হিন্দুত্ববাদী বিজেপির সঙ্গে টেক্কা দিতে হিন্দুত্বকে উপেক্ষা করলে চলবে না। আর হিন্দুত্ববাদীদের তপস্বী ভাবমূর্তির মোদীর সঙ্গে টেক্কা দিতে উলটোদিকেও তপস্বী ভাবমূর্তির কাউকে চাই। কংগ্রেস তাই ধর্ম নিয়ে দ্বিধা রাখতে নারাজ। 'ভারত জোড়ো' যাত্রায় রাহুল গান্ধীকেও তাই বারবার দেখা যাচ্ছে দেশের একের পর এক মন্দিরে। একসপ্তাহের মধ্যেই শ্রীনগরে রাহুলের এই যাত্রা শেষ হবে। গত সাড়ে চার মাস ধরে দেশজোড়া এই যাত্রা নিয়ে কম বিতর্ক হয়নি। কম রাজনৈতিক গুঞ্জন চলেনি। তার মধ্যে দেশের একের পর এক মন্দিরে দেখা গিয়েছে রাহুলকে। এমনকী, জম্মুর রঘুনাথ মন্দিরেও শ্রদ্ধা নিবেদন করতে দেখা গিয়েছে প্রাক্তন কংগ্রেস সভাপতিকে।
২০১৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে পরাজয়ের পর থেকেই বিজেপির হিন্দুত্ববাদের প্রতিষেধক খুঁজে বের করার চেষ্টা চালাচ্ছে কংগ্রেস। কারণ, বিজেপি লাগাতার প্রচার চালিয়ে গিয়েছে যে কংগ্রেস এক মুসলিমপন্থী দল। ২০১৮ সালে সোনিয়া গান্ধী নিজেই বলেছিলেন যে বিজেপি কীভাবে জনসাধারণের মধ্যে প্রচার চালাচ্ছে যে কংগ্রেস একটি মুসলিমপন্থী দল। আর, তাই হিন্দুধর্মের সঙ্গে কংগ্রেসের ঘনিষ্ঠতা প্রমাণ বেশ কয়েকবছর ধরেই তৎপর দলের হাইকমান্ড। রাহুলও সেই নীতিই অনুসরণ করছেন বলেই মনে করছে বিভিন্ন মহল। তবে, অতিরিক্ত হিন্দুত্ববাদী প্রবণতা যাতে কংগ্রেসের চিরাচরিত ধর্মনিরপেক্ষ ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ না-করে, সেই ব্যাপারেও দল সতর্ক। আর, সেকথা মাথায় রেখে হিন্দুদের পাশাপাশি অন্যান্য সম্প্রদায়ের ধর্মস্থানও 'ভারত জোড়ো' যাত্রায় পরিদর্শন করেছেন রাহুল।
আরও পড়ুন- মোদি-ব্রিটেন সম্পর্ক কি তলানিতে, তার জেরেই কি বিবিসির তথ্যচিত্র প্রকাশ?
'ভারত জোড়ো' যাত্রায় রাহুলকে বারবার মন্দিরে দেখা যাচ্ছে। তাই বলে কিন্তু, ব্যাপারটা মোটেও নতুন কিছু না। গত কয়েক বছর ধরেই প্রাক্তন কংগ্রেস সভাপতি বহু মন্দির পরিদর্শন করেছেন। হিন্দু ধর্ম সম্পর্কে নানা কথা বলছেন। উদাহরণ স্বরূপ, ২০১৭ সালের জানুয়ারিতে তিনি শিব, গুরু নানক, মহাত্মা বুদ্ধ, ভগবান মহাবীর এবং হজরত আলির ছবিতে কংগ্রেসের হাতচিহ্ন খুঁজে পাওয়ার কথা বলেছিলেন। রাহুলের এই মন্তব্যে ক্ষুব্ধ হয়েছিল বিজেপি। গেরুয়া শিবিরের নেতা-কর্মীরা অবিলম্বে নির্বাচন কমিশনের কাছে গিয়ে রাহুলের বিরুদ্ধে দলের নির্বাচনী প্রতীকের সঙ্গে দেবতা ও সাধুদের যুক্ত করার চেষ্টার অভিযোগ করেছিলেন।
Read full story in English