Advertisment

গেহলটকে আর ভরসা নয়, কংগ্রেস সভাপতি পদে বিশ্বস্ত প্রার্থী খুঁজছে গান্ধী পরিবার

গেহলটকে পুরোপুরি রেহাই দিতে নারাজ দলের হাইকমান্ড। সভাপতি নির্বাচন নিয়ে হাইকমান্ডের পরিকল্পনা ভেস্তে দিয়েছেন রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী। তাই শচীন পাইলটকে রাজস্থানের উন্নয়নের ব্যাপারে কথা বলতে ডেকে পাঠিয়েছেন সনিয়া গান্ধী।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
Congress faces presidential poll

রবিবার জয়পুরে ঘটে যাওয়া ঘটনার পরে রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলটের দলীয় সভাপতি পদে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা নিয়ে কংগ্রেস নেতৃত্ব আর তেমন একটা আগ্রহী নয়। কারণ, ওই ঘটনার পর একটা অনিশ্চয়তার অনুভূতি কংগ্রেসের সভাপতি নির্বাচনকে আঁকড়ে ধরেছে। মনোনয়ন প্রক্রিয়া শেষ হতে আর মাত্র তিন দিন বাকি। এই পরিস্থিতিতে প্রতিদ্বন্দ্বিতার ব্যাপারে নিরপেক্ষতার বুলি আওড়ালেও এখন ঢোঁক গিলতে বাধ্য হচ্ছেন কংগ্রেস নেতৃত্ব।

Advertisment

সূত্রের খবর, কংগ্রেসের প্রবীণ নেতা একে অ্যান্টনিকে এই পরিস্থিতিতে আলোচনার জন্য দিল্লিতে ডাকা হয়েছে। অ্যান্টনির ঘনিষ্ঠ সূত্রে খবর, ৮১ বছর বয়সি প্রবীণ এই নেতা সভাপতি নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন না। এটা একপ্রকার নিশ্চিত করেই জানিয়েছেন তাঁর ঘনিষ্ঠরা। তবে, মঙ্গলবার রাতে তাঁর দিল্লিতে আগমন ইঙ্গিত দিচ্ছে যে কংগ্রেস সভানেত্রী সনিয়া গান্ধী একটি উপায় খুঁজে বের করার জন্য দলের প্রবীণ নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ করছেন। সোমবার, যেমন তিনি দলের প্রবীণ নেতা কমলনাথের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলেন। কিন্তু, কমলনাথ আবার মধ্যপ্রদেশ ছাড়তে আগ্রহী নন।

এরমধ্যেই লোকসভা সাংসদ শশী থারুর ঘোষণা করেছেন যে তিনি শীর্ষ পদের জন্য প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। আর, ৩০ সেপ্টেম্বর দলের সভাপতি পদে মনোনয়নপত্র জমাও দেবেন। আর, ওই দিনই কংগ্রেসের সভাপতি নির্বাচনে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ দিন। এই পরিস্থিতিতে একটা জল্পনা রয়েছে যে শশী থারুরের মনোনয়নপত্র গ্রহণ করা হবে না। আর, দ্বিতীয় জল্পনা তৈরি করেছেন এআইসিসির কোষাধ্যক্ষ পবনকুমার বনশল সোমবার দুই সেট মনোনয়নপত্র তুলেছেন। তাই এমন সম্ভাবনাও রয়েছে যে একটা আলোচনার মধ্যে দিয়ে ঐক্যমত্যে পৌঁছনো যেতে পারে। বনশল অবশ্য জানিয়েছেন, তিনি একজনের হয়ে প্রস্তাবক হিসেবে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন। কিন্তু, তিনি কে? বনশন সেনিয়ে মুখ খোলেননি। শুধু জানিয়েছেন, 'শীঘ্রই সেটা পরিষ্কার হয়ে যাবে।'

তাঁকে আরও একটু চাপাচাপি করায় বনশন শেষ পর্যন্ত বলেন, 'আমি গতকাল দিল্লি ছেড়ে চণ্ডীগড় যাওয়ার আগে ফর্ম নিয়েছিলাম। আমি আজ রাতে দিল্লি ফিরছি। আর আমি আগামী কয়েকদিন চণ্ডীগড় যাব না। তাই আমি ফর্মগুলি নিয়েছি এবং প্রস্তাবকদের একজন হিসাবে স্বাক্ষর করার পরে চণ্ডীগড় কংগ্রেসের সভাপতি হরমহিন্দর সিং লাকিকে দিয়েছি। আমি চণ্ডীগড় কংগ্রেস সভাপতির হয় এই ফর্ম নিয়েছি। যেহেতু প্রতিনিধিরা দিল্লিতে আসতে পারবেন না, তাঁরা সমর্থক হিসেবে ফর্মগুলোতে স্বাক্ষর করতে পারেন। রাহুল গান্ধী যখন নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন, সেই সময়ও আমরা এভাবে ফর্ম সংগ্রহ করেছিলাম।'

আরও পড়ুন- বিরাট ক্ষতি! গ্রহাণুর ধাক্কায় চুরমার নাসার মহাকাশযান, কীভাবে ঘটল এতবড় ঘটনা?

ইতিমধ্যে, কংগ্রেসের কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিটির প্রধান মধুসূদন মিস্ত্রি এআইসিসির ডেটা বিশ্লেষণ বিভাগের প্রধান প্রবীণ চক্রবর্তী ও এআইসিসির সচিব বিপি সিং-কে নিয়ে সনিয়া গান্ধীর সঙ্গে দেখা করেছেন। তাঁরা তাকে প্রদেশ কংগ্রেস কমিটির প্রতিনিধিদের চূড়ান্ত তালিকা দিয়েছেন। এই প্রদেশ কংগ্রেস কমিটির প্রতিনিধিরাই কংগ্রেসের সভাপতি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবেন। এজন্য প্রতিনিধিদের QR-কোডের পরিচয়পত্রও দেওয়া হচ্ছে।

রবিবার জয়পুরে কংগ্রেস সভাপতি পদের জন্য গেহলটের দরকষাকষিতে ক্ষুণ্ণ কংগ্রেস হাইকমান্ড। দলের শীর্ষ নেতৃত্ব এখন মল্লিকার্জুন খাড়গে, কমল নাথ, দিগ্বিজয় সিং, মুকুল ওয়াসনিক এবং সুশীলকুমার শিণ্ডের মতো প্রবীণ নেতাদের কাউকে সম্ভাব্য সভাপতি পদপ্রার্থী করতে চাইছে। পাশাপাশি, রাজস্থানের উন্নয়ন নিয়ে আলোচনা করতে শচীন পাইলটকেও দিল্লিতে ডেকে পাঠিয়েছেন কংগ্রেস শীর্ষ নেতৃত্ব।

Read full story in English

President CONGRESS Ashok Gehlot
Advertisment