রামপুরহাটের পথে দফায়-দফায় বাধা প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরীকে। নিরাপত্তার কারণ দেখিয়ে অধীর চৌধুরীকে রামপুরহাটে যেতে পুলিশি বাধা। শ্রীনেকতনের কছে রাস্তায় বসেই প্রতিবাদে সরব অধীর চৌধুরী, নেপাল মাহাতোরা। ''মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন কাউকে আটকানো হবে না। তাহলে কেন আটকানো হচ্ছে?'' ক্ষোভে ফেটে পড়েছেন কংগ্রেস নেতা।
বৃহস্পতিবার রামপুরহাটের বগটুই গ্রামে যাচ্ছিলেন সাংসদ অধীর চৌধুরী। শ্রীনিকেতেন কাছে তাঁকে বাধা দেয় পুলিশ। গাড়ি থেকে নেমে পুলিশের সঙ্গে তর্কাতর্কিতে জড়িয়ে পড়েন অধীর চৌধুরী। কেন তাঁদের আটকানো হচ্ছে পুলিশ কর্তাদের কাছে তা জানতে চান কংগ্রেস নেতা। এদিকে, আজই রামপুরহাটে আসছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর নিরাপত্তার কারণ দেখিয়েই অধীর চৌধুরীদের রামপুরহাটে যেতে বাধা দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ কংগ্রেসের। পুলিশি বাধায় ক্ষোভে ফেটে পড়েন কংগ্রেস নেতৃত্ব।
অধীর চৌধুরী বলেন, ''অধীর চৌধুরী বলেন, ''এই রাস্তা কি মুখ্যমন্ত্রীর বাবার সম্পত্তি? কোথাও যেতে হলে আটকে দেওয়া হবে। মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন কাউকে আটকানো হবে না। তাহলে কেন আমাকে আটকানো হচ্ছে। বিজেপি যেতে পারলে আমাদের কেন বাধা দিচ্ছে? চাইলে গ্রেফতার করুক। এভাবে রোদের মধ্যে বসে থাকতে হচ্ছে। মুখ্যমন্ত্রী একজন বিধায়ক, উনি ২ লক্ষ লোকের প্রতিনিধি। আমি সাংসদ, আমি ১৪ লক্ষ মানুষের প্রতিনিধিত্ব করি।''
অন্যদিকে, গতকাল ইচ্ছা থাকলেও রামপুরহাটে যাননি মুখ্যমন্ত্রী। তবে আজ হেলিকপ্টারে রামপুরহাটের উদ্দেশ্যে রওনা দেন তিনি। এদিন বগটুই গ্রামে গিয়ে নিহতদের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলবেন মুখ্যমনন্ত্রী। কথা বলবেন স্থানীয় প্রশাসনের আধিকারিকদের সঙ্গেও। রামপুরহাট-কাণ্ডে দোষীদের কখনই রেয়াত করবে না রাজ্য সরকার, গতকাল সাফ জনিয়ে দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
আরও পড়ুন- বগটুইয়ে আজ বিজেপি প্রতিনিধি দল, দুপুরেই পৌঁছবেন মুখ্যমন্ত্রী
অন্যদিকে, আজই রামপুরহাটে যাবে বিজেপির কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল। দলের সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডার নির্দেশে বগটুই গ্রামে যাবেন বিজেপি প্রতিনিধিরা। দলের সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডার নির্দেশে বগটুই গ্রামে যাবেন বিজেপি প্রতিনিধিরা। দলের সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডার নির্দেশে আজ বগটুই গ্রামে যাবেন বিজেপির পাঁচ সদস্যের একটি দল। এই দলে রয়েছেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদার, বিজেপির রাজ্যসভার সাংসদ ব্রজলাল, লোকসভার সাংসদ সত্যপাল সিং, দলের রাজ্যসভার সাংসদ কে সি রামমূর্তি এবং বিজেপি নেত্রী তথা প্রাক্তন আইপিএস ভারতী ঘোষ