কংগ্রেস ছেড়েছেন, তা-ও অনেক দিন হল। নিজের দলও গঠন করেছেন। এবার জম্মু-কাশ্মীরের নেতা তথা উপত্যকার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী গুলাম নবি আজাদ কংগ্রেস হাইকমান্ডকে লক্ষ্য করে তোপ দাগলেন। বুঝিয়ে দিলেন, কংগ্রেস হাইকমান্ডের প্রতিক্রিয়া নিয়ে তাঁর এখন আর কোনও ভয়ডর নেই। তিনি এখন সম্পূর্ণই আজাদ। জম্মু-কাশ্মীরের নেতার দাবি, বিভিন্ন রাজ্যে কংগ্রেসের জয়ের পিছনে দলের হাইকমান্ডের কোনও ভূমিকাই নেই। সেই সব রাজ্যের নেতারাই বরং জয়ের কান্ডারি। একইসঙ্গে জাতীয় দলগুলোর ব্যক্তিনির্ভরতাকেও তীব্র কটাক্ষ করেছেন আজাদ।
বিভিন্ন মহল থেকে বর্তমানে বিজেপির অতিরিক্ত মোদী নির্ভরতা নিয়ে প্রশ্ন তোলা হচ্ছে। যেন মোদী ছাড়া বিজেপিতে আর কোনও নেতা। স্থানীয়স্তরে নির্বাচন, সেখানেও ব্যানার, হোর্ডিং আর পোস্টারে মোদীর মুখ। গুলাম নবি আজাদের মতে এটা শুধু বিজেপির ব্যাপার না। এটা আসলে ভারতের জাতীয় দলগুলোরই চরিত্র। এদেশের সব জাতীয় দলই ব্যক্তিনির্ভর। আজাদের পালটা বক্তব্য, 'এদেশের প্রতিটি আঞ্চলিক দলেই একজন ব্যক্তিই গুরুত্বপূর্ণ। আমি মোদীর কথা বলছি না। কিন্তু, কোন জাতীয় দল শুধুমাত্র একজন ব্যক্তিকে ঘিরে আবর্তিত হয় না?'
পাঁচ দশক ধরে তিনি কংগ্রেসের ওঠাপড়ার প্রত্যক্ষভাবে সাক্ষী থেকেছেন। শেষে গত সেপ্টেম্বরে কংগ্রেস ছেড়ে আলাদা দল গড়েছেন। প্রকাশ করেছেন তাঁর আত্মজীবনী 'আজাদ'। আর, তার আগে কথা বলেছেন ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের সঙ্গে। সেখানে স্বভাবতই এসেছে কংগ্রেসের প্রসঙ্গ। উঠেছে, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে তাঁর ঘনিষ্ঠতার কথাও। তারই মধ্যে আজাদ জানিয়েছেন, তিনি উপত্যকায় গণতন্ত্র ফেরার ব্যাপারে আশাবাদী। শীঘ্রই জম্মু-কাশ্মীরে নির্বাচন হবে বলেই তিনি মনে করছেন।
আরও পড়ুন- খামখেয়ালি আবহাওয়ায় গম উৎপাদনের ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে, কীভাবে?
আজাদ জানিয়েছেন, নতুন দল গঠন করে তিনি বেশ স্বস্তিতেই আছেন। কারণ, কংগ্রেসে থেকে গেলে এখন তাঁকেও দলের অন্যান্য প্রবীণ নেতাদের মত, হয় ইডির দফতরের সামনে দাঁড়িয়ে থাকতে হত। নয়, সুরাটে রাহুল গান্ধীর প্রতি সমর্থন জানাতে যেতে হত। কংগ্রেস হাইকমান্ডকে এই কটাক্ষ করলেও একইসঙ্গে অবশ্য আজাদ জানিয়েছেন, তিনি সংসদ থেকে রাহুল গান্ধীর বহিষ্কারকে কোনওমতেই সমর্থন করেন না।