বিস্ফোরক শুভেন্দু অধিকারী। কংগ্রেস-বিজেপি আঁতাঁত প্রসঙ্গে নিশানা করলেন প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায়কে। আরএসএস দফতরে প্রণববাবুর এক ফোনেই নাকি গত লোকসভা নির্বাচনে জঙ্গিপুর কেন্দ্রে প্রার্থী বদল করেছিল বিজেপি। জঙ্গিপুর কেন্দ্রে কংগ্রেস প্রার্থী ছিলেন প্রণবপুত্র অভিজিৎ মুখোপাধ্যায়। তাঁকে ভোট বৈতরণী পার করাতেই নাকি প্রাক্তন রাষ্ট্রপতির এহেন উদ্যোগ বলে দাবি করেন শুভেন্দু।
মুর্শিদাবাদের হরিহরপাড়ায় সিএএ বিরোধী সভায় বক্তব্য রাখছিলেন পরিবহণ মন্ত্রী তথা তৃণমূলের তরফে জেলার পর্যবেক্ষক শুভেন্দু অধিকারী। উঠে আসে বিজেপির বিরোধিতায় কেন একযোগে আন্দোলন করছে না রাজ্যের শাসক দল। সেই প্রসঙ্গেই বলতে গিয়ে বিজেপি-কংগ্রেস আঁতাঁতের অভিযোগ করেন জোড়াফুল শিবিরের এই দোর্দদণ্ডপ্রতাপ নেতা। নিশানা করেন প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি প্রণববাবুকে।
'প্রণব মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গে আঁতাঁত রয়েছে আরএসএসের', বিস্ফোরক শুভেন্দু pic.twitter.com/g2xz5QiHhD
— indianexpress bangla (@iebengali) January 12, 2020
ভিডিও- পরাগ মজুমদার
মন্ত্রী বলেন, '২০১৯ সালের লোকসভা ভোটে জঙ্গিপুরে বিজেপির তরফে প্রথমে প্রার্থী ছিলেন সম্রাট ঘোষ। তারপর কংগ্রেস কর্মীরা ওই দেওয়াল মুছে দেয়। পরে ওই কেন্দ্রে সিপিএম ত্যাগী মাফুজা খাতুনকে প্রার্থী করে গেরুয়া শিবির।' পদ্ম বাহিনী প্রার্থী বদলের নেপথ্যের কারণ তুলে ধরতে গিয়ে শুভেন্দু অধিকারী বলেন, 'ওই কেন্দ্রে কংগ্রেস পার্থী ছিলেন প্রণব-বেটা অভিজিৎ। তার আগে নাগপুরে আরএসএস অফিসে গিয়েছিলেন প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায়। ছেলেকে জেতাতে আরএসএস অফিসে ফোন করে বিজেপির প্রার্থী বদলের কথা বলেছিলেন প্রণববাবু। জানিয়েছিলেন, বিজেপি হিন্দু প্রার্থী দিলে ওই কেন্দ্রে হিন্দু ভোট ভাগ হয়ে যাবে। এতে ছেলের বিপদ রয়েছে। এরপরই মাফুজা খাতুনকে প্রার্থী করে বিজেপি।' উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের লোকসভায় জঙ্গিপুর লোকসভা থেকে জয় পান তৃণমূলের খলিলুর রহমান।
আরও পড়ুন: অবস্থান বদল কংগ্রেসের দেবপ্রসাদের, বামেদের সঙ্গে জোটে সায়
এখানেই শেষ নয়। এর আগেও অধীর চৌধুরীর সিআরপিএএফ নিরাপত্তাকে হাতিয়ার করে কংগ্রেস-বিজেপি যোগের অভিযোগ করেছিলেন পরিবহণ মন্ত্রী। এদিনও একই অভিযোগ করেন তিনি।
আগামিকাল সোনিয়া গান্ধীর ডাকা সিএএ বিরোধী বৈঠক বয়কট আগেই বয়কটের কথা জানিয়েছেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দিন কয়েক আগেই বিধানসভায় মমতা বলেন, 'নয়া দিল্লিতে আগামী ১৩ জানুয়ারি সোনিয়া গান্ধীর ডাকা বৈঠক বয়কট করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। কারণ, পশ্চিমবঙ্গে বনধ ঘিরে যেভাবে তাণ্ডব চালিয়েছে বাম-কংগ্রেস, তা সমর্থন করি না। সে কারণেই বৈঠক বয়কট করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।'