১৫০০ কোটি টাকার কেন্দ্রীয় অনুদান থেকে কাটমানি গান্ধী পরিবারে যেত। এভাবেই পুদুচেরিতে কংগ্রেসের বিরুদ্ধে সরব হলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। রবিবার তাঁর আক্রমণের নিশানায় ছিলেন সে রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী নারায়ণস্বামী। এমনকী কেন্দ্রীয় প্রকল্প পুদুচেরিতে লাগু করা নিয়ে ক্ষুদ্র রাজনীতি করেছে প্রাক্তন সরকার। এভাবেও তোপ দাগেন অমিত শাহ।
সুর চড়িয়ে তাঁর অভিযোগ, 'জনতার চেয়ে কাটমানি দিয়ে গান্ধী পরিবারকে সেবা করতে বেশি স্বচ্ছন্দ ছিলেন নারায়ণস্বামী।' তাঁর খোঁচা, 'পরিবারতন্ত্রের জন্য বহু পুরনো নেতা-কর্মী কংগ্রেস ছাড়ছেন। ধ্বংসের পথে যাচ্ছে কংগ্রেস।' এদিন তিনি কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধীকেও খোঁচা দিয়েছেন। সম্প্রতি কেরল সফরে গিয়ে কংগ্রেস সাংসদ বলেছিলেন, 'মৎস্যজীবীদের উন্নয়নে কেন্দ্রে কোনও মৎস্য মন্ত্রক নেই।' সেই মন্তব্যকে খোঁচা দিয়ে অমিত শাহ বলেছেন, 'দু'বছর আগে নরেন্দ্র মোদীজি মৎস্য মন্ত্রক কেন্দ্রীয় ক্যাবিনেটে অন্তর্ভুক্ত করেছেন। আপনি জানতেন না, কারণ তখন আপনি ছুটিতে ছিলেন।'
এদিকে, নির্বাচনের মুখে চরম অস্তস্তি হাত শিবিরের। পুদুচেরিতে পতন ঘটল কংগ্রেস সরকারের। সোমবার আস্থা ভোটে হেরে গেলেন পুদুচেরির মুখ্যমন্ত্রী ভি নারায়ণস্বামী।
রবিবার কংগ্রেসের দুই বিধায়ক ইস্তফা দেওয়ায় সংখ্যালঘু হয়ে পড়ে কংগ্রেস সরকার। সোমবার পুদুচেরি বিধানসভায় আস্থা ভোটের শুরুতেই শাসকদলের বিধায়করা ওয়াক আউট করেন। তারপরই স্পিকার জানিয়ে দেন, বিধানসভায় সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণে ব্যর্থ হয়েছে কংগ্রেস সরকার।
ভোটের মাস দেড়েক আগে পুদুচেরিতে পতন হল কংগ্রেস সরকারের। ৩৩ আসন বিশিষ্ট পুদুচেরি বিধানসভায় বর্তমানে পাঁচজন সদস্য কমে গিয়েছে। তার ফলে বিধানসভায় সদস্যের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২৮। লক্ষ্মীনারায়ণ এবং ভেঙ্কটেশনের ইস্তফাপত্র গৃহীত হওয়ায় সেই সংখ্যাটা কমে হয় ২৬। কংগ্রেস সরকারের কাছে মাত্র ১২ জন বিধায়ক ছিল। অন্যান্য বিরোধী দলের সঙ্গে বিজেপির হাতে রয়েছে ১৪ জন বিধায়ক। এর জেরেই ক্ষমতা হারাল নারায়ণস্বামী সরকার।
এপ্রিল-মে মাসে চার রাজ্যের ভোটের সঙ্গে পুদুচেরিতেও নির্বাচন হবে। তার আগে গত সপ্তাহেই কেন্দ্রীয় শাসিত পুদুচেরির এলজি কিরণ বেদীকে সরিয়ে দেয় কেন্দ্র। এবার পতন হয়েছে সরকারের। বর্তমানে পুদুচেরির দায়িত্বভার সামলাচ্ছেন তেলঙ্গানার রাজ্যপাল টি সৌন্দরারাজন।