বিনিয়োগ আসছে না।'
প্রবীণ চক্রবর্তী বলেন, 'যে দল এবং প্রধানমন্ত্রী প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল যে ক্ষমতায় এলে তারা ন্যূনতম সরকারের ভূমিকা পালন করবে। অর্থাৎ, সরকারকে জনগণ সহযোগী হিসেবে পাবে, বন্ধু হিসেবে পাবে, ক্ষমতায় আসার পর সেই প্রতিশ্রুতি শাসক দল মানছে না। মনে হচ্ছে সরকার ছাড়া আর কিছুই নেই। এই সরকারই একমাত্র ব্যাটসম্যান। আট বছর ক্ষমতায় থাকার পর ভারতীয় অর্থনীতির একমাত্র সক্রিয় খেলোয়াড় এই সরকার। কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামনের বাজেটেও সেটাই যেন আরও স্পষ্ট হয়েছে।'
আরও পড়ুন- এবারের কেন্দ্রীয় বাজেটের তিনটি বিশেষত্ব, জানেন সেগুলো কী?
প্রবীণ চক্রবর্তী স্পষ্ট জানান, মনরেগার বরাদ্দ কাটছাঁট রীতিমতো 'সমস্যামূলক'। তিনি বলেন, 'শুধুমাত্র গতকালই প্রধান অর্থনৈতিক উপদেষ্টা সমীক্ষায় বলেছিলেন যে মনরেগার চাহিদা এখন অনেক বেশি। করোনার আগে যা ছিল, তার চেয়েও বেশি। তারপরও বাজেটে মনরেগার বরাদ্দ কমানো হল। এখন তারা বলছে মনরেগার চাহিদা হঠাৎ এবং নাটকীয়ভাবে কমে যাবে। তার মানে, লোকের কাজ চাইবে, কিন্তু পাবে না।'
প্রবীণ চক্রবর্তী বলেন, 'এটা বেআইনি। কারণ, আইন অনুযায়ী মনরেগার কাজ প্রশাসনকে দিতেই হবে। কারণ, এটি একটি চাহিদা ভিত্তিক কর্মসূচি। আর, একটা হতে পারে। তারা জনসাধারণকে কাজ দেবে। মানে, আরও বেশি ব্যয় করবে। এতে বাজেটে ঘাটতি বাড়বে। সেই কারণেই আমি বলছি, এই বাজেট থেকে কিছু পাওয়ার নেই।'
Read full story in English