New Update
/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2021/09/channi-sidhu-rahul.jpg)
অন্দরে চওড়া হচ্ছে কংগ্রেসের ফাটল।
কিন্তু আদৌ মিটবে হাত শিবিরের অন্দরে জ্বলতে থাকা আগুন?
অন্দরে চওড়া হচ্ছে কংগ্রেসের ফাটল।
ক্যাপটেন বনাম সিধু, এই দ্বন্দ্বে ইতিমধ্যেই ফাট ধরেছে পাঞ্জাবের কংগ্রেস শিবিরে। এরমধ্যেই বিতর্কিত মন্তব্যে করে বসেছেন প্রবীণ কংগ্রেস নেতা হরিশ রাওয়াত। দলের তরফে পাঞ্জাবের দায়িত্বে রয়েছেন তিনি। রবিবার মুখ্যমন্ত্রী নির্বাচনের পর রাওয়াত বলেছিলেন যে প্রদেশ সভাপতি নভজ্যোত সিং সিধুর নেতৃত্বেই আগামী বছর পাঞ্জাবের ভোটে লড়াই করবে হাত শিবির। এরপরই অসন্তোষ মাথাচাড় দেয় শাসক দলের অন্দরে। সুনীল জাখর থেকে চান্নি, শিখ নেতৃত্ব- নানা প্রশ্ন তুলতে শুরু করেন।
গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে কংগ্রেসের অন্দরে চিড় যে আরও বাড়ছে তা আঁচ করতে দেরি করেননি হাইকমান্ড। তড়িঘড়ি ড্যামেজ কন্ট্রোলে নামে নেতৃত্ব। কথা বলা হয় হরিশ রাওয়াতের সঙ্গে। পরে দলের তরফে বলা হয়, রাওয়াতের মন্তব্যের ভুল ব্যাখ্যা করেছে সংবাদ মাধ্যম। সংগঠনের নেতা হিসাবে সিধু ও সরকারের মুখ হিসাবে চান্নির নেতৃত্বেই ২০২২-এ বিধানসভায় লড়বে কংগ্রেস।
কংগ্রেসের কমিউনিকেশন সেলের দায়িত্বপ্রাপ্ত রণদীপ সিং সুরজেওয়ালা বলেন, "পাঞ্জাবে দলের নেতা সিধু ও সরকারের প্রধান চান্নি। এঁদের উভয়ের সঙ্গে রাজ্যের বহু কংগ্রেস নেতা, কর্মী মিলেমিশেই ভোটের লড়াই করবেন। এটাই বাস্তব ও সত্য।"
সব শিবিরকে খুশি রাখতে সুরজেওয়ালা বলেন, "সিধু ও চান্নি, উভয়ই আমাদের মুখ। কেউ যদি এঁদের একজনকে আগামী বিধানসভায় লড়াইয়ের মুখ বলে থাকেন তবে তার ভুল ব্যাখ্যা হয়েছে। সংবাদ মাধ্যমের মোজীজি, বাদলজি, কেজরিওয়ালজিকে ভালো লাগতেই পারে, কিন্তু দয়া করে নতুন দায়িত্বপ্রাপ্ত মুখ্যমন্ত্রীকে কাজে বিরক্ত করবেন না। দলিল এই নেতা এবং প্রদেশ সভাপতি- উভয়ই আগামী ভোটে কংগ্রেসের মুখ। এটাই স্বাভিক।"
রবিবার রাতে হরিশ রাওয়াত বলেছিলেন যে, " নভজ্যোত সিং সিধু খুবই জনপ্রিয়। সিধুর অধীনেই পাঞ্জাবের বিধানসভা নির্ভাচনে লড়াই করবে কংগ্রেস।" এতেই আগুনে ঘি পড়ে। প্রাক্তন প্রদেশ সভাপতি জাখর টুইটে লেখেন, "সিধুর নেতৃত্বে নির্বাচন হবে, অবাককাণ্ড। এতে মুখ্যমন্ত্রীর কর্তৃত্ব ক্ষুণ্ণ হতে পারে।"
Read in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন