Advertisment

'রাহুলে আস্থা নেই', সোনিয়ার ডাকা বৈঠকে যোগ নিয়েও প্রবল দ্বন্দ্ব দলের অন্দরে

প্রবীণ কংগ্রেস নেতা কমল নাথ ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে বলেছেন, ''ঐক্যের অভাব এবং অন্তর্দ্বন্দ্ব পাঞ্জাবে দলের ক্ষতি করেছে।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
Arif Masood Congress mla madhyapradesh who is taking on his party again

নেতৃত্বের প্রশ্নে কংগ্রেসে বিতর্ক।

আর ছাড় নেই। কংগ্রেসের জি-২৩ নেতাদের বৈঠকে তুলোধনা গান্ধী পরিবারকে। বিশেষ করে রাহুল গান্ধীর নেতৃত্ব নিয়ে কড়া সওয়াল তুললেন দলের একাধিক প্রবীণ নেতা। আগামী দিনে শীর্ষ স্তরে বদল না এলে দল বাঁচানোই দায় হবে বলেও মত প্রকাশ করেছেন কংগ্রেসের সিনিয়র নেতাদের একটি বড় অংশ।

Advertisment

এর আগেও দলের ভরাডুবির পর আত্মসমালোচনার তাগিদ দেখায়নি কংগ্রেস। জি-২৩-এর নেতারা ২০২০ সালে সোনিয়া গান্ধীকে চিঠি লিখে দলের নেতৃত্বে ব্যাপক রদবদল চেয়েছিলেন। দলের সিনিয়র নেতা এবং ওয়ার্কিং কমিটির সদস্য গুলাম নবী আজাদের বাড়িতে আলাদা করে বৈঠকেও বসেছিলেন সেই নেতারা। কিন্তু প্রত্যশিত ফল মেলেনি। গান্ধী পরিবারের বাইরে এমন কাউকেই শীর্ষপদে তুলে আনতে পারেনি কংগ্রেস। তবে এবার পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা ভোটে দলের ব্যাপক ভারডুবির পর ফের বেড়েছে অসন্তোষ। দসলের শীর্ষ পদে বদল চেয়ে কড়া সওয়াল প্রবীণ নেতাদের।

এবছরের শেষের দিকে কংগ্রেসের সাংগঠনিক পর্যায়ে নির্বাচন। তার আগে পাঁচ রাজ্যের নির্বাচনে দলের ভরাডুবি নিয়ে আরও একবার নেতৃত্বের দিকেই আঙুল তুললেন নেতারা। রাজ্যে-রাজ্যে কংগ্রেস কর্মীদের মনোবল তলানিতে। এই পরিস্থিতিতে দলকে টেনে তুলতে মুখ বদলের দাবি ইতিমধ্যেই আরও জোরদার হচ্ছে। কংগ্রেসের অনেক প্রবীণ নেতারাও বলতে শুরু করেছেন, শীর্ষস্তরে বদল না এলে দল বাঁচানোই দায় হবে। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, রাহুল গান্ধীর নেতৃত্ব নিয়ে এবার আরও চোখা-চোখা প্রশ্ন ওঠা শুধুই সময়ের অপেক্ষা। বিষয়টি এড়ানোর চেষ্টা হলে কংগ্রেসের অভ্যন্তরীণ কোন্দল আরও বাড়বে।

আরও পড়ুন- প্রবল গেরুয়া ঝড়েও কুপোকাত যোগীর ১০ মন্ত্রী, তালিকায় ডেপুটি কেশব প্রসাদ মৌর্যও

এদিকে, প্রবীণ কংগ্রেস নেতা কমল নাথ ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে বলেছেন, ''ঐক্যের অভাব এবং অন্তর্দ্বন্দ্ব পাঞ্জাবে দলের ক্ষতি করেছে। একইভাবে দলের সাংগঠনিক কাঠামোর দুর্বলতার কারণেই অন্য রাজ্যেও ফল চোকাতে হয়েছে।'' জি-২৩ নেতাদের এই বৈঠকের মেজাজ ছিল বেশ চড়া।

এই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যসভায় কংগ্রেসের ডেপুটি লিডার আনন্দ শর্মা, দলের সাংসদ কপিল সিবাল, মনীশ তিওয়ারি, অখিলেশ প্রসাদ সিং এবং হরিয়ানার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ভূপিন্দর সিং হুডা। আরও কয়েকজন নেতা ভার্চুয়ালি বৈঠকে যোগ দিয়েছিলেন। বেশ কয়েকজন নেতা বৈঠকে সাফ জানিয়েছেন, 'রাহুলে আস্থা নেই'। এমনকী সোনিয়া গান্ধী কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠকের যে পরিকল্পনা করছেন তাতে তাঁদের যোগ দেওয়া উচিত কিনা তা নিয়েও আলোচনা চলে বৈঠকে।

Read full story in English

CONGRESS rahul gandhi sonia gandhi CWC Assembly Election 2022
Advertisment