বিধানসভা নির্বাচনের এখনও কয়েক মাস বাকি আছে। কিন্তু সরকার নিয়ে সমস্যায় পুদুচেরির কংগ্রেস সরকার। মঙ্গলবার বিধানসভায় পুদুচেরির কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল কংগ্রেস সরকার তার সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারাতে থাকায় বিধায়ক এ জন কুমার স্পিকার ভি পি শিবকোলুন্থুর কাছে পদত্যাগের প্রস্তাব দেন। ৩০ আসনে বিধানসভায় কংগ্রেসের বিধায়ক সংখ্যা এখন ১০।
গত বছরের মাঝামাঝি সময় থেকেই পুদুচেরি বিধানসভায় কংগ্রেসের বিধায়ক সংখ্যা ক্রমশই কমেছে। জন কুমারের পদত্যাগের পর মোট ৪ জন বিধায়ক কংগ্রেসের ক্যাবিনেট ছেড়ে বেরিয়ে যান। ২০১৬-র বিধানসভা নির্বাচনে কংগ্রেস পুদুচেরিতে ৩০ টি আসনের মধ্যে ১৫ টি আসন দখল করেছিল। জোটসঙ্গী ডিএমকে পেয়েছিল ৪ টি আর এক নির্দল তাদের সমর্থন করেছিল।
এই পরিস্থিতিতে কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন পুদুচেরির সরকার তাদের সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারিয়েছে। গত কয়েকদিনে একদিকে যেমন চার কংগ্রেস বিধায়ক ইস্তফা দিয়েছেন, অন্যদিকে এক বিধায়কের সদস্যপদ বাতিল হয়ে গিয়েছে।
উল্লেখ্য, কংগ্রেসের তরফে ভি নারায়নস্বামী সরকার গঠন করেন। তবে শুরু থেকেই তাঁর অভিযোগ ছিল, উপরাজ্যপাল তাঁকে কাজ করতে দিচ্ছেন না। সম্প্রতি মুখ্যমন্ত্রী উপ রাজ্যপালের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানিয়ে রাষ্ট্রপতির সঙ্গেও সাক্ষাৎ করেন। তাঁকে স্মারকলিপিও দেন। মুখ্যমন্ত্রী নারায়নস্বামী সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছিলেন, তিনি রাষ্ট্রপতির সাক্ষাৎপ্রার্থী কেননা উপরাজ্যপাল কিরণ বেদি প্রতি পদক্ষেপে কাজে বাধা দিচ্ছেন।
ক্ষমতাসীন কংগ্রেস-ডিএমকে জোট এবং এআইএডিএমকে-বিজেপি জোটের ৩৩-সদস্যের সভায় ১৪ জন বিধায়ক রয়েছেন - বিধানসভায় তিনজন মনোনীত বিধায়ক রয়েছেন, বর্তমানে ২৮টি বিধায়ক রয়েছেন। কংগ্রেসের দশ জন বিধায়ক ছাড়াও তিনটি ডিএমকে বিধায়ক এবং একটি স্বতন্ত্র শাসক জোটকে সমর্থন করছেন। বুধবার রাহুল গান্ধীর পুদুচেরি যাওয়ার কথা। তার আগেই এই পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। রাহুল গান্ধীর এই সফর পুদুচেরিতে কংগ্রেসের সরকার তৈরি হওয়ার পর প্রথমবার।
Read the full story in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন